স্কুল জিবনের ভালোবাসার কাহিনী (পার্ট৪)


স্কুল জিবনের ভালোবাসার কাহিনী বাকি গল্প 

(পার্ট ১ ) এবং (পার্ট ২) ও (পার্ট৩)এর পর যা ঘটলো .......  

আমাদের অনুষ্ঠান চলতে লাগলো । এর ভিতরে সাদিয়া হাসিব আর আমি ৩ জন মিলে বাইরে আসলাম চা খাওয়ার জন্য । চা খাইতে বাইরে আসার পর কিছু বকাটে ছেলে আমাদের পিছনে লাগে । মাঝে মাঝে সাদিয়াকে কিছু অশালীন ভাষাই কথা বলতেছে । যে ভাষা গুলো বলতেছে এইগুলো খুবই জঘন্য । আমাদের খুব বিরক্ত করতেছে । এই বকাটে পোলাগুলো ছেলে মেয়ে একজাইগাই দেখলে এই ধরনের কথা বলে । কিন্তু ওরা যাই বলুক না কেন আমরা কিছু কথা বলতেছিলাম না। আমরা  চুপ করে যেতে লাগলাম ,কিন্তু ওরা আমাদের পিছু পিছু খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে করতে সামনে আসছিল ।কিন্তু হাসিব খুব রেগে যাচ্ছিল । অবশেষে হাসিব ওদের একজন কে একটা থাপর দিয়া দিল । ওরা ২ জন ছিল এই জন্য কিছু বলে নাই আর আমাদের থেকে থেকে একটু ছোট ছিল । কিছু না বলে থাপর খাইয়া চলে গেল । আমরা চা খাইয়া আমাদের জাইগাই আমরা ফিরে আসলাম । কিন্তু কিছু সময় পর ওরা প্রাই ৩০/৪০ জন হাজির । আমাদের খুজতেছে মারার জন্য । কিন্তু তার আগেই আমাদের সাথে যে মেয়ে গুলো ছিল ওদের শরীরে হাত দিচ্ছে । এবং যে কথা বলতেছিল তাদের কে মাইর দিচ্ছে । খুব জামেলাই পড়ে গেলেম । ওরা স্থানীয় ওদের সাথে জামেলা করলে আমাদের ক্ষতি হবে জেনেও আমাদের শিক্ষক ওদের কাজে প্রতিবাদ করল । এবং আমরা ও সবাই ওদের সাথে একসময় মারামারিতে পরিণত হল । ওরা সবাই লাঠি নিয়া আসছিল, আমাদের ৩ স্যারকে খুব মেরেছিল । ওদের কই একজন কে আমরা ও খুব মেরেছিলাম । এর পর ওরা আমাদের বাস এর গ্লাস ভেঙ্ঘে দিয়াছিল । আমাদের বেশি ক্ষতি হইয়া ছিল এর পর সারমিন নামে এক ছোট বোন এর হাত কেটে দিয়াছিল ওর অনেক রক্ত খরন হইয়াছিল । সব মিলে আমরা খুব খারাপ এ ছিলাম । তখন ও জানত না যে ওরা কার জন্য মারামারি করল । যদি কেউ জানে তাহলে হাসিব ,সাদিয়ার এবং আমার শেষ করে ফেলবে । এই কথা গুলো আমরা গপন করে রাখলাম । এবং তাড়াতাড়ি করে এই জাইগা ত্যাগ করার জন্য প্রস্তুত হলাম । ওইখান থেকে কিছু দূরে আসার পর আমাদের স্যার এবং সারমিনের জন্য কিছু মেডিসিন নিলাম  । 

image source

এর পর কিছু খাবার নিয়া বাস চলা শুরু করল । আমাদের আনান্দ টা মাটি করে দিছে । এর পর সব কিছু ভুলে আমরা বাসায় আসার জন্য রওনা দিলাম । কিন্তু আসার পথে আমরা অনেক দুর্ভোগের সম্মুখীন হইয়াছিলাম।আসার পথে আমাদের একটি বাস দুর্ঘটনার শিকার হইয়া ছিল । কারও কোন ক্ষতি হইনি কিন্তু বাসের একটি চাকা নষ্ট হইয়া গেছিল । তখন রাত প্রাই ৪ টা বাজে । এত রাতে আমরা সবাই ঐখানে থামলাম । এবং সকালের জন্য অপেক্ষা করলাম । সবাই অনেক ভোগান্তির শিকার অনুভব করতেছিল । এই ভাবে অচেনা অজানা জাইগাই রাস্তার মাঝখানে থামাও অনেক ভয় এর বেপার । এর পর সকাল হল । বাস এর চাকা ঠিক করে আবার রওনা দিলাম । বাসায় আসতে আসতে আবার প্রাই সন্ধ্যা হইয়া গেল । বাসার সবাই অনেক চিন্তা করতেছিল । সাদিয়া একা বাসায় যেতে ভয় পাইতেছিল এই জন্য আমি আর হাসিব মিলে সাদিয়ার বাসায় রেখে আসলাম । এই দিনটার কথা কখনও ভোলার নই । সারাজিবন মনে থাকবে । সাদিয়াকে রেখে আমরা বাসায় ফিরে আসলাম । আমাদের বাসার সবাই অনেক চিন্তিত ছিল । এইরকম পরিণতি জিবনের প্রথম অভিক্ষতা । 

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ...... 

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now