চলছে পবিত্র রমজান মাস।
গরমের দিনগুলোতে রোজা রেখে ক্লান্ত? এবার সময় এসেছে আপনার খুশি হওয়ার। কারণ, এতো কষ্ট করে একটা মাস রোজা রাখার ফলে আপনি কিন্তু পাচ্ছেন স্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি কিছু সুবিধা। জানতে চান কী ধরণের সুবিধা আপনাকে দিয়ে থাকে রমজান মাস? তাহলে দেখুন-
দূষিত উপাদান শরীর থেকে বের হয়ে যায়
দূষিত উপাদান দেহের জন্য কতটা মারাত্বক যে সমস্যায় ভোগে সেই বোঝে।আমরা সাধারণত যে ধরণের খাবার সারা বছর খেয়ে থাকি, তাতে অনেক ধরণের দূষিত উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলোর বেশিরভাগই চর্বিতে গিয়ে জমা হয়। রোজার দিনগুলোতে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে এই চর্বিগুলোই ভেঙে যেতে থাকে। ফলে দূষিত উপাদানগুলো দূর হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।এর ফলে শরীরে যে অংশ থাকে তা সম্পুর্ন নিরাপদ ও দূষন মুক্ত থাকে।
হজমে সুবিধা
রমজান মাসে যখন ইচ্ছা তখনি খাওয়া যায় না।
রমজান মাসে খাবারের সময়টা একটা রুটিনে চলে আসে। এর ফলে যারা খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম করে গ্যাস্ট্রিক বা আলসার বাঁধিয়ে ফেলেছেন, তাদের এই সমস্যা দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া খাবারে তেলযুক্ত খাবারের আধিক্য না থাকলে খাবারও সঠিকভাবে হজম হয়।
ধূমপান নিয়ন্ত্রণে আনে
রোজা রেখে ধুমপান বৈধ নয়।তাই যে ধূমপায়ী ব্যক্তিরা অনেকদিন ধরে এই বদ অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইছেন, তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগও এই রোজাতেই আসে। মাসখানেক একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ধূমপান না করার ফলে ফুসফুসও আরাম পায়।এমনকি মাস শেষে দেখা যায় নেশা অনেকটাই কেটে গেছে ধুমপানের।
রক্তে চিনির পরিমাণ কমে
যাদের ব্লাড সুগার সমস্যা তারা উটতে বসতে চিনি হিসাব করে।কখন জানি উল্টা পাল্টা হয়ে যায়।
রমজান মাসে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব সহজ। সারাদিন বাড়তি খাবার খাওয়া হয় না এ সময়। যদি ইফতারে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি না খাওয়া হয়, তবে এ সময় রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়বে না।
দুনিয়ার শান্তি ছাড়াও আখিরাতে রয়েছে অসংখ্য পুরষ্কার।রমজান মাসকে কাজে লাগিয়ে শারিরীক সুস্থতার পাশাপাশী গরীব,দুস্থ মানুষের সাথে মিশে যাওয়ার একটা সুগম পথ তৈরী হয়।আর বিশষ করে স্হাস্থ্যের দিক দিয়ে যারা একটু মোটা তাদের ও সুযোগ হয় মাস টাকে কাজে লাগিয়ে নিজের স্বাস্থ্যকে নিয়ন্ত্রনে আনার।আজ এ পর্যন্তই ।সুস্থ্য থাকবেন ভালো থাকবেন।