একমুঠো ভাত কতটুকু যে মুল্যবান শুধু সেই মানুষ গুলো জানে। যারা অনাহারে মৃত্যু বরণ করেছে।

একটা প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বিশ্ববাসীকে আজও স্মরণ করিয়ে দেয় অনাহারে থাকার কথা। দিনের পর দিন অনাহারে থেকে শেষ পর্যন্ত যারা মৃত্যু বরণ করেছিল। সেই দূর্ভিক্ষ। হয়ত বা আজ আমাদের খাদ্যের অভাব নেই। কিন্তু সেই দিনটির কথা স্মরণ করে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ। এমন কিছু দেশ আছে যারা আজও খাবার পায় না। আর আমাদের সেই দেশ গুলোর পাশে দাড়াতে হবে। বাংলায় ১২৭৬ সালে যখন দুর্ভিক্ষ হয় তখন লাখ লাখ মানুষ মৃত্যু বরণ করে।download (4).jpeg

Source

খাবারের অভাবটা তখন সেই মানুষ গুলোই বুঝতো। তারা এক বেলাও খাবার পায় নি যার কারণে দিন দিন কঙ্কালের মতো হয়ে যায়। এভাবে না খেয়ে থাকাটা আসলেই খুব কষ্টের। আর তখন কিছু মানুষ ছিলেন অনাহারীদের আহার দেওয়ার জন্যে। যেমন বিদ্যাসাগর। তিনি সব সময় ঐ সব মানুষদের পাশে ছিলেন। তিনি নিজের খাদ্য অনাহারীদের দিতেন। এমনকি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে আহার পাবার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছিলেন। কেননা তিনি চেয়েছিলেন অনাহারীদের মুখে যেন আহার জোঠে। কিন্তু এ আহাড় কখনও জুটতো আবার কখনও জুটতো না। এভাবে তিনি তাদের দুখে পাশে ছিলেন। কিন্তু আজ দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষই নিজের স্বার্থ নিয়ে বেচে থাকে। তারা অন্যের পাশে দাড়াতে চায় না। তাহলে এটা মনুষ্যত্বের পরিচয় হতে পারে।download (6).jpeg

Source

দুর্ভিক্ষ কথাটা একবার স্মরণ করা উচিৎ। অনাহারীদের কষ্টটা কেমন। বিলাশ বহুল ভাবে বসবাস করা মনুষ্যত্বের পরিচয় নয়। আর যখন অন্যের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেবে তখনই মনুষ্যত্বের স্বার্থকতা অর্জিত হবে। তখন হয়তো বা পৃথিবীতেই নেমে আসবে স্বর্গীয় সুখ।download (5).jpeg

source

তাই আমাদের উচিৎ সাহায্য সহযোগিতা করা। অন্যের জন্য নিজের ধন সম্পদ ত্যাগ করা। আজ যারা অনাহারে আছে তাদের মুখে আহাড় দেওয়া। তাহলেই আমরা সুখী হতে পারবো। তাই আমাদের বার বার সেই দুর্ভিক্ষের কথা স্মরণ করা দরকার। তাহলেই আমাদের চিন্তা ভাবনা হবে সেই মানুষদের পাশে দাড়ানো।

     সমাপ্ত

(আশা করি আপনাদের মতামত দিবেন)

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now