পৃথিবীতে সবকিছু এমনি এমনি হয়- একটি পাগলের প্রলাপ

আমার এক বনধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে পড়ে। প্রতিনিয়ত টুকটাক নামাজ পড়লেও আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে সে খুব কনফিউজ। নামাজ পড়ার কারণ হচ্ছে সে একমাত্র এই একটা কাজেই মানসিক তৃপ্তি লাভ করে থাকে। দিনের বাকি সময়টা সে একটু অস্থিরতায় ভোগে।

1.png
source

তার কনফিউজ হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে তার আইডলের স্থান দখল করেছিল তসলিমা নাসরিন ও আসিফ মহিউদ্দিন সহ কথিত মুক্তমনারা। যাদের একটাই কথা যে আল্লাহ বলতে আসলে কিছু নেই। পৃথিবীর সব কিছু এমনি এমনি হয়। যদিও বর্তমান সময়ে এই দখলদারিত্ব অনেকটাই মুক্ত করতে পেরেছি আমি তার সাথে ফোনে আলাপের মাধ্যমে।

এই সব কথিত মুক্তমনাদের কাছ থেকে আপনি ব্যাপক বিনোদন লাভ করতে পারেন। যেমন কোন এক মুক্তমনাকে জিজ্ঞেস করুন তোমার চোখের গ্লাস টি কি এমনি এমনি তৈরী হইছে? সে বলবে তুমি কি পাগল? এগুলা এমনে এমনে হয় নাকি। কিন্ত জিজ্ঞাসা করেন যে তাহলে তোমার চোখটা কে বানাল। তখনই তার বিজ্ঞান সুলভ উত্তর এমনি এমনি হইছে। বিনোদন!!

এরকম- পৃথিবীর যে কোন কিছুর ক্ষে্ত্রে তাদের বক্তব্য এগুলো এমনি এমনি হওয়া সম্ভব নয়। শুধু পৃথিবীটা এমনি এমনি হইছে। মানুষ গুলা এমনি এমনি হইছে। পশুপাখি এমনি এমনি হইছে। এরা মুক্তমনারুপে আসলে যে ঠিক কতটা জ্ঞানহীন সেটা আসলে তাদের কথাতেই প্রকাশ পায়।

যাইহোক মূলত আজকে পোষ্টের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন বিখ্যাত ব্যাক্তির একটি কাহিনী তুলে ধরা। যেই ব্যক্তিটিকে পৃথিবীর মানুষ একনামে চিনেন বিশেষ করে মুসলিম কমিউনিটির মানুষ গুলো। সম্মানিত সেই ব্যক্তিটির নাম হচ্ছে ঈমাম আবু হানিফা (রহ.)। আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকামে সম্মানিত করুন।

প্রথমেই বলে নিচ্ছি যে ঘটনার অথেনটিক সোর্স আমার জানা নেই। আদৌ কাহিনীটা তার জীবনের কিনা সেটার ব্যাপারেও আমি ক্লিয়ার না। কাহিনীর কোন ব্যাপারে যদি আপনার আপত্তি থাকে তাহলে সেটা জাস্ট চেপে যান। শুধু শিক্ষনীয় বিষয়টি গ্রহণ করার জোড় আবেদন করছি।

ঘটনাটি ছিল একটি বাহাসের ঘটনা। এরকম একজন নাস্তিক বনাম আমাদের সম্মানিত ঈমাম সাহেব ছিলেন পক্ষ-বিপক্ষ। তো নাস্তিকের কথা ছিল ওটাই যে পৃথিবীতে সব কিছু এমনি এমনি হয়। ঈমাম সাহেবের ঘটনা স্থলে আসতে বেশ কিছু সময় দেরী হল। দেরী হওয়ার কারণে নাস্তিক সাহেব বললেন আপনি একজন ভাল মানুষ হয়ে এভাবে সময় মত কিভাবে না এসে পারলেন। তো ঈমাম সাহেব বললেন দেখ আমার এখানে আসতে একটি নদী পাড়ি দিতে হয়।

আমি যখন নদীর পাড়ে আসলাম তখন দেখলাম নদীতে কোন নৌকা নেই। আসার কোন মাধ্যম নেই। অপেক্ষা করছিলাম কি যায়। সময় মত না পৌছাতে পারলে তো আমার বদনাম হবে। তো হঠাৎ আমার পাশেই একটা বড় গাছ এমনি এমনি একটা নৌাকা হয়ে গেল। আমি নৌকাটিতে চড়ে বসলাম। নৌকা এমনি এমনি চলা শুরু করল। একটা পর্যায় আমাকে এপাড়ে নিয়ে আসল আমি নৌকা থেকে উঠে চলে আসলাম।

নাস্তিক সাহেব বলে উঠলেন আরে ঈমাম সাহেব আপনার মাথা ঠিক আছে তো? আপনি কি পরিপূর্ণ সুস্থ মানুষ? ঈমাম সাহেব বললেন কেন এসব কথা বলছেন আপনি? আমি তো পরিপূর্ন সুস্থ আছি। আমার কথা শুনে আপনি অবাক হলেন কেন বুঝলাম না। নাস্তিক সাহেব আপনি যেগুলো বলেছেন সেগুলো অবশ্যই পাগলের প্রলাপ। কারণ গাছ থেকে এমনি এমনি নৌকা হওয়া সম্ভব নয়। সেই নৌকা নদীর স্রোতেই কেবল ভেসে যেতে পারে। নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারে না। তাই আমার মনে হয়েছে আপনি পাগল হয়ে গেছেন।

ঈমাম সাহেব মুচকি হাসলেন। আপনারা বুঝতেই পারছেন ঈমাম সাহেব নাস্তিককে হারিয়ে দেয়ার পয়েন্টটি পেয়ে গেলেন। তখন তিনি নাস্তিক সাহেব কে বললেন যে, সামান্য গাছ থেকে নৌকা হওয়া যদি সম্ভব না হয় তাহলে মানুষের মত এত নিখুত সৃষ্টি কিভাবে এমনি এমনি তৈরী হল? মাঝি ছাড়া সামান্য নৌকা যদি তার গন্তব্যে পৌছতে না পারে তাহলে এত বড় পৃথিবী কিভাবে একজন পরিচালক ব্যতিত এমনি এমনি পরিচালিত হচ্ছে??

নাস্তিক সাহেবের তখনই হুস ফিরে আসল। তিনি তার বক্তব্যের জন্য দুঃখিত হলেন। ঈমাম সাহেব যে বাহাস শুরুর আগেই তাকে পরাজিত করে ফেলবেন তিনি সেটা বুঝতে পারেননি এবং তার চোখে এভাবে আঙ্গুল দিয়ে তাকে বুঝিয়ে দিবেন যে তার চিন্তা ভাবনা ঠিক নয় সেটাও তিনি বুঝতে পারেন নি। অবশেষে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে নাস্তিকতা থেকে ফিরে এলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করলেন।

বন্ধুরা আশাকরি আমার লেখাটির মুল বক্তব্য আপনারা বুঝতে পেরেছেন। মূলত নাস্তিকতা আসলেই যথেষ্ট পরিমানে অষাড়। এদের চিন্তাভাবনা একেবারেই অপরিপক্ক। তাই আসুন এদের কে বুঝানোর চেষ্টা করি। কেহ বুঝতে না চাইলে তাকে জাষ্ট এভয়েড করি। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।

লেখাগুলো ভাল লাগলে অবশ্যই ছড়িয়ে দেয়ার জন্য re-esteem করুন। up-vote এবং reply করে সঙ্গেই থাকুন।

steem 2.jpg

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now