রাতে মানবদেহ সক্রিয় থাকে একেবারে কম। যার জন্য ক্যালরি খরচ কম হয়। ফলে ওজন বেড়ে যাবার ভয়ে অনেকে রাতের খাবার খেতে চান না। অনেকে আবার উল্টোটাও করেন অর্থাৎ রাতে বেশি ক্যালরি গ্রহণ করে থাকেন। প্রকৃত পক্ষে রাতের খাবার ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে –এমনটিই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, নির্দিষ্ট খাবার খেলে তা কাঙ্ক্ষিত ফিটনেস অর্জনে সহায়তা করে।
বিশেষজ্ঞর মতে, সঠিক পরিস্থিতিতে রাতে খাবার খাওয়া মন্দ নয়। কিন্তু রাতে জাঙ্ক ফুড না খাওয়া ভালো। রাতে খাবার খাওয়া দরকার তবে কম ক্যালরি গ্রহণ ভালো।
যারা রাতে কম গ্লাইসেমিক খাবার খান সকাল পর্যন্ত তাদের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটা শুধু তাদের কমাতেই ভূমিকা রাখে না, একইসঙ্গে স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে। কম গ্লাইসেমিক যুক্ত খাবার হচ্ছে ডাল, মটরশুঁটি, মিষ্টি আলু বা সবুজ শাকসবজি।
এ ছাড়া রাতে ক্রাবজাতীয় খাবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ২০১১ সালে ৬৩ জন মোটা নারী এবং পুরুষ পুলিশের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব কর্মকর্তা দিনে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করেছেন তাদের চেয়ে যারা রাতের খাবারে কার্বহাইড্রেটকে প্রাধান্য দিয়েছেন তাদের হরমোনে বেশী পরিবর্তন এসেছে। একই সাথে তাদের ক্ষুধাও কমে গেছে। ফলে তারা ওজন কমাতে সফল হয়েছেন। সুতরাং ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালোরি খাওয়ার প্রতি জোর দিন।