স্মার্ট ফোন কি আপনার ব্রেইন কে ঠিক রাখছে ?


image.png
source

আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহ ,

হাইভ পরিবারের সকল বন্ধুবান্ধব কেমন আছেন আশা করি ভাল আছেন হঠাৎ করে আমার মনের ভিতরে একটি প্রশ্ন জাগে সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমি কিছু অদ্ভুত জিনিস খুঁজে পায় যেটা আমাকে ভীত সন্ত্রস্ত করেছে পরে চিন্তা করলাম আজ আমি আমার পরিবারের সকল বন্ধু-বান্ধবের কাছে এ ব্যাপারটি আমি জানাবো ।

আমরা মানুষ জাতি আমরা আদিযুগ হতে এপর্যন্ত অনেক কিছু নতুন নতুন উদ্ভাবন দেখেছি একটি সময় আগুন ধরাতে পাথর দিয়ে পাথরে ঘষাও দেয়ার পরে আগুন তৈরি হতো সেখানে এখন আগুন ধরানোর জন্য কত কিছুই না আবিষ্কার হয়েছে সেটা কিভেবে দেখেছেন ।

মাটির নিচ থেকে পৃথিবীর বাইরে পর্যন্ত আমরা মানব জাতি পৌঁছে গিয়েছি এখন আমরা মাটির নিচে অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে গিয়েছি সেখানে যেমন ধরেন খনিজ পদার্থ থেকে শুরু করে পানি এবং মাটির নিচে যাবতীয় পৃথিবী যত দামি দামি সম্পদ আছে সেগুলো আমরা এখন উত্তোলন করতে পারি থেকে কিভাবে আমরা পৃথিবীর বাইরে অনেক কিছুই স্থাপন করেছি তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে স্যাটেলাইট ।

দিন যত যাচ্ছে তত নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন হচ্ছে উদ্বোধনের কথা বলে শেষ করা সম্ভব নয় কারণ প্রত্যেক দিনই নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার হচ্ছে এবং প্রত্যেকটি জিনিসের ব্যবহার যোগ্য হয়ে উঠছে এর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে হলো আমাদের সবার হাতে আছে স্মার্টফোন ।

স্মার্টফোন এমন একটি জায়গা অবস্থান করে নিয়েছে যেখানে প্রত্যেকটি ব্যক্তির কাছে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অবস্থান করে নিয়েছে ধরা যেতে পারে হয়তো বা এটি শরীরের কোন অঙ্গ ।স্মার্টফোন এমন কোন দেশ নেই এমন কোন জায়গা নেই যেখানে এখন ব্যবহার দেখা যায় না প্রত্যেকটি দেশের প্রত্যেকটি জায়গায় তার এমন একটা অবস্থানে রয়েছে প্রত্যেকটি ঘরেই হিসু করলে দেখা যায় পাঁচজন যদি ঘরের সদস্য থাকে তাহলে হয়তোবা অন্তত তিন জনের কাছেই স্মার্টফোন দেখা যায় ।

স্মার্টফোনের অনেক উপকার আছে কিন্তু তার মধ্যে একটি বড় অপকারও আছে যেটা আমাকে অনেক ভাবিয়ে তুলেছে , আমি অবাক হয়ে গেছি যখন আমার কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা তৈরি হয়েছে তার পেছনে স্মার্টফোনকে দায়ী করেছেন ডাক্তার ।এই বিষয়ে আমি আপনাদের কাছে এই ব্যাপারটি শেয়ার করব ।

স্মার্টফোনের উপকারের কথা বলে শেষ করা যাবে না সেটা হিসাব থেকে শুরু করে এখন বর্তমানে স্মার্টফোন গুলো খুব কম জিনিস আছে করা যায় না কিন্তু অপকার যেটা সামনে এসেছে এটার কোন সমাধান খুঁজে বের করাটা খুব কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে এর সমাধান একমাত্র আপনি নিজেই , আমরা প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন ব্যবহার করছি প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে , বিশেষত যতটুকু প্রয়োজন থাকে রাত্রেবেলা প্রয়োজনটা নিজের জন্য হয়ে দাঁড়ায় ।

প্রত্যেকটি ব্যক্তি যাতে একটি স্মার্টফোন আছে তারা ঘুমানোর আগে স্মর্টফোন নিয়ে কিছু না কিছু দেখে সেটা নিজের জন্য ইন্টারটেনমেন্ট হিসেবে নেয় কিন্তু এই ইন্টারটেইনমেন্ট তার অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সে নিজেই জানে না ইন্টারটেইনমেন্ট নিতে গিয়ে তার শরীর থেকে হরমোন অনেক ধরনের রোগের সম্মুখীন হচ্ছে এটি আস্তে আস্তে তৈরি করছে সে নিজেও জানে না যার নিজের শরীরের তিল আছে এগুলো ভেঙে যাচ্ছে আরে সেলগুলো নতুন করে তৈরি হচ্ছে না কারণ তার ঘুম নষ্ট হয়ে যায়

।ঘুম এমন একটি জিনিস প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের অমূল্য সম্পদ হিসেবে বলা গেলে ভুল হবেনা কারণ প্রত্যেকটি মানুষের শরীরের সবকটি কৌর এবং সবকটি নার্ভ নির্ভর করে ঘুমের উপরে যদি কোনো ব্যক্তির ঘুম পরিপূর্ণ হয় তাহলে সে ব্যক্তির শরীর ঠিক মত কাজ করবে তার ব্রেইন থেকে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত প্রত্যেকটি জিনিস সঠিকভাবে কাজ করবে কিন্তু ঘুম যদি আপনার কম হয় তাহলে আপনার শরীরের প্রত্যেকটি কোষ এবং নার্ভ দুর্বল হওয়া শুরু করবে ফলশ্রুতিতে দেখা যাবে আপনার শরীরের ভিতরে অনেক বড় বড় রোগ বাসা বেধেছে

তেমনি শরীরের একটি রোগ নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে প্রথম প্রশ্ন ছিলো ঘুম কেমন হয় পরক্ষণে কথায় কথায় উঠে আসে রাত্রে বেলা ঘুমানোর আগে কি কি কাজ করা হয় সেখান থেকে স্মার্টফোনের কথাটা উল্লেখ করা হয় সেখান থেকেই শুরু হয় এ স্মার্টফোনের অপকার সম্পর্কে । তখন আরও কিছু বিষয়গুলো তুলে ধরেন আপনাকে বিস্তারিত জানতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন ।

সংক্ষেপে বলা এটা বললেই চলে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে স্মার্টফোনের কারণে প্রত্যেকটি মানুষের অনেক বড় একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে যার কারণে অকাল মৃত্যু তৈরি হয়ে গেছে এটা থেকে দূরে রাখতে গেলে কিছু করণীয় নির্দেশনা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা । কিন্তু আমরা কি তা মানছি হয়তোবা না খুব কম লোকই আমরাই নির্দেশনার মানছি

এক্ষেত্রে আমি আপনাদের কে বন্ধু হিসেবে একটি পরামর্শ দিতে চাই অন্তত ঘুমানোর ২ঘণ্টা আগে কোনভাবেই স্মার্টফোনে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন না এবং নিজের অকাল মৃত্যু ডেকে আনবেন না ।

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now