কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়!

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৩৭ তম ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং সিলেট স্ট্রাইকার্স। এই ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই আটকে দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে জয় পাওয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এই ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ফেভারিট হিসেবেই। অপরদিকে এবারের বিপিএল টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স। কিন্তু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে এই ম্যাচে দলটি তাদের শতভাগ দিয়েই জয় অর্জন করেছে!

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং সিলেট স্ট্রাইকারদের মধ্যকার দিনের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এদিন ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে বেটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সিলেট স্ট্রাইকার্সের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মিথুন। মূলত চট্টগ্রামের মাটিতে প্রথমে ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষকে রানের চাপে ফেলাই ছিলো সিলেটের মূল লক্ষ্য। দলটি তাদের পরিকল্পনাকে শেষ পর্যন্ত কাজে লাগিয়েছে বেশ ভালোভাবেই!

এই ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ওপেনিং আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্লেয়ার কেনার লুইস এবং জাকির হাসান। এই দুই ওপেনার সিলেটকে একটি ভালো শুরু এনে দেয়। দু'জনে মিলে গড়ে ৪০ রানের জুটি। তবে নারিনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরে জাকির হাসান। ওপেনারদের দেওয়া ভালো শুরুকে অব্যাহত রাখতে ব্যর্থ হয় পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা। ৭৪ রানেই চার উইকেট হারিয়ে চাপে পরে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ত্রানকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয় বেনি হাওয়েল। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে আসা বেনি হাওয়েল কুমিল্লার বোলারদেরকে চার-ছক্কার হাকিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ভালো সংগ্রহ এনে দেয়৷ তার ৩১ বলে ৬২ রানের অসাধারণ ইনিংসে ভর করে ১৭৭ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশের লন্ডন নামে পরিচিত সিলেট। বেনি হাওয়েলকে যোগ্য সঙ্গ দেয় দলটির ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মিঠুন। কুমিল্লার হয়ে সবচাইতে ভালো বোলিং পারফরম্যান্স করে সদ্য দলে যোগ দেওয়া সুনিল নারিন!

সিলেট স্ট্রাইকারদের দেওয়া ১৭৮ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা রঙিন হয়নি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। দলীয় ১৬ রানে সাবেক ক্যাপ্টেন ইমরুল কায়েসের বিদায়ের পর মাত্র ১৭ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরে দলটি অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়। ফলে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান। সেই চাপ সামাল দিয়ে দলকে একাই সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল লিটন কুমার দাস। তবে অপরপ্রান্ত থেকে যথাযথ সমর্থনের অভাবে শেষদিকে এসে ম্যাচে পিছিয়ে পরে কুমিল্লা।

শেষ তিন ওভারে যখন ৪৫+ রানের প্রয়োজন ছিল, তখন মাঠে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাওয়ার হাউস আন্ড্রে রাসেল। ১৮ বলে ৪৫ রান তখনও সম্ভব মনে হচ্ছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এর জন্য। কিন্তু সিলেট স্টিকার্সের হয় অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্স করে তরুণ পেশার শফিকুল। ফলে আন্ড্রে রাসেল এবং লিটন কুমার দাস ব্যর্থ হয় কুমিল্লাকে জয় এনে দিতে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান ১৬৫ রানে থামলে এবারের বিপিএল সিজনের চতুর্থ এবং বড় জয়টি পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। সর্বশেষ মৌসুমে এই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হেরেই শিরোপা হাতছাড়া করেছিল মাশরাফি মর্তুজার দল সিলেট !


image.png
UNSPLASH

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now
Logo
Center