আজকের সমাজে বিদ্যাশ্রম একটি পরিচিত প্রতিষ্ঠান। আমরা কতটা নিষ্ঠুর, তার প্রমাণ এই বিদ্যাশ্রম। যে বাবা মা আমাদের এত কষ্টে,এত যত্ন করে আমাদের লালন পালন করেছে আজ আমরা তাদের বিদ্যাশ্রমে পাঠিয়ে দিচ্ছি। হে বাবা-মায়ের নিষ্ঠুর সন্তান তোমাদের জন্যে যারা এত কিছু করল আজ তাদের স্থান কেন বিদ্যাশ্রমে হবে। আর স্থান তো আমাদের মাথার উপর হওয়া উচিত। তোমরা কি এতটাই নির্বাক, কিছুই বোঝো না।
আমরা আজ এই পৃথিবীর মুখটা দেখেছি একমাএ আমাদের বাবা মায়ের জন্যে। কত স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে আজ আমাদের বড় করে তুলেছেন। আমাদের হাটা চলা শিখিয়েছেন। আমরা না খেলে যে মা কখনই খেতো না আমরা আজ তাদের বৃদ্ধ বয়সে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছি। মায়ের প্রশবটা কত যে কষ্টের এটা আমরা জানি না। শুধু তাকে বোঝা মনে করি। আমাদের যত আবদার সব ছিল বাবা মায়ের কাছে। তারা কখন ও রাগ করে নাই। বরংচ কষ্ট করে আবদারগুলো পুরন করেছে। আজ তাদের তোমরা কোনো যত্ন করো না। সময়ের পরিবর্তনে আজ তারা বৃদ্ধ হয়েছে। কিন্তু তারাও একসময় তোমার মতো ছিল। আর তখন তারা তোমাদের লালন পালন করতো। আজ তারা বৃদ্ধ হয়েছে তাদের অবহেলা করছো। যে মা তার সন্তানের মুখ দেখে বুঝত তার কি হয়েছে আজকে তারই ঠিকানা বিদ্যাশ্রমে। বাবা মায়ের মতো পৃথিবীতে তোমাকে কেউ ভালোবাসে নাই। আজ তার প্রতিদান হিসাবে তাকে পাঠিয়ে দিলে বিদ্যাশ্রমে। যে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।
মায়ের মন কতটা যে উদার, আজকে তাকে বিদ্যাশ্রমে রেখে দিয়েছো তবুও তিনি সেখান থেকে তোমার খবর নিচ্ছে। আরে কাফের, মায়ের মন এটাই। যেটা তোমরা কখনই বুঝতে পারলে না। তার বিদ্যাশ্রমের শেষ চিঠিতেও থাকে আমার সন্তান কেমন আছে। ঠিকমতো খাচ্ছে কি না।কত উদারতা তাদের মন। আর তার মৃত্যুর দাফনেও পর্যন্ত অংশ গ্রহণ করো না। তার পরও তারা কখনও সন্তানদের অভিশাব দেন না। খোদা বলে একজন আছেন। মায়ের সাথে এরুপ ব্যবহারের জন্য একদিন কঠোর আযাব পাবে। আর সেই দিন বুঝতে পারবে বাবা মা কি জিনিস।
আমাদের উচিৎ আমাদের বাবা মাকে ভালোবাসা। একদিন আমাদের তারা পালন পালন করেছে, কিন্তু আজ তারা বৃদ্ধ হয়েছে। ঠিক মতো চলাফেরা করতে পারে না। এসময় আমাদের তাদের পাশে থাকা উচিৎ। তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিৎ। তারা যেন আমাদের কর্ম কান্ডে কষ্ট না পায়। আজ যদি প্রতিটি বাবা মায়ের সন্তান এই ভালোবাসাটা দেখাতো, হয়তো বা পৃথিবীতে থেকে বিদ্যাশ্রম জিনিসটা কখনই আসতো না।আর হয়তো বা আমাদের বাবা মায়ের জন্য ভালোবাসাটাই থাকত।