বন্ধুত্ব
ক্লাস সেভেনে উঠলাম।যখন সিক্স এ ভর্তি হয় তখন ছিল ভর্তি রোল সেজন্য ওটা নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা ছিলনা।ও হ্যাঁ বলা হয়নি আমি ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল হয়েছি। সে হিসেবে নিজের কাছে বেশ ভালোলাগছে আর অল্প অল্প গর্ববোধ ও হচ্ছে।ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। তিন দিন ক্লাস শুরু হওয়ার পর স্যার এসে বলল ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচন হবে একজন ছেলে, একজন মেয়ে। ছেলে ও মেয়েদের ভিতর থেকে যারা ১-৩ রোল তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।ক্লাসের বাকি স্টুডেন্ট রা ভোটার। নির্বাচন শুরু হল সৌভাগ্যবশত মেয়েদের ক্লাস ক্যাপ্টেনটাও আমিই নির্বাচিত হলাম।ক্লাস ক্যাপ্টেনের সুবাধে ক্লাসের ফার্স্ট বেঞ্চের কর্নারের সিট টা আমার জন্য বরাদ্দ।ক্লাস সেভেনের অষ্টম দিন আমার স্কুলে পৌছাতে একটু লেট হয়ে গেল।তো আমি যখন ক্লাসে ঢুকলাম দেখি আমার সিটে অন্য একটা মেয়ে বসে আছে তাও আবার অচেনা একটা মেয়ে আমার তো রীতি মত রাগ হয়ে গেল । আমি একটু চিল্লায়ে বললাম কিরে তোরা জানিস না এই সিট আমার জন্য বরাদ্দ? পিছন থেকে আমার বান্ধবীরা বলে উঠলো আমরা বলেছি কিন্তু সিট খালি না থাকাই ও বলেছে এখানে তো একটা সিট খালি আছে আমি এখানেই বসব।তাছাড়াও তো যে আগে আসবে সেই আগে বসার নিয়ম তাইনা এটা বলেছে।আমার মাথাই রক্ত উঠে গেল আমি কটমট করতে করতে রুম থেকে বের হয়ে আসলাম।
স্যার ক্লাসে আসলে আমাকে ডাকল । আমি নিরুপায় হয়ে ওই মেয়ের পাশে যেয়েই বসলাম চাপাচাপি করে। স্যার মেয়েটিকে দেখিয়ে বলল ও এখন থেকে তোমাদের সাথেই ক্লাস করবে ও তোমাদের নতুন ফ্রেন্ড। ওর নাম জান্নাত আমি তো অবাক ওই মেয়ের নাম আমার নাম এক। মনে মনে খুব রাগ হল।স্যার বলল তোমাদের ক্লাসে যেহেতু দুজন জান্নাত হয়ে যাচ্ছে তাই একজন জান্নাত ওয়ান আর একজন জান্নাত টু। যেহেতু আমি আগে থেকেই আছি তাই জান্নাত ওয়ান টা আমিই হলাম।