আজ যে বিষয়টা নিয়ে লিখব । সেটা হয়তো কারো ভালো নাও লাগতে পারে ,কেউ আবার পছন্দও করতে পারে,কারো আবার এতে বিরক্তবোধ থাকতে পারে । তবে যাই হোক না কেন , আমি আমার জায়গা থেকে আমার মতো করে লেখার চেষ্টা করেছি । আশা করি আপনার বিবেক ও বুদ্ধিকে একটু কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন ।
আমার সাথে ঘটে যাওয়া কথাগুলো আমি বলব না । তবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে যে কথাগুলো আমার মাথায় আসছে, সেগুলো আমি আজকে লেখার চেষ্টা করব ।
তীর্যক পূর্ণ সমালোচনা না করে, একটু আন্তরিক হওয়ার চেষ্টা করুন ।একটু মানবিক হয়ে ভাবার চেষ্টা করুন । আপনার একটি তিক্ত সমালোচনা , কারো বুকে তীরের মতো আঘাত করতে পারে । তাই সমালোচনা হোক সাবলীল ভাষায় ও গঠনমূলক ।
আমি অনেক টিনেজারদের কে দেখেছি যে, তারা অনেক বেশী আবেগপ্রবণ এবং তারা আবেগকে এতটাই প্রাধান্য দেয় যে তারা আবেগের বশে অনেক কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে, যা মোটেও কাম্য নয় । জীবনটাকে লম্বা নয় , বড় করে দেখার চেষ্টা করো ।
হ্যাঁ আমি জানি যে , তুমি এই মুহূর্তে অনেক মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত আছো । তুমি অনেক কষ্টের মধ্যে সময় কাটাচ্ছো । তোমার হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে । তোমার বিশ্বাসের স্থান ও বিশ্বাসের ব্যক্তির প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছে । তুমি তীর্যক পূর্ণ সমালোচনায় জরাজীর্ণ । তোমার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে । তার মানে এই না যে তুমি হেরে গিয়েছো ।
ঠিক ঐ কঠিন মুহূর্তটা থেকেই চিন্তা করো নিজেকে নিয়ে । বুদ্ধি খাটাও, জীবন তোমার সিদ্ধান্ত কিন্তু তোমাকেই নিতে হবে । ঐ রকম কঠিন মুহূর্তে, একজন শ্রোতা খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করো । যার কাছে তুমি নির্ভয়ে এবং স্বাচ্ছন্দে নিজের কথাগুলো বলতে পারবে এবং যে তোমাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিতে পারবে, এই রকম একজন শ্রোতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঐরকম কঠিনতম সময়ে ।
যাইহোক সবার উদ্দেশ্যে এখন একটা কথাই বলবো । খারাপ সময় মানুষের জীবনেই আসে এবং চেষ্টা করুন হতাশায় না ভুগে, মানুষের সঙ্গে একটু স্বাভাবিকভাবে স্বাচ্ছন্দে কথা বলার জন্য এবং একজন ভালো শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা করুন এবং অবশ্যই সুইসাইড মোটেও কাম্য নয় এবং এটার মাধ্যমে কোন সমাধান হতেই পারে না । তাই কেউ হতাশায় ভুগলে, তাকে চেষ্টা করুন স্বাভাবিকভাবে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য এবং সবাই সবার মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি একটু গুরুত্ব দেওয়া উচিত ।
ধন্যবাদ