অনেক তো হাতি-ঘোড়া মারা হলো এশিয়া কাপের উদ্দেশ্যে যাবার আগে। শুধু যাবার আগেই বা কেন, যাবার পরেও তো প্রাকটিস সেশনে কত কিইনা হলো।
দেশ থেকে উড়িয়ে নেওয়া হলো লেগ স্পিনার, ইন্ডিয়া থেকেও নাকি নেটে বল করার জন্য জন দুই লেগিকে আনা হয়েছিলো। ব্যাটাররাও নাকি প্রস্তুত ছিলো আফগানকে হারানোর জন্য।
ফলাফল তো আর তার কিছুই হলো না। প্রত্যেকে যেন ব্যাটিং করতেই ভুলে গেলো। বল তো চোখেই যেন দেখতে পারছিলো না কেউ। যদিও আমি টসের সিদ্ধান্ত আর একাদশ দেখেই আমার সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছিলাম, এই ম্যাচে পরাজয় অপেক্ষা করছে। বাস্তবেও হলো তাই।
ফর্মহীন ওপেনারদের থেকে কেন দু'জনকেই চান্স দিতে হবে? কেন আফগানীরা পেস ভালো খেলে জানা সত্ত্বেও তিনজন পেসার খেলাতে হবে অন্তত আমার মাথায় আসে না। ক্রিকেটের কর্তাব্যক্তিরা নিশ্চয়ই এ বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন বলেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কিন্তু এমন তো নয়, এবারেই প্রথম! এরকম বহু হঠকারী সিদ্ধান্ত তো আমরা দেখে এসেছি। কিন্তু লাভ কি হচ্ছে কোনো?
সে যাই হোক, এরপরে এলো টিকে থাকার লড়াই। অপেক্ষাকৃত দুর্বল শ্রীলংকান দলকে হারানোটা যেন নিশ্চিতই ছিলো বিসিবির কাছে। কিন্তু বিধি বাম, মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক।
Source
এবারেও একাদশ আমার পছন্দ হলো না। ঢেলে সাজানোর চেষ্টা ব্যর্থ হলো এবারেও। এবারেও আমার আপত্তি কেন অন্তত একজন ওপেনারকে নেয়া হলো না। তাও মেহেদী মিরাজ যথেষ্ট ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলো। পাবলিক চয়েজে দলে জায়গা পাওয়া সাব্বির রহমান ব্যর্থ।
সাকিব তো দুই ম্যাচেই থাকলেন নিজের ছায়া হয়ে। আর সেই যে একজন, যিনি ডার্টি হার্ড ওয়ার্ক করেন যখন আমি আপনি ঘুমাই, তিনিও ফল আর দেখাতে পারলেনই বা কই? আশাজাগানীয়া আফিফের পারফরম্যান্সও খুব একটা সন্তোষজনক নয়।
আর মুস্তাফিজের কথা কীইবা বলার আছে। ক্রিকেট প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল, সময়ের সাথে নিজেকেও প্রতিনিয়ত আপগ্রেড করতে হয়। দ্য ফিজ কি তা করছেন? নাকি নিজেকে ধরে নিয়েছেন একজন অটো চয়েজ হিসেবে?
ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব ডিপার্টমেন্টেই ব্যর্থ বাংলাদেশ দল। আর যাবার আগে হেড কোচকে নিয়ে যে নাটকটা হলো তা নিয়ে তো আর বেশি কিছু বলার নেই। দুর্নীতি এমনভাবে প্রতিটি শিরায় শিরায় ঢুকে গিয়েছে যে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে ব্লাড ট্রান্সফিউশান প্রয়োজন।
অবশ্য সাকিব তো আগেই বলেছিলো, রাতারাতিই সবকিছু বদলে যেতে পারে না। রাতারাতি বদলাক সেটাও চাওয়া না, বদলটা যেনো দীর্ঘস্থায়ো হয়। আর যেই মাহমুদুল্লাহ এর ব্যাটিং এর ওপরে সবাই বিরক্ত, যেভাবে তাকে নিরবে টেস্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছিলো, টি২০ থেকেও বিদায়ের মঞ্চ যারা প্রস্তুত করছেন, আমি বলবো আমি আপনাদের পক্ষ নিতে পারছি না বলে দুঃখিত।
Source
তবে স্বস্তির জায়গা হয়ে উঠতে পারেন মোসাদ্দেক। এশিয়াকাপকেও তাই ধরে নিচ্ছি টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ। সোহান-লিটনও সুস্থ হয়ে ফিরুক দলে। দলটা একটু গোছানো হোক, দুর্নীতির গ্রাস থেকে রক্ষা পাক ক্রিকেট। নাহলে স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে নেওয়াটাও খুব একটা খারাপ হবে না মনে হয়। দেশের দুঃসময়ে অতীতেও স্বস্তির পরশ দিয়েছে এই ক্রিকেট, এখন যে এটার আরো বেশি প্রয়োজন!