আমাদের দেশের একটি সামাজিক সমস্যা হল যৌতুক সমস্যা। দিন দিন এই যৌতুক প্রথা আমাদের আমাদের দেশে,সমাজে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যৌতুক বলতে বোঝায় বিবাহের সময় বর পক্ষ কনে পক্ষের কাছে যে অতিরিক্ত পণ দাবি করা হয় তাই হলো যৌতুক প্রথা অর্থ্যাৎ অর্ধেক রাজত্ব এবং একটি রাজকুমারী । কিন্তু আজ এই যৌতুক ঘরে ঘরে দেখা যায়। আজ এই বিষয় টি আপনাদের কাছে তুলে ধরব।
যৌতুক প্রথা আমাদের সমাজে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছে। মুলত ধারনা করা হয় এই যৌতুক প্রথা সর্বপ্রথম হিন্দু সমাজে দেখা যেত। যৌতুক ছাড়া তাদের কোন বিয়েই হতো না। কিন্তু আজ কালের বিবর্তনে এই প্রথা সকল ধর্মের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আর তখন থেকে অত্যাচার,নির্যাতন,শোষণ ইত্যাদি বেড়ে গেছে। এই সমস্যাটার প্রধান কারণ হলো দারিদ্রতা। আমাদের দেশের লোকসংখ্যা বেশি আর তার পাশে দারিদ্রতার হার। আর মানুষ গুলো তাদের দারিদ্রতা ঘুচানোর জন্যে অধিক অর্থের আশায় তাদের সন্তানদের বিবাহ দেয়। কিন্তু অনেক বিবাহে যৌতুকের টাকাটা বাকি থাকে। আর এখানেই নির্যাতনের কারণ হয়ে দাড়ায়। যৌতুকের টাকা পরিশোধ না হলে স্বামীর ঘরে স্এীর কোন মুল্য থাকে না। পরিবারে তার কোন অধিকার থাকে না। আর টাকাটা পাওয়ার জন্যে বরের পিতামাতা নির্যাতন করে। অনেক মারধোর করে। তাদের নির্যাতনের ধরনও বিভিন্ন রকমের। কখনও শরীর আগুনে পুড়িয়ে দেয়,কখনও বা বকবক। এ সব কিছু নিরবে সহ্য করতে হয় তাদের। আর আমাদের দেশে ইসলাম যৌতুককে কোন প্রাধান্য দেয় না কিন্তু আমরা এটা নিয়ে পড়ে আছি। । আর সরকার নারীদের জন্যে কিছু আইন পাশ করেন। কিন্তু তারপরও এটি চলতেই আছে। কেননা সরকার এটি আইন করেছেন ঠিকই, কিন্তু এর কোন বাস্তবায়ন নেই।
আমাদের সমাজে দিনের পর দিন যৌতুক টা বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে দেশের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের একমাএ কারণ হলো যৌতুক। যতই দিন যাচ্ছে নারীদের অত্যাচার বাড়ছে। আর সেই সাথে তাদের সংসার ধব্বংস হচ্ছে। কিন্তু আমাদের উচিৎ এই সমস্যাটাকে সমাধান করা। আমাদের দেশের নারীদের রক্ষা করা। তারা প্রতিনিয়ত নির্যাতন হচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার। একার পক্ষে এই সমস্যাটা সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশ থেকে যৌতুক প্রথা তাড়িয়ে দিতে হবে। আর আমাদের যৌতুক কে না বলতে হবে। তাহলেই সম্ভব এই প্রথাটা দুর করা। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে একসাথে এগিয়ে আসি এবং কাজ করি। আর যৌতুক প্রথাকে না বলি।
source
এই সমাজকে কলহ থেকে মুক্তি করি। সমাজে নারী পুষের সমান অধিকার বিস্তার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলি। এটাই হোক আমাদের দৃঢ় সংগ্রাম।