আমাদের এই পৃথিবী কি আসলেই আমাদের.. আমরা কি এই পৃথিবীর.. আমরা কি স্বাধীন? নাকি সেক্সপিয়ারের সেই নাট্যমঞ্চর আমরা অভিনেতা-অভিনেত্রী। আর আড়ালে কোন পরিচালক মঞ্চায়িত করছেন একটি অপূর্ব নাটক?
সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে অনেক কথা হয়েছে.. অনেক সাহিত্য হয়েছে। আমি বরাবরের মত সৃষ্টি তত্ত্ব নিয়ে ভাবতে খুবই ভালোবাসি.. আমার কাছে এটা এক অপার রহস্য! কখনো বিজ্ঞান.. কখনো ধর্ম.. কখনও সমাজতত্ত্ব.. ভিন্ন ভিন্ন তত্ব নিয়ে আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়.. আমি সবগুলো তত্ত্ব ঠেলে রেখে নিজের সাথে খেলা করি কল্পনায়।
কল্পনাতে আমি দেখতে পাই একজন পরিচালক টেলিভিশনের সামনে তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে বসে আছেন.. তার ছবির প্রথম প্রদর্শনী দেখছেন আর তার সঙ্গীরা মনে হচ্ছে চলচ্চিত্রটির কাহিনীর বৈচিত্রতা এবং নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে..
আমরা তো অনেক সিনেমা দেখেছি.. কিন্তু আমাদের জীবনের চেয়ে বড় সিনেমা কি আর কিছু আছে? আমার বাবাকে ছোটবেলা থেকে বলতে শুনেছি- Reality is more stranger than fiction.
তাই কবিতাটি লিখলাম.. কবিতাটিকে ধর্মতাত্ত্বিক ভাবে বিশ্লেষণ না করে এরকম সুন্দর ছবি করার চেষ্টা করলে ভালো হয়..
কবিতার নাম: টেলিভিশন
এরপর তিনি একটি সিনেমা বানালেন। না, এটা কোন সস্তা রোমান্টিক চলচিত্র নয়। বহুরৈখিক উত্তরাধুনিকতা, বাস্তবতা আর পরাবাস্তবতার অদ্ভুত ফিউশনে এটা দর্শক মোহিত করা একটি দুর্দান্ত সিনেমা।
কোন পরিচালক নিজের তৈরি সিনেমা দেখে মোহিত হয় কিনা- আমার জানা নেই। তবে ফেরেস্তারা খুব শিহরিত হচ্ছে। ঘটনার এক একটি মোচড়ে তাদের চক্ষু বিষ্ফোরিত হচ্ছে, নিঃশ্বাস ভারী হচ্ছে। তারা গোল হয়ে বসে টেলিভিশন দেখছে, আর হাতে তালি দিচ্ছে। বিবিধ মন্তব্য করছে।
কখনো বা কাহিনীর বাঁক তাদের মন্তব্যের সাথে মিলে যায়, কখনো বা মেলে না। ঈশ্বর হেসে ওঠেন। তারপর হঠাত তিনি বলে উঠেন সবচেয়ে মারাত্মক কথাটা-
চরিত্রগুলো আসলে নিজেদের জীবন্ত মনে করে!