চায়না ডিমগুলো আসলে ভালো ?
বাজারে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে ‘চায়না’ ডিমে।এমন খবর কিছুদিন আগে ফলাও করে সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়।বাজার থেকে চায়না ডিম ক্রয় করে প্রতারিত হয়েছেন এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।ডিম নিয়ে সন্দেহ ঢুকে।ক্রেতারা বাজার থেকে ডিম ক্রয় করার সময় ডিম যাচাই করা শুরু করে দিয়েছেন।অনেকের অভিযোগ আমদানী করা ডিমের মধ্যে খুব কৌশলে চায়না নকল ডিম দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।কিন্তু এই চায়না ডিমগুলো আসলে কি?
ক্রেতারা ডিম কিনে নকল ডিম পেয়েছেন।ডিম ভেঙে কুসুম ছড়ানো পেয়েছেন।ডিমের নিচের স্তরেও নকল পলিথিন পেয়েছেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।কিন্তু এই নকল ডিম কিভাবে তৈরি করা হয়।এটা কিছুতেই মাথা ঢোকে না বাজারের ডিম বিক্রেতাদের।এমনটাই জানিয়েছেন।একটা ডিম মানুষ যখন বানায় তখন খরচ কত পড়ে।সিনথেটিক ডিম বা চায়না ডিম কেনইবা বাজারে ছাড়া হবে?কতটা লাভ হয় এই নকল ডিম তৈরি করে?
কিন্তু বাংলাদেশের সায়েন্স ল্যাবরেটরির পরীক্ষাগারে ঢাকার বিভিন্ন বাজার থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালানো হয়।পরীক্ষার ফলাফলে এই সিন্থেটিক ডিম বা চায়না নকল ডিমের অস্তিত্বই খুঁজে পান নি বিজ্ঞানবীরা।তাহলে নকল ডিম কোত্থেকে আসলো?কিভাবেই বা পাওয়া গেল এই নকল ডিমের সন্ধান?
তাহলে চায়না ডিম বা নকল ডিমের যে গুঞ্জন চলছিল তা কি ভিত্তিহীন?বলতে গেলে চায়না বা নকল ডিমের যে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে তা আসলেই ভুয়া এবং একেবারেই ভিত্তিহীন।দেশের শীর্ষ পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নকল বা চায়না সিন্থেটিক ডিমের যে গুজব ছড়িয়েছে তার কোনো প্রমাণ নেই।যে কিছু মানুষ এসব গুজব ছড়িয়েছে কিংবা সংবাদমাধ্যমগুলোতে এসেছে তার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।ডিম পুরনো হয়ে গেলে ডিমের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আসে।ডিমের খোসা পলিথিনের মতো শক্ত হয়ে যায়।ভেতরের কুসুম শক্ত থেকে নরম হয়ে যায়।ফলে ডিম ভাঙার সাথে সাথে কুসুম এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে পড়ে।