বাংলার ভেষজগুণ ও তুলসীগাছের গুনাগুন

তুলসী একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। তুলসী গাছ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এর উপকারিতা অনেক তুলসী পাতার গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে ন। তুলসী গাছের পাতা বীজ বাকল ও শিকড় সবকিছুই অতিপ্রয়োজনীয়। ঔষধিগুণ তুলসী গাছ বিভিন্ন রোগ সারাতে ও কাজ করে20200720_122754.jpg

বাংলাদেশের মানুষের অনেক রোগ থাকে । তারমধ্যে সর্দি কাশি শ্বাসকষ্ট চর্মরোগ ইত্যাদি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সকল রোগের ঔষধ তুলসী গাছ বিশেষভাবে কার্যকর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ তুলসী গাছের আরো গুনাগুন রয়েছে যেমন তুলসী গাছ ঘরে থাকলেই মশার উপদ্রব্য হতে রেহাই পাওয়া যায়।

বিশেষ করে বাচ্চাদের ঠাণ্ডা কাশি থেকে রক্ষা পেতে তুলসী পাতা সাথে একটু মধু মিশিয়ে খাওয়া দিলে এতে ঠান্ডা কাশি ভালো হয়। যদি কফ থাকে তা লিকুইড হয়ে বের হয়ে আসে। বিশেষ করে সকাল বেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে মুখে রুচি বাড়ে। তুলসী পাতার রস খেলে দ্রুত জ্বর ভালো হয় এবং মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যায়।

তুলসী পাতা চায়ের সাথে মিশিয়ে খেলে শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর হয় এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়। মাথা ব্যাথা ও শরীর ব্যথা কমাতে তুলসী পাতা খুবই উপকারী20200720_122802.jpg

যদি কোন ব্যক্তির চোখের সমস্যা হয় চোখে কম দেখে অথবা হালকা ঝাপসা ঝাপসা দেখে তাহলে তুলসি পাতা রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে এবং ওই পানি দিয়ে সকালবেলা চোখ দুয়ে নিলে আস্তে আস্তে সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। বাংলাদেশের অনেক মানুষের বিল্ডিং এর বারান্দা,ছাদে, ঘরের সামনে এবং রাস্তার আশেপাশে তুলসী গাছ লাগায়। বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের কাছে প্রিয় ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে তুলসীর জুড়ি নেই। আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তুলসী গাছের জীবন কাহিনী পড়েছি। এই তুলসি গাছের গুরুত্ব তা বলে শেষ করা যাবেনা।

বিশেষ করে এই তুলসী গাছ বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রত্যেক বাড়িতে প্রত্যেক ঘরের সামনে রোপন করে থাকে । এই হিন্দু সম্প্রদায় তুলসী গাছকে দেবতাতুল্য মনে করে এবং সকালবেলা উঠে তুলসী গাছ যত্ন সহকারে সেবা-যত্ন করে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই গাছকে টবের মধ্যে এবং পাকা করে ওই জায়গায় উনারা রোপন করে তুলসী গাছ কে তারা দেবতাতুল্য মনে করে। তবে যাই বলি না কেন তুলসী গাছ সকল মানুষের ক্ষেত্রেই বিশেষ উল্লেখযোগ্য ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়20200720 12.50.03.jpg

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now
Logo
Center