জনসেবা...
মানুষ হয়ে জন্ম নিলেই মানুষ কখনও মানুষ হয় না। সত্যিকার মানুষ হওয়ার জন্য মানুষকে অর্জন করতে হয় মনুষ্যত্ব। মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য যে ব্রত মানুষকে অবশ্যই পালন করতে হয়, তার মধ্যে জনসেবা অন্যতম। আত্মস্বার্থমগ্নতা, মানুষের চরিত্রের এক ভয়ানক খারাপ গুণ। যেহেতু মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, সে কারণেই প্রতিটি মানুষ একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা থেকেই মানুষ বরাবরই একে অন্যের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছে। আর এই চেষ্টাই বৃহৎ পরিসরে জনসেবা হিসেবে রূপ নেয়।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এটি শুধু মুখে মুখে নয়, একথা নিহিত থাকতে হবে প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে। মনুষ্যত্ববোধই মানুষের মধ্যে ভালোবাসার সৃষ্টি করে, সেবা ব্রতে আগ্রহী করে তোলে। শুধুমাত্র নিজের পুত্র-কন্যা, সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকাই মানব জীবনের একমাত্র কাম্য হতে পারে না। আত্মনিমগ্ন জীবন কখনও সার্থকতা ও পরিপূর্ণতা পেতে পারে না।
জনসেবা এমনই এক ব্রত যা পৃথিবীতে একের সাথে অন্যের বন্ধন সৃষ্টি করে। সুখ-দুঃখ, অভাব-অনটন, মৃত্যু, শোক, হতাশা সবকিছুর সংমিশ্রণেই মানুষের জীবন। আর এ সকল সমস্যা থেকে মানুষই মানুষকে উদ্ধার করতে পারে। আর উদ্ধারের একমাত্র পথ হলো জনসেবা। জনসেবা সমাজে সৃষ্টি করে ভ্রাতৃত্ববোধ।
*বর্তমান বিশ্বে জনসেবাঃ
অতীত কালের জনসেবা এবং বর্তমানের জনসেবার মধ্যে আমরা কিছুটা তফাত দেখতে পাই। জীবনযাত্রার ধারা পরিবর্তনই এই সেবাকাঠামো পরিবর্তনের মূল কারণ। বর্তমান বিশ্বে প্রায়ই, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা জনসেবার দৃষ্টান্ত দেখতে পাই।