একটা সময় ছিল যখন জোড়া কলা কেউ খেতে চাইতেন না। কারণ তাদের ভাবনা ছিল জোড়া কলা খেলে তিনি জমজ সন্তান জন্ম দিবেন। সেটা ছিল অনেক সময় আগের কুসংস্কার। যে কুসংস্কার টি ছেলে-মেয়ে, নারী-পুরুষ সকলেই মেনে চলত। তারা জোড়া কলা না খেয়ে ফেলে দিত। কিন্তু আধুনিক যুগেও এই কুসংস্কারের প্রভাব রয়ে গেছে অনেক জায়গায়। এখনও অনেক মেয়েই মনে করেন তারা যদি জোড়া কলা খায় তাহলে তারা জমজ সন্তানের জন্ম দিবে। তাই তারা জোড়া কলা খেতে চায় না। কিন্তু এই কথাটির বিজ্ঞানে কোন ভিত্তি নেই। বিজ্ঞান বলছে অন্য কথা। চলুন জেনে নেয়া যাক বিজ্ঞান কি বলছেঃ
মায়ের দেহে সাধারণত একই সময়ে একটি মাত্র ডিম্বাণু দুটি ডিম্বাশয়ের যে কোনও একটি থেকে নির্গত হয়। যদি দুটি ডিম্বাশয় থেকেই একটি করে ডিম্বাণু একই সময়ে নির্গত হয়, তবে ওভ্যুলেশন পিরিয়ডে তার শরীরে মোট দুটি ডিম্বাণু থাকে। এসময় মিলন হলে পুরুষের শুক্রাণু উভয় ডিম্বাণুকেই নিষিক্ত করে। একটি নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রথমে দুইটি পৃথক কোষে বিভক্ত হয়। পরবর্তীতে প্রতিটি কোষ থেকে একেকটি শিশুর জন্ম হয়।
জ্বী হ্যা, জমজ সন্তানের জন্ম এভাবেই হয় কোন জোড়া কলার প্রভাবে নয়। এটা শুধুই একটি কুসংস্কার ব্যাতিত কিছুই নয়। জোড়া কলাতে এমন কোন বিশেষ শক্তি নেই যার কারণে সে জোড়া সন্তান জন্মাতে সাহায্য করবে। আমাদের সবার উচিত কুসংস্কার বর্জন করা ও যারা কুসংস্কারে বিশ্বাস করে তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা।