শুরু থেকেই জমে উঠেছে বহুল প্রতিক্ষিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের লড়াই। প্রথম রাউন্ডের লড়াইয়ে দলগুলো একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল মুখোমুখি হয়েছিল তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল এবং এনামুল হক বিজয়ের খুলনা টাইগার্স। এই ম্যাচে দু'দলের ব্যাটসম্যানরাই ব্যাট হাতে ভালো পারফরম্যান্স করে। তবে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা টাইগার্স!
গতকাল মিরপুরের মাটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দুইট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় দূর্দান্ত ঢাকা এবং বন্দরের দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথম ম্যাচে আফগান ব্যাটসম্যানর নাজিবুল্লাহ জাদরানের অসাধারন ফিনিশিংয়ে জয় পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইগার্স এবং ফরচুন বরিশাল। দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় খুলনা টাইগার্স এর ক্যাপ্টেন এনামুল হক বিজয়। মূলত মিরপুরের মাঠে ২য় ইনিংসে ব্যাটিং করে জয়ের পাল্লাটা ভারি হওয়াতে তার এমন সিদ্ধান্ত।
খুলনার ব্যাটিং আমন্ত্রনে বরিশালের হয়ে শুরুতে ওপেনিংয়ে আসে ইব্রাহিম জাদরান এবং তামিম ইকবাল খান। তবে শুরুতেই ব্যর্থ হয় আফগানিস্তান ব্যাটসম্যান ইব্রাহিম যাদ্রান। ওশেন থমাসের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরে এই ওপেনার। যাদ্রানের বিদায়ের পর ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল খান সৌম্য সরকারকে নিয়ে গড়ে মূল্যবান ৪৬ রানের জুটি। এক ছয় এবং দুই চারে ১০ বলে ২২ রান করে সৌম্য সরকার রান আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
সৌম্য সরকারের পর মিস্টার ডিফেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে আবারো জুটি গড়ে মিস্টার খান। দুজনে মিলে পার করে দলীয় শতরান। তামিম ৩৩ বলে ৪০ রান করে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখে মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই ২ ব্যাটসম্যানের অসাধারণ পারফরমেন্সে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৮৭ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। ৩৯ বলে ৬৮ রানের মহামূল্যবান ইনিংস খেলে অপরিচিত থাকে মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম।
বরিশালের দেওয়া ১৮৮ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা অবিশ্বাস্যভাবে করে খুলনা টাইগার্স। দলটির ওয়েস্ট ইন্ডিজ রিক্রুট ইভেন লুইসের ঝরো ইনিংসে প্রথম পাচ ওভারেই ৭০ রান সংগ্রহ করে খুলনা। লুইস ২১ বলে ৫০ রান পূর্ণ করে এবারের বিপিএলে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গরে। তবে অর্ধশত পূর্ণ করার পর লুইস মোহাম্মদ ইমরানের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরে। লুইসের বিদায়ের পর ক্যাপ্টেন এনামুল হক বিজয় আফিফকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে।
শেষ দেখে বরিশালের বোলাররা খুলনাকে চাপে ফেলার চেষ্টা করলেও পুরোপুরি ভাবেই ব্যর্থ হয়। আরেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যান সেই হোপের অসাধারণ ফিনিশিংয়ে দুই ওভার হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে খুলনা টাইগার্স৷ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয় পায় দলটি। ব্যাট হাতে অসাধারন পারফরমেন্সের ফলে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয় খুলনার ক্যাপ্টেন এনামুল হক বিজয়। এই জয়ের ফলে প্রথম দুই ম্যাচের দুইটিতে জয় পেয়ে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম অবস্থানে রয়েছে খুলনা টাইগার্স।
BANGLADESH CRICKET : THE TIGERS