আমার জীবন
শীতের সকালে সবুজ ঘাশের উপর জমে থাকা মুক্ত দানার ন্যায় শিশির বিন্দু গুল দেখতে আমার খুব ভাল লাগে।শিশির বিন্দু গুল জমতে জমতে ্যখন ঠিক মুক্ত দানার ন্যায় ভেষে উঠে ঠিক তখনি সোনালি রদ্দুর উকি দেয় পৃথিবীতে, আর মৃত্যু হয় শিশিরের।খুব ক্ষণিকের জন্য অরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকে তো তাই হয়তো অদেরকে দেখতে এতটা ভাল লাগে।যদি জন্ম জন্মান্তরের জন্য বেচে থাকতো তাহলে হয়তো এতটাও ভাল লাগতো না।
শিশির আমার খুব ভাললাগে । মাঝে মাঝেই খুব সকালে শিশিরে পা ধুইয়ে আস্তে ইচ্ছা করে।কিন্তু যেই যাই পা ভেজাতে তো ইচ্ছা করেই না বরং মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়।আর খুব কান্না পায়।মনে হয় আমার জীবন টাও অনেক টা শিশিরের মতন। লোকের মুখে গল্প শুনেছি ভালবাশা নাকি এক ওমোঘ প্রার্থনার বস্তু।যা জন্ম জন্মান্তরের সাধনার ফল।ভালবাশার রংটা নাকি শুধুই রঙ্গিন। ভলবাশাই আছে নাকি শুধুই সুখ আর আনন্দ।কিন্তু আমার জীবন টা কেন এমন?যেখানে আছে সুধু বেদনা। রিক্ত হৃদয় সবসময় চেয়ে থাকে মৃত্যুর মুখদরপনে।
আজ ২৭ শে এপ্রিল আজ দিনটা আমার জন্য খুব স্পেশাল।সত্যিই কি তাই? আজ দিনটা সব থেকে অনাকাংখিত অভিশপ্ত । এই দিনটার জন্য আজ আমি এখানে দাড়িয়ে।যেখানে চারিদিকটাই আর একটা দ্বীপে আমি দাড়ীয়ে আছি যার চার পাশটা আস্তে আস্তে ধ্বসে যাচ্ছে, তবু আমি দাঁড়িয়ে আছি তলিয়ে যাব তাই অতল গহিনে।
Source
জীবনটাকে হয়তো কখনও ভালবাশ্তে পারিনি।তাই হয়ত আজ আমি এখানে।সোনালি রদ্দুর মৃদু হয়ে গোধুলি লগ্নে রুপান্তর হউয়ার সময় এসে গেছে।পড়ন্ত বিকেলে পাশাপাশি হাটবার মত আজ কেউ নেই।আমি চলছি অনন্ত পথে কখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে? আর আমি অন্ধকারে আমার চখের কোনে জমে থাকা শিশির টাকে মুছে ফেলব।কখন লুকিয়ে ফেলব এই অমলিন মুখটাকে। রাত জাগা পাখির মত জেগে থাকতে থাকতে চোখের নিচটা কেমন জানি আমার জীবনের প্রতিচ্ছবির মত অন্ধকার হয়ে গেছে।ঘুমটাও এখন বড্ড বেশি পর হয়ে গেছে।আমার কাছে আসতেই চাই না।কেবলি দূর থেকে উকি দিয়ে চলে যায়। আর স্বপ্ন সেতো এখন খুব অচেনা।সে আমাকে দেখলেই ভয় পাই। তবু আমি বেচে আছি জানিনা কোন সে আশাই।আশাটা হয়তো এখনও বুকের এক কোনে লুকিয়ে বেচে আছে ।তাকে যত্ন করার মতো কেউ নাই।হয়ত বেচে থাকব আরও কিছুটা সময়।দেখে যাব হয়ত তোমার অবিনাস।ভাল থেকো আর ভুল করে ফেলে আসা সৃতি টাকে বিচরন করনা।
Source
এইতো আমার জীবন