অল্পবয়সী কিছু পোলাপান

অল্পবয়সী কিছু পোলাপানের মাথায় ক্যামনে জানি ঢুকে গেছে।
প্রিয়জন বিট্রে করছে- সুইসাইড করো। রেজাল্ট জঘন্য হইছে- সুইসাইড করো। গার্লফ্রেন্ডকে অন্য কাউকে বিয়ে করতেছে- সুইসাইড এর প্ল্যান বানাও । বাবা-মা জোর করে অন্য সাবজেক্টে ভর্তি করায় দিছে। দুই বছর চেষ্টা করেও রেজাল্ট ভালো হচ্ছে না- ডিপ্রেশন ফিল করো। লোনলি, ডিপ্রেশনে আছি, আমাকে বুঝার কেউ নাই -চারপাতা স্লিপিং পিল জোগাড় করো।
.
এই রকম মেন্টালিটি গ্রো করার একটা বড় অবদান হচ্ছে অনলাইন বা অফলাইন মিডিয়াগুলা। তারা বিভিন্ন সেলিব্রেটি আর বিভিন্ন লেভেলের মানুষদের সুইসাইডের নিউজ ফলাও করে ছাপায় বলেই তরুণরা একটা কনসেপ্ট ডেভেলপ করে যে - সুইসাইড হচ্ছে কুইক সল্যুশন। অথচ এই সব মিডিয়াগুলো ডিপ্রেশন, ইয়াং লাইফের ইমোশনাল শক, শর্ট বা লং টার্ম স্ট্রেস কিভাবে হ্যান্ডেল করবে সেগুলা নিউজ করে না। কিভাবে ভার্চুয়াল জগতে মজে না গিয়ে, একচুয়াল জগতের লোনলিনেস কিভাবে ওভারকাম করতে হয়, একটা খারাপ চিন্তার প্যাটার্ন থেকে কিভাবে বের হয়ে আসতে হয় সেটা তারা জানে না। কার কাছে যেতে হবে, কিভাবে ওভারকাম করতে হবে সেই ইনফরমেশন ইভেইলেএবল না। ব্রেকআপ, ইমোশন বা ইন্টারেস্ট যে চেইঞ্জ হতে পারে, সেটা কিভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে সেই বাস্তবতা দেখানোর সিনেমা-নাটক বা ডকুমেন্টারি হয় না।
.
এইসব অল্প বয়সী পোলাপানদেরই বা কে বুঝাবে- পাঁচ দিনের কষ্ট, ৫০ বছরের সম্ভাবনার কাছে কিচ্ছু না। জীবনটা যে চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি খাঁচা না। জীবনের একটা দরজা না। জীবনটা অনেক বড়। দুনিয়াটা অনেক বড়। এই দুনিয়ায় অনেক কিছু দেখার, অনেক কিছু করার, অনেকের সাথে মিশার, অনেক কিছু উপভোগ করার আছে। সময় কখনো থমকে দাঁড়ায় না। একটু ধৈর্য্য ধরে থাকলেই এগুতে থাকার ধাক্কা দিলেই সময়ের চাকা ঘুরতে শুরু করবে। একটু ঘর থেকে বের হয়ে দুজন বন্ধুর সাথে প্রাণ খুলে গল্প মেশার চেষ্টা করলে কষ্টের পার্টটা কমিয়ে নেয়া যাবে।

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now
Logo
Center