একটি দেশের মুল শিকড় হল গ্রাম। আর এই শিকরের মানুষ গুলো হলো দেশের প্রাণ। তারা সমাজে এমন কিছু করে নিজের জন্যে, দেশের জন্যে কাজ করে, যা দেখে আমাদের মুগ্ধ হওয়া উচিৎ। আজ তুলে ধরব সেই পেশার কিছু মানুষের কথা। যারা সম্মানকে ত্যাগ করে এসব কাজ করে আমাদের জন্যে।
একজন কৃষক, রোদ বৃষ্টিতে ভিজে ফসল ফলায়। কেননা এটা সকল কৃষকদের কাজ। তারা যেন দেশের অন্যান্য মানুষের খাদ্যের অভাব পূরণ করতে পারে। আর আমাদের দেশের কৃষকরা খাদ্য উৎপাদনে অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশের ৭৫- ৮০ভাগ মানুষ কৃষির উপর উপর কাজ করে। আর বাকি শতাংশ মানুষ চাকুরুজীবি,ডাক্তার, প্রকৌশলী ইত্যাদি। এভাবে সবাই দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু যারা উচু শ্রেনির চেয়ে নিচু শ্রেণির কাজ করে আসলে তাদের কোন তুলনা হয় না। নিজের মান সম্মান কে ত্যাগ করে তারা দেশের জন্যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা কোন সম্মান পায় না তারা কৃষক বলে,তারা নিচু শ্রেণির মানুষ বলে।
আমাদের গ্রামে অথবা শহরে দেখা যায়, অন্য এক পেশার মানুষ। যারা আমাদের জুতা সেলাই করে দেয়। পৃথিবীর মধ্যে হয়ত বা এটাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ। অন্যের জুতাকে সেলাই করে দেওয়া, রঙ করে দেওয়া। এই মানুষগুলো যে কত মহৎ আমরা এটা সবাই জানি। কিন্তু তাদের সম্মান দেই না। আজ তারা যদি না থাকতো তাহলে জুতা আমাদেরই সেলাই করতে হতো,কালি করতে হতো। তখন নিজের সম্মানটা কোথায় যেত। আর এ কাজটা অন্যজন করে দেয়, তাদের স্থান হওয়া উচিৎ আমাদের বুকে। হোক না সে সে মুচি,মানুষ তো।
সর্বশেষ মানুষটি হাট বাজার,বিভিন্ন খেলা ধুলার স্থানে অনেক রকমের জিনিস বিক্রি করে। কখনও আমড়া,বাতাম,ঝাল মুড়ি ইত্যাদি। আমরা যেখানে যাই সেখানে আমাদের খাদ্যের অভাব পূরণ করে। এভাবে দিনের পর দিন তারা আমাদের সেবা দিয়ে থাকেন।
পৃথিবীতে একমাএ এরাই নিজের মানসম্মান কে ত্যাগ করে আমাদের জন্যে কাজ করে থাকে। আসলে এ সকল মানুষ গুলো মহৎ। তাদের কোন তুলনা হয় না। কিন্তু আমরা তাদের কোন সম্মান করি না। এটা আমাদের করা উচিৎ নয়। কেননা তারা আমাদের জন্যই এ কাজ গুলো করে থাকে। তাদেরকে আমাদের শ্রদ্ধা করা উচিৎ। যেকোনো পেশার মানুষ হোক আমরা তাদের অসম্মান করবো না। তাদের সাথে কাধ মিলিয়ে তাদের উৎসাহিত করব। তাহলে হয়ত বা আমাদের দেশের নিচু শেণির মানুষরা কোন কষ্ট পাবে না তারা কৃষক,মুচি বলে।