কেউ রিপ্লায় দেয়নি, সাড়ে তিন বছর ফেসবুক চালাচ্ছি, কেউ রিপ্লায় দেয়নি।
প্রথমদিন এক মেয়ে তার চ্যাটিং হঠাৎ থামিয়ে দিয়ে বলেছিলো, 'আজকের মতো বাই, কাল আবার কথা হবে।'
তারপর কত কাল- পরশু চলে গেলো, কিন্তু সেই মেয়ের ম্যাসেজ আর এলোনা।
সাড়ে তিন বছর প্রতিক্ষায় আছি।
পাশের বাড়ির কাজিন রক্স নাদের বলেছিলো, বড় হও পিচ্চি; ভালো কোথাও চান্স পেলে দেখবা পেছনে সুন্দরি মেয়েদের লাইন পড়ে যাবে।
রক্স ভাই, আমি আর কত ভালো জায়গায় চান্স পাবো? বুয়েট, মেডিকেল আর ডিইউ; এই তিন জায়গায় একসাথে চান্স পেলে তারপর মেয়েরা আমার পেছনে লাইন দেবে?
একটাও কাপল পিক আপলোড দিতে পারিনি কখনো,
দেখিয়ে দেখিয়ে পিজা হাট আর বসুন্ধরায় চেকইন দিয়েছে নর্থ- সাউথের ছেলেরা।
ভিখারীর মতো নিউজফিড স্ক্রল করতে করতে দেখেছি
ভালোবাসা দিবসে
অবিরল আটা ময়দা মেখে ক্যান্ডি ক্যামেরা দিয়ে তুলে ফর্সা রমণীরা
কত রকম স্টাইলে সেলফি আপলোড করেছে;
আমার ম্যাসেজ তারা সিন করেও দেখেনি!
বেস্ট ফ্রেন্ড আমায় ইনবক্স করে বলেছিলো, 'দেখিস, একদিন আমরাও....'
বেস্টফ্রেন্ডের আইডি এখন ডিজেবল, আমাদের আপলোড দেয়া হয়নি কিছুই।
সেই কাপল পিক, সেই চেকইন, সেই ভ্যালেন্টাইন সেলফি;
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!
.
প্রোফাইল পিকে হাহা রিয়্যাক্ট করে এঞ্জেল বরুণা কমেন্ট করেছিলো,
যেদিন আমার সবগুলা পিকে লাইক কমেন্ট ব্যাক করবে সেদিন আমিও তোমার ম্যাসেজের রিপ্লায় দিবো।
রিপ্লায়ের জন্য আমি বাপের পকেট কেটে মেগাবাইট কিনেছি,
টিউশন ফির কথা বলে আম্মুকে দিয়েছি মহা ফাপড়।
বরুণার টাইমলাইন তন্ন তন্ন করে খুঁজে ১০৮টা ছবিতে দিয়েছি লাভ রিয়্যাক্ট!
তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার আইডির নাম রুদ্র রহমান।
বুঝিনি সে যে পুরুষ- কোনো ফেক আইডি।
কেউ রিপ্লায় দেয়নি, সাড়ে তিন বছর কাটল, কেউ রিপ্লায় দেয়না!