বাস্তবতার এই জীবনে আমরা সবাই শ্রমিক। কেননা নিজের পেটের জন্যে,পরিবারের জন্যে আমরা সবাই কঠোর পরিশ্রম করি। আর এভাবে পরিশ্রম করে পৃথিবীতে অনেক ইট পাথরের অট্টলিকা তৈরি করি। তবে সমাজের মধ্যে একজন বিত্তবান মনে করি। নিজের আরাম আয়েশের জন্য কতই না কিছু করি। এত গাড়ি,এত বাড়ি, শুধু নিজের প্রশংসার জন্যে। হয়ত বা খোদা আপনাকে এ সব কিছু দিয়েছেন আপনাকে পরিক্ষা করার জন্য। কিন্তু যে এত কিছু পায়,তার আর ও চাহিদা বাড়ে। আর এভাবে চাওয়া পাওয়ার মাধ্যমে নিজের মনুষ্যত্বটাও শেষ হয়ে যায়। আমাদের একবার ভাবা উচিৎ,এত বিলাশ বহুল জীবন কিছু দিনের জন্য। যে কষ্টে জীবনযাপন করছে তার প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি করা। তাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে নেওয়া। কে কুলি, কে শ্রমিক,কে কৃষক তার বলে নয়,বরংচ নিজের মনুষ্যত্বের টানে। তাহলে হয়ত বা এই দেশ,এই জাতি,এই সমাজ গর্ব করে বলতে পারত। হ্যা আমরাই মানুষ, আমরাই দেশের হাতিয়ার।
source
তাহলে আজকে কি হচ্ছে আমাদের এই সমাজে,এই দেশে। কেউ ভদ্র আর কেউ নিচু জাতের মানুষ। একটা ১০ তালা অট্টলিকা বাড়ির পাশে একটি খড়ের ঘর যেমন কিছুই না, তেমনি একজন বিত্তবান মানুষের কাছে নিচু জাতের মানুষ তুচ্ছ। আজকে টাকার অহংকারে আমাদের আলাদা করে দিয়েছে। কিন্তু তারা কি জানে না,এত বিত্তবান লোক হয়েছে কাদের শোষণ করে। শ্রমিকদের তাদের পাওনা টাকা না দিয়ে যারা আজ ভক্ষণ করছে তারাই এই দেশের মুল্যবান মানুষ। বাঃ কি সুন্দর লিলা খেলা। এই মনুষ্যত্বহীন মানুষ আমরা তোমাদের মতো এত ধন দৌলত চাই না। আমরা চাই নিজের নির্দিষ্ট মজুরি। আর একটু সম্মান। তোমরা আজ যতই এমপি, মন্এী হও না কেন আমরা তাতে কোন ঈর্ষা করি না। আমরাও নিজের গায়ের ঘাম ঝরিয়ে দেশের জন্য বড় অবদান রাখি। কিন্তু আমাদের কপাল। তোমাদের নামটাই আগে লেখা থাকে। আমরা গরিব হতে পারি, কিন্তু আমরা আমাদের মনুষ্যত্বকে ঠিক রাখি।স্বার্থপর মানুষ গুলোর জন্যে আজ আমরা কুঁড়ে ঘরে বাস করছি। আর পাচ্ছি না আমাদের অধিকার। তারা প্রতিনিয়ত আমাদের ঠকিয়ে যাচ্ছে। এদের হাত থেকে আমাদের বাচতে হলে আমাদের সচেতন হতে হবে। আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের অধিকার নিতে হবে। তারা যতই আমাদের ঠাসিয়ে রাখতে চেষ্টা করুক না কেন আমরা আর পিছনে হাটবো না। বুকের রক্ত দিতে হলেও রাজি আছি,কিন্তু আর অপমান,নির্যাতন হতে রাজি নই।
source
আমরা এতটাই শ্রমিকরা এতটাই অসহায়। আমাদের জন্য কেউ আন্দোলন করবে না। সবাই টাকার কাছে বিক্রি হয়ে হয়ে যায়। হে কাজী নজরুল আপনি আবার আসুন,আমাদের বাচতে শিখান, আমাদের আন্দোলনের উৎসাহ দেন। এত তিরস্কার আর সহ্য হয় না।আমরা সবাই যদি আজ এক হতাম তাহলে কি আর খাদ্যের অভাবটা থাকতো। আমাদের মনুষ্যত্বের টানে আমরা যদি এক হতে পারি তাহলে আমরা চীন,জাপান,আ্যমেরিকার মতো উন্নয়নের শিহরে পৌছাতে পারতাম। হয়ত বা আমাদের দেশটাও হতো পৃথিবীর মধ্যে একটি দেশ। কে গরিব, কে ধনী আমরা সবাই একই দেশের, একই মায়ের সন্তান। আসুন আমরা একই কন্ঠে সুর তুলি আর রাঙ্গিয়ে তুলি আমাদের সোনার দেশকে।
source
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের ও ইচ্ছা জাগে দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশের স্বার্থে যতই ঘাম ঝরুক আমরা পিছে যাবো না। আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষ। নিজের স্বাধীনতা নিয়েই বাঁচব,কারো নির্যাতনে, জুলুমে নয়।