চা একটি বাংলাদেশের অর্থকারী ফসল। চা উৎপাদনে বাংলাদেশ মানুষের আগ্রহ বেশি, অন্যান্য ফসলের তুলনায় চা উৎপাদনে খরচ কম। যদিও বাংলাদেশের সর্বস্থানে চা উৎপাদন হয় না তবে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জে এবং খাগড়াছড়িতে প্রচুর পরিমাণে চা চাষ করা হয়। মৌলভীবাজার কে চা উৎপাদনের নগর কেন্দ্র বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রায় 70 শতাংশ চা উৎপাদন হয় মৌলভীবাজার
চা বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি জনপ্রিয় পানীয়। বাংলাদেশে এমন কোনো মানুষ নেই সকালে, দুপুরে, বিকালে চায়ের কাপে চুমুক দেয় না। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের কাছে চায়ের আগ্রহ রয়েছে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বাসায়, বিভিন্ন স্টলে চায়ের জন্য ভিড় জমায়। চা স্টল হচ্ছে ছোটখাটো একটি সংসদ ভবন যেখানে বাংলাদেশ উচ্চপদস্থ থেকে গ্রাম পর্যায়ের রাজনীতিক আলাপ-আলোচনা হয়ে থাকে। গ্রাম্য সমাজে ছোটখাটো ঝগড়া ঝাটি হলে চা স্টলে বসেই এর সমাধান বা মিমাংসা হয়ে থাকে। অর্থাৎ গ্রাম্য সংসদ ভবনে আলোচনা হয়ে থাকে
বাংলাদেশ মানুষকে যেমন মাছে ভাতে বাঙ্গালী বলা হয়, তেমনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে সকালে চা ও বিস্কুট অতিপরিচিত একটি পানীয়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা রাস্তায় প্রত্যেকটা বাড়ির মোরে একটা দুইটা তিনটা করে চা স্টল থাকে। এই ছোটখাটো স্টলগুলোতেও সকালে বিকালে প্রচুর পরিমাণে চা আড্ডা থাকে। এগুলোতে বিভিন্ন ধরনের আলাপ-আলোচনা হয়ে থাকে, গল্প-গুজব হয়ে থাকে। মনে হয় যেন স্টলগুলোতে মানুষের হাসি-কান্না নিবিড় ভাবে জড়িত। যখন বিশ্বকাপ ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলা চলে তখন মানুষের ভীড়ে চা স্টল গুলোতে স্থান পাওয়া যায় না। সেখানে যাওয়া যায় না তখন চা স্টলগুলো হয়ে উঠে এক একটা আনন্দের স্থান। কে কোন দল করে কে কোন দেশের সাপোর্ট নিয়ে চলে বিশাল হট্টগোল
বাংলাদেশে অনেক লোক চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিভিন্ন জায়গায় চা স্টল দিয়ে চা এর উপর নির্ভর করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এই জীবিকা নির্বাহের পেছনে আছে বাংলাদেশের মানুষ উচ্চ পর্যায় থেকে নিম্ন পর্যায়। সকলেই চা পছন্দ করে এবং সকলের কাছেই জনপ্রিয় এবং পছন্দনীয়। তাই বাংলাদেশ চা এর কোন তুলনা হয় না। যা সবার কাছেই প্রিয় একটি পানীয়। ধন্যবাদ সবাইকে