University/College life

কলেজ বা ভাসির্টি লাইফে ছয় সাত জনের একটা ফ্রেন্ড সার্কেল থাকে,,
যে সার্কেলে তিন চারটা ছেলে এবং দুই তিনটা মেয়ে ফ্রেন্ড থাকে।মেয়ের সংখ্যাটা সাধারণত ছেলেদের থেকে দু একটা কম হয়।
সার্কেলে একটা ফ্রেন্ড থাকে যে প্রচুর কথা বলে।যে আড্ডায় বসলে কাউকে কথা বলতে দেয় না।অন্যের কথা মুখ থেকে কেড়ে নিয়ে কথা বলে সবার কানের হাই প্রেশার বানিয়ে দেয়।
একজন থাকে ভয়ানক কিপটা।কোথাও দশটাকা বিল হলেও যে বলবে, 'আমার কাছে খুচরা নাই।তোরা কেউ দিয়ে দে'।তাকে আবার মাঝে মধ্যে সবাই পচায়।সে এসব খুব একটা কানে তোলে না।
ভীষণ ফানি টাইপ দু একজন থাকবে।যার কথা শুনলেই হাসতে হাসতে জান বের হবার জোগাড় হয়।আড্ডাটা সেই মাতিয়ে রাখে।জোকার টাইপ এই বন্ধুটা ফান করা ছাড়া কোন কাজেই সিরিয়াস থাকে না।
ছেলে ফ্রেন্ডদের একজন আবার সার্কেলেরই মেয়েদের মধ্যে একজনের উপর দূর্বল হয়ে পরে।এটা নিয়ে গ্রুপে কিছুদিন মনমালিন্য শুরু হয়।তারপর একজন মধ্যস্থ করার জন্য এগিয়ে আসে।মধ্যস্থতাকারী আবার চিরসিঙ্গেল।কিন্তু প্রেম ভালোবাসা বিষয়ে তার অঢেল জ্ঞান।
একজন থাকে ভীষণ খাদক।সবাই মিলে সমুচা বা সিঙ্গারা খাবার সময় নিজেরটা শেষ করে অন্যদিকে হাত বাড়ায়।তার আক্রমন থেকে কেউ রেহায় পায় না।
মেয়েদের মধ্যে একজন থাকে খুব ফ্যাশন সচেতন।আর চুজি টাইপ।রাস্তার খাবার কিংবা পানি সে খেতে চায় না।তাকে নিয়ে বাকি মেয়েগুলোর মধ্যে দু একজন টিপ্পনি কাটে।
জাত অলস টাইপ একজন থাকে।মাঝে মধ্যেই আড্ডায় অনুপস্থিত থাকে।ডাকলে বিভিন্ন অজুহাত দেখায়।মাথা ব্যাথা, জরুরী কাজ আছে, পকেটে টাকা নাই এসব অজুহাত তার মুখের আগায় লেগে থাকে।
,,সাধারনত গ্রাজুয়েশনের শেষের দিকে বন্ধুত্বটা আলগা হওয়া শুরু করে।তারপর কিভাবে যেন আস্তে আস্তে হাত থেকে ছুটে যায় সব।জীবনের হাটে কেনা বেঁচায় সবাই ব্যস্ত হয়ে পরে।সার্কেলের একজন আবার বিদেশে চলে যায়।
বিদেশ যাওয়া বন্ধুটা অনেকদিন বাদে দেশে ফিরে।দেশের মাটিতে পা দিয়েই বন্ধুদের কথা মনে হয়।উদ্যোগ নেয় সবাইকে আবার এক জায়গায় করার।সবাইকে খুঁজে পায়।
কিন্তু একজন থাকে।যে নিরবে হারিয়ে যায়।বেনামি বাতাসের মত কোথায় যেন চলে যায়,,
কাউকে কিছু বলে যায় না।।

সংগৃহীত

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now