এখনকার দৈনন্দিন জীবনে সময়ের অভাব সবার কাছে কম-বেশি রয়েছে । শতকরা ৮০ শতাংশ মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন । আমরা সবাই সময় ব্যবস্থাপনাকে কঠিন ভেবে থাকি, আসলে ব্যপারটা কিন্তু এমনটা নয়। সময়কে সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। আমাদের সময়ের ব্যপারে সচেতনতার বড়ই অভাব, আর সেই জন্যে আমরা দিনকে দিন পিছিয়ে পরছি উন্নত বিশ্বের তুলনায়। তাই আজকের পোস্টে আমরা সময় ম্যানেজমেন্টের কিছু টিপস নিয়ে কথা বলবো।
Source
পরিকল্পনাঃ
সঠিকভাবে সময় ব্যবস্থাপনা করার জন্য সথিক পরিকল্পনার প্রয়োজন । কেননা, পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে সময় ব্যবস্থাপনাও ব্যর্থ হবে । যেভাবে আপনি সাচ্ছন্দ বোধ করেন সেভাবেই আপনার সময়কে সাজান । তাড়াহুড়া করে এমন কোন পদক্ষেপ নিবেন না যার ফলে আপনি আপনার কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হন ।
লক্ষ্য নির্ধারণ করুনঃ
Source
সময়ের মধ্যে যেকোন কাজ সম্পন্য করতে একটি লক্ষ্য থাকা অত্যাবশ্যক । লক্ষ্য বিহীন জীবনের কোন মুল্য নেই । তাই আজই আপনার জিবনের লক্ষ্য নির্ধারন করুন , লক্ষ্য নির্ধারন করার সময় অবশ্যই যেদিক গুলোর চিন্তাভাবনা মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হচ্ছেঃ বাস্তবসম্মত এবং অর্জনযোগ্য । লক্ষ্য নির্ধারন হয়ে গেলে সেই কাজের উপর ফোকাস করুন দেখবেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনার কাজ শেষ হয়ে যাবে ।
গুরুত্বপূর্ণ কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়াঃ
এটি সময় ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচিত টপিক । আমরা দৈনন্দিন অনেক ধরনের কাজ করে থাকি, এসব কাজের মধ্যে কিছু থাকে অত্যান্ত প্রয়োজনীয় এবং কিছু থাকে অপেক্ষা মুলক কম প্রয়োজনীয় । মাঝে মাঝে কম প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে আমরা অত্যান্ত প্রয়োজনীয় কাজটি করতে ব্যর্থ হয় । এটি প্যাই আমার সাথে হতো। কিন্তু এখন আর এমনটা হয় না, কেননা আমি আমার কম প্রয়োজনীয় কাজের তুলনায় অত্যান্ত প্রয়োজনীয় কাজের অগ্রাধিকার বেশি দিয়ে থাকি । যার ফলে আমি সময়সীমার মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন না করতে পারলেও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে সক্ষম হই ।
টু-ডু লিস্টঃ
আমরা অনেকেই রাত্রে পরিকল্পনা করে ঘুমাই যে আগামিদিন কি কি করবো। কিন্তু পরের দিন সব কিছু মনে রাখতে পারি না ভুলে যাই, যার ফলে মাঝে মাঝে বিপদে পরতে হয় । এসব বিপদে পরতে হতো না যদি আমরা একটি কাগজে কাজ গুলি লিখে রাখতাম । তাহলে আমরা সময়ের মধ্যে এই সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবো এবং বিপদ এড়িয়ে চলতে সক্ষম হবো ।