মাসআলা Vlog #5

আসসালামু আলাইকুম


শুভ সকাল,

কেমন আছেন বন্ধুরা ভালো আছেন কি সবাই, আমি আপনাদের দোয়াতে অনেক ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ...

আজকে ৫নং ব্লগ লেখা শুরু করতে চাচ্ছি যদি আল্লাহ তায়ালা তাওয়াফিক দান করেন ধারাবাহিক ব্লগ করে যাবো ইনশাআল্লাহ, আশা করছি আপনারা ব্লগ গুলো পড়বেন এবং শেয়ার করবেন।


PicsArt_10-23-09.00.36.jpg


মাসআলা....

জুমা এবং ঈদের নামাজে ও ইমামের উপর উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পাঠ করা ওয়াজিব, দলিল হলো, আহাদীসে মাশহুরাহ। ইমাম বুখারী ব্যতীত মুহাদ্দিসীনে কেরামের এক জামাআত বর্ণনা করেছেন যে,

( انه صلى الله عليه وسلم كان يقرا في العيدين ويوم الجمعه بسبح اسم ربك الاعلى وهل اتاك حديث الغاشيه)

আর মুসলিমের রিওয়ায়াত হলো।

আবু ওয়াকিদ ( রা. ) থেকে বর্ণিত, হযরত ওমর (রা.) আমাকে জিজ্ঞেসা করেছিলেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের নামাজে কোন কোন সূরা পড়তেন।

তিনি বলেন, সূরায়ে ক্বাফ ও সূরায়ে ইকতারাবাতিস সা'আহ পড়তেন, এ সকল বর্ণনা দ্বারা বুঝা গেল যে, তিনি জুমা ও দুই ঈদের নামজে উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পড়তেন।

হিদায়া গ্রন্থকার বলেন, দিবসের নফল নামাজে চুপে চুপে কিরাআত পাঠ করা ওয়াজিব, আর রাতের নফল নামাজে ইচ্ছাধীন, আস্তে জোরে উভয়ভাবেই পাঠ করা যায়।

দলিল হলো, নফল আদায়কারী ব্যক্তিকে একাকী ফরজ আদায়কারী ব্যক্তির উপর কিয়াস করা হয়েছে, অর্থাৎ একাকী ফরজ আদায়কারীর উপর দিবসের ফরজ নামাজে চুপে চুপে কিরাআত পাঠ করা ওয়াজিব।

আর রাতের নামাজে ইচ্ছাধীন, জোরে ও পড়তে পারে আস্তে ও পড়তে পারে, আর এ কিয়াসের কারণ হলো নফল ফরজের সম্পূরক, তাই নফল ফরজের অনুরূপ হবে।

আর রাতের ফরজে মুনফারিদের ইখতিয়ার রয়েছে, আর যেহেতু দিনের ফরজে চুপে চুপে ও পড়া নির্ধারিত, তাই দিনের নফলেও চুপে চুপে পড়াই নির্ধারিত হবে।

যদি কোনো ব্যক্তির ইশা, মাগরিব, অথবা ফজর ফউত হয়ে যায়, তারপর তা সূর্যোদয়ের পর কাজা করতে চায়, তবে এর দুই সুরত রয়েছে।

এক জামাআতের সাথে কাজা করবে, দুই একাকী কাজা করবে, যদি জামাআতের সাথে কাজা করে তবে উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পড়বে।

দলিল হলো, (ليله التعريس) এর ঘটনায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যখন ফজরের নামাজ জামাআতের সাথে কাজা করেছিলেন তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পড়েছিলেন।

(ليله التعريس) এর সংক্ষিপ্ত ঘটনা হলো, এক জিহাদের সফর থেকে প্রত্যাবর্তন কালে সাহাবায়ে কেরামের আহবানের প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) সকলকে নিয়ে একস্হানে অবস্থান করলেন, জাগানোর দায়িত্ব ছিল হযরত বিলাল (রা.) এর উপর, কিন্তু হযরত বিলাল (রা.) ও ঘুমিয়ে পড়লেন, আর রোদ্র প্রখর হয়ে যাওয়ার পর জাগ্রত হলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সকালকে সেখান থেকে সামনে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দিলেন, সূর্য যখন এক নেযা উপরে উঠল তখন সামনে গিয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) অবতরণ করলেন এবং অজু করলেন।

আর মুয়াজ্জিনকে আযান দেওয়ার নির্দেশ দিলেন, তারপর দুই রাকাআত নামাজ পড়লেন অর্থাৎ ফজরের সুন্নাত পড়লেন, তারপর নামাজের জন্য ইকামাত দেওয়া হল, তারপর ফজরের দুই রাকাআত ফরজ আদায় করলেন, যেমনটি অন্যান্য দিন আদায় করতেন, উল্লেখ্য যে, রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) ফজরের ফরজে উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পড়েছেন, এতে বুঝা গেল রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ليله التعريس এর সময় ফজরের নামাজের কিরাআত উচ্চৈঃস্বরে পড়েছেন।

আর যদি উপরোক্ত নামাজগুলো একাকী কাজা করে, তবে নীরবে কিরাআত পড়া ওয়াজিব, তখন জোরে ও আস্তে পড়ার ইখতিয়ার থাকবে না, এটাই বিশুদ্ধ মত।

والله اعلم


ধন্যবাদ......পোস্টি পড়ার জন্য, এই পোস্টি শেয়ার করবেন, যাতে অন্য মুসলিম ভাই, মাসআলাগুলো জানতে পারে, যদি কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হয়, আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন, ইনশাহআল্লাহ আমি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।


PicsArt_10-19-11.01.27.jpg


Image Source

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now