headerবুদ্ধিমানেরাই সঠিক সম্পদের পরোখ করতে পারে।
এক দেশে এক রাজা ছিলেন, রাজার দরবারে অনেক দাসদাসী ছিল। সে সবার সাথে ভাল ব্যবহার করত, কিন্তু একজন দাসীকে সে খুব ভালবাসত, এই নিয়ে রাজমহলে অনেকেই অনেক কথা বলত। কেউ কেউ বলত রাজ্যে এত সুন্দর মেয়ে থাকতে রাজা একজন দাসীকে ভালবাসলেন। এভাবে অনেকে অনেক মন্তব্য করত। একদিন রাজার এক বন্ধু তাকে বলল তুমি কি জান তোমার আর দাসীর সম্পর্ক নিয়ে রাজ্যের প্রজারা অনেক বাজে মন্তব্য করছে। বন্ধুটি আরও বললেন রাজ্যে এত সুন্দরী মেয়ে থাকতে এই সামান্য দাসীর সাথে সম্পর্কে জড়ালে। তখন রাজা বললেন ঠিক আছে রাজ্যের সব সুন্দরী মেয়েদের ডাক, এদের মধ্যে থেকে যাকে আমার পছন্দ তাকেই আমি বিয়ে করব। সময় মত রাজ্যের সব সুন্দরী মেয়েরা রাজদরবারে হাজির। এদের মধ্য থেকে রাজা যাকে পছন্দ হয় তাকেই বিয়ে করবেন। এরই মধ্যে রাজা ও তার সেই দাসীও হাজির হলেন। রাজা তার সব ধন সম্পদ, হিরা, মনিমুক্তা ইত্যাদি সবার সামনে রাখলেন। রাজা বললেন যার যা সম্পদ এখান থেকে নিয়ে নাও তারপর আমি যাকে বিয়ে করব তাকে পছন্দ করব। এ কথা শুনে সবাই ইচ্ছে মত মনিমুক্তা টাকা পয়সা নিয়ে নিলেন। কিন্তু সেই দাসীটি কোন ধন সম্পদ না নিয়ে রাজার পাঞ্জাবী ধরে রাখলেন। সবাই হতবাক হয়ে দাসীটির দিকে তাকিয়ে রইলেন। রাজার সে বন্ধুটি জিজ্ঞেস করলেন হে দাসী তুমি তো গরিব, তোমার কত অভাব, কিন্তু তুমি কিছু না নিয়ে রাজার পাঞ্জাবী ধরে আছ কেন? দাসী উত্তর দিল “সবাই তোঁ সম্পদ নিয়েছেন কিন্তু আমি এই সম্পদের মালিকের হয়ে জেতে চাই। এই সম্পদের মালিকের হয়ে গেলে তো সব সম্পদই আমার, তাই আমি সম্পদের মালিকের পাঞ্জাবী ধরে রেখেছি। তখন রাজা বললেন এবার হয় তো সবাই বুঝতে পেরেছেন কেন আমি রাজ্যের সব সুন্দরী রেখে দাসিকে ভালবাসি। সবাই তখন লজ্জিত হয়ে বলল হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি।