কাল ভোট (৩০ এ ডিসেম্বর ২০১৮), আমাদের সংসদ নির্বাচন ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে বা নতুন সরকার আসবে এই আশা। ৯০℅ শতাংশ মুসলমান অামরা কি চাই?
যদিও সরকার পরিবরতন একমাত্রই আল্লাহতায়ালার হাতের মধ্যে এইখানে ভোট গৌন, কারন পবিত্র কুরান শারিফে আল্লাহতায়ালা বলতেছেন,"
বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল"
যেই আসুক আমরা চাই দেশের মানুষের শান্তি, ইসলামের উন্নতি অর্থাৎ ইসলামী ভাবধারা নিয়ে মানুষ চলতে পারে যদিও এই দেশে কোন ইসলামী আইনকানুন নাই দেশ মুসলমানের আইন চলে ব্রিটিশের। আর আমাদের দেশে ইসলামি সরকার আসার কেয়ামত পর্যন্ত ইনশাআল্লাহ সম্ভাবনা নাই, আপনারা হয়তো বলবেন কিভাবে আমি এইতো বড় কথা বলে ফেল্লাম কারন আমি বাংলাদেশিদের হাড়ের মজ্জা বুঝি।
আমি বলছি একটু ৈধর্য্য ধরুন, ধরুন এক লক্ষ বাঙালী কোনো ওয়াজ মাহফিলে শরিক হলো ওয়াজের মাঝখানে হুজুর জিজ্ঞাসা করলো এই দেশে আপনারা ইসলামি শাসন চান কিনা? সবাই এক আওয়াজে বলবে হ্যাঁ, চাই চাই এবং শ্লোগান দিবে ইসলামী শাসন জিন্দাবাদ, দ্বীন ইসলাম জিন্দাবাদ। হুজুরও খুশি, সবাই খুশি কিন্তু যখন ভোটের সময় হবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সিল দিবে নৌকা বা ধানের শীষে, সামান্য কিছু লাঙ্গলে। কেউই অন্য মার্কায় সিল দিবে না দুই একজন ছাড়া তাহলে কিভাবে আসবে ইসলামী শাসন? ভোটের সময় অামরা নারী নেতৃত্বের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহন করি। আলেমদের মুখে শুনেছি, "আল্লাহ ততক্ষন পর্যন্ত কোনো জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেরা চেষ্টা না করে "
চেষ্টা করাতো আমার জিম্মায়। এমনকি যদি সরকারের উপর মহলে আমাদের পরিচিতি থেকে থাকে তখনও বলি না বা আলোচনাও করি না যে দেশে ইসলামী শাসন দরকার। হাত তুলি আর শ্লোগান দেয় শুধু ওয়াজ মাহফিলে এই পর্যন্তই, খুশি করি শুধু হুজুররে। যা হোক আমাদের ভিতর আর বাহির এক হওয়া চাই তাহলে না মুমিন, এর বিপরীত চরিত্র মুনাফিকের চরিত্র। আল্লাহ আমাদের মুনাফিকের চরিত্র থেকে হেফাজত করুন।
কম ছে কম এতোটুকুতো করতে পারি যে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহের কাছে বলি যাদের দ্বারা ইসলামের উপকার হবে তাদের ক্ষমতায় বসান আল্লাহও আমার ভিতরটার অবস্থা দেখুক যদিও তিনি সব কিছু জানেন।