পার্ট-১ঃ
আজ আমার বিয়ে।বাবা মা ঠিক করেছে বিয়েটা।আমার কোন মত নেই এই বিয়েতে।জোর করে বিয়ে দিচ্ছে আমাকে।তাই আমার বর সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। ইচ্ছেও নেই ওই লোকটা সম্পর্কে কিছু জানার।আমি ছেলেদের একদম সহ্য করতে পারি না। কারন ছোট থেকেই আমার বড় বোনের জীবনটা দেখে আসছি।বিয়ের পর কখনো শান্তি পায়নি আপি।তাই আমার পণ ছিল বিয়ে না করার।পড়াশুনা শেষ করে জব করবো এটাই আমার ইচ্ছা ছিল।কিন্তু কোথা থেকে এই শয়তান লোক আসলো আমাকেই বিয়ে করবে।বাবাকে পটিয়ে ফেলেছে।মার মতের তো কোন পাত্তা নেই বাবার কাছে।আামার মত নেই তাও জোর করে বিয়ে দিচ্ছে।মনেমনে পণ করলাম এ লোকটার জীবন আমি জাহান্নাম করে দিব।বিয়ে হলো আমার।অনেক খারাপ লাগছে।বুক ফেটে কান্না আসছে।আমার জীবন শেষ।অনেক রাগ লাগছে লোকটার উপর।বাসার সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে উঠে বসলাম।বাহিরে তাকিয়ে দেখি লোকটা আমার মা আট বাবার সাথে কি যেন বলছে।মা কাঁদছে। বাবার দিকে তাকালাম।অবাক হলাম বাবাও কাঁদছে।মনে মনে বললাম কেন বাবা কেন আমাকে নরকের মাঝে ফেলে দিয়ে কান্না করছ? বলেই আমি হাউমাউ করে কেঁদে উঠলাম।এদিকে কোন সময় লোকটা গাড়িতে উঠলো টের পেলাম না।হঠাৎ লোকটা বলল, কান্না কর আজ।মেয়ে মানুষ কান্না করলে দেখতে ভাল লাগে।আরো জোর গলায় কান্না কর আমি শুনি।এ কথা শুনে আমার অনেক রাগ হলো।মনে হচ্ছিল একটা থাপ্পর দেই।আামাকে থাপ্পর দিবে তাই তো??ওকে দাও।তোমার হাতের একটা স্পর্শ নেই আমি। একথা বলে শয়তান লোকটা হাসতে লাগলো।গাড়ি চলছে এর মাঝে লোকটা চিৎকার করে গান গাওয়া শুরু করলো।আমি ভয় পেয়ে গেলাম শেষমেষ পাগলের সাথে আমার বিয়ে হলো।কি করবো বুঝতে পারছিনা।ভয় পাচ্ছি অনেক।হঠাৎ ড্রাইভারকে বলল গাড়ি থামাতে।গাড়ি থামালো।গাড়ি থেকে নেমে ড্রাইভারকে কি যেন বলল। ড্রাইভার চলে গেল।এখন আমি আর এই পাগল লোকটা ছাড়া আর কেউ নেই।আমার অনেক ভয় লাগছিল।কি করবে এখন এই পাগল।লোকটা আমার কাছে এসে বলল সামনের সিটে এসে বসতে।আমি মানা করে দিলাম।আর সাথে সাথে লোকটা গাড়ির দরজা খুলে আমাকে কোলে তুলে নিয়ে সামনের সিটে বসালো।আমার অনেক ভয় লাগছে। কিছু বলতেও পারছি না করতেও পারছি না।কেমন যেন একটা ঘোরের মাঝে আছি।লোকটা কি যেন বলছে।কি হচ্ছে বুঝতে পারছিলাম না।চোখ বন্ধ হয়ে আসছিল।এরপর কি হলো কিছুই বলতে পারলাম না
(চলবে)