ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) ছিলেন ফিকাহ (ইসলামি মাসলা ও মাসায়েল) শাস্রের উদ্ভাবক। চার ইমামের মধ্যে তিনিই একমাত্র তাবেঈন যিনি একাধিক সাহাবীদের দেখেছেন। তিনিই প্রথম ইসলামী আইনশাস্র কিতাবাকেরে লিপিবদ্ধ করান।
Masjid - e- Nabi
ঈমাম আজম আবু হানিফা (রহঃ) শৈশবকাল থেকেই অত্যন্ত মেধাবী, প্রখর বুদ্ধিমত্তা ও অসাধারণ স্মৃতিশক্তির স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন। শৈশবকালে তিনি পবিত্র কুরআনে করিম হিফজ করেন। কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি তার খুব আসক্তি ছিল। তার সাধারণ অভ্যাস ছিল প্রতিদিন দুই খতম করা অর্থাৎ মাসে ৬০ খতম পড়তেন। রাতে তাহাজ্জুদে ও দিনে নফল নামাজে।
আল্লাহ প্রদত্ত তীক্ষ্ণ প্রতিভা ও প্রখর স্মৃতিশক্তির সাথে আকর্ষণীয় সুন্দর চেহারার অধিকারী ছিলেন, তাকে দেখা মাত্রই লোকদের দৃষ্টি তার প্রতি নিবদ্ধ থাকত।
একবার লুটের কিছু ছাগল কুফাবাসীদের ছাগলের সাথে মিলে গিয়েছিলো। লুটের ছাগল ও কুফাবাসীদের নিজিস্ব ছাগলের মধ্যে পার্থক্যও করা যাচ্ছিলনা যে সেগুলো পাল হতে পৃথক করে মালিকের নিকট হচ্তান্তর করা যাবে। এখন এ আশংকা হচ্ছিলো যে কসাই বাজার হতে যে ছাগল এনে জবাই করবে হয়তোবা তন্মধ্যে লুটের ছাগলও থাকবে এবং বাজারের মধ্যে সেটার গোশতও বিক্রি করা হবে । এভাবে লুটের ছাগলের গোশত লোকদেরকে খাইয়ে দিবে। এমন গোস্ত থেকে কিভাবে বেঁচে থাকা যায়? ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) সে বিষয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। তিনি মানুষকে জিজ্ঞাসা করলেন যে একটি ছাগল কতদিন জীবিত থাকতে পারে? তারা বললো সাত বছর। ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) দীৰ্ঘ সাত বছর পর্যন্ত কুফাবাসীদের বাজার থেকে ছাগলের গোস্ত ক্রয় করেন নাই।
Battle field of Ohud
ভাই ঈমাম আবু হানিফার (রহঃ)জায়গায় আমরা হলে কি করতাম? কি বলতাম? যুক্তি দিতাম আমিতো ফ্রি খাইতেছিনা, টাকা দিয়া কিনে খাইতেছি সমস্যা কোথায়? তিনি ছিলেন উচ্চ মাত্রার পরহেজগার মানুষ। আল্লাহ আমাদেরকেও ছিটা ফোটা দান করুন।