জেরিন ও জাইফার অজানা গল্প ও কল্পকাহিনী,

IMG_20200510_161955.jpg

পরিচিতি, ছবিতে দুটি বাচ্চাকে দেখছেন, এরা একজন হল মোছাম্মদ জেরিন আলম আরবি এবং অন্যজন হলেন উম্মে মুসাররাত আলম জাইফা। এরা আমার দুইজন কন্যা । আল্লাহ আমাদেরকে দুটি কন্যা সন্তান দান করেছেন। আজকে এদের পরিচিতি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো ।আর সত্যিই আমি এদেরকে পেয়ে খুবই ভাগ্যবান । আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া যে, আল্লাহ আমাকে এরকম দুটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান দান করেছেন। আমি শুনেছি হাদিসের আলোকে ,যার প্রতি আল্লাহ অনেক খুশি থাকেন ,তাকেই নাকি আল্লাহ কন্যা সন্তান দান করেন । হয়তো জানিনা আমার উপর কোন কারনে খুশি হয়েছেন আমাকে দুটি কন্যা সন্তান দান করেছেন। আমি সত্যিই ভাগ্যবান আমার এই দুটি কন্যাসন্তানকে পেয়ে। এরা সারাক্ষণ সারাটা সময় আমার ঘরটাকে আলোকিত করে রাখে। হইচই ,কান্নাকাটি করে আমার সারা ঘর আনন্দে ভরে রাখে । আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন এদের কে হায়াত দান করেন এবং ভালো পথে চলে ভালো মানুষ হয়ে মানুষকে সেবা করতে পারেন।
Screenshot_20200709213410673_com.facebook.katana.png
##মোসাম্মৎ জেরিন আলম আরবি গল্প কথা,তার বয়স সাত বছর চলছে সে রঘুনাথপুর, তিতাস থানার অন্তর্গত একটি স্কুল ফজিলাতুন্নেছা মডেল কিন্ডার গার্টেন স্কুলে লেখাপড়া করে।বর্তমানে সে ক্লাস ওয়ানে পড়ে মোটামুটি মেধাবী ভালো। কোন কিছু পড়া দিলে খুব তাড়াতাড়ি সেটা অর্জন করতে পারে।স্কুলের শিক্ষক ম্যাডাম সকলেই তাকে খুব পছন্দ করে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো যে তার একটা স্বপ্ন আছে । আমি এই স্বপ্নটা ভিতরে জাগিয়ে দিয়েছি। সে এখন থেকে তার লক্ষ একজন ডাক্তার হবে । প্রত্যেকদিন স্কুলে যায় তার দাদির সাথে । যাওয়া আসার সময় তাদের সাথে যাওয়া আসা করে ।গাড়ি যুগে স্কুল বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। জেরিন খুব আইসক্রিম পছন্দ করে। স্কুল থেকে আসার সময় বাজার থেকে আইসক্রিম নিয়ে আসে। মাঝে মধ্যে সে ঘরের ফ্রিজ থেকে ওয়াস ক্রিম তৈরি করে। যদি ডাক্তার বারবার বারণ করেছে আইসক্রিম খাওয়ার জন্য কিন্তু সে আজকে খুব পছন্দ করে। সেই বিদায় ঠান্ডা লেগে যায় নিজে একটা ওষুধের নাম জানে যে ঠান্ডা লাগলে হবে।বয়সটা যদি অনেক কম অনেক কিছু বুঝে মাশআল্লাহ আমরা তার জন্য দোয়া করি । আর আমাকে বাবা বলে ডাকে ওর আম্মুকে আম্মুর সাথে সব সময় হাসিখুশি থাকে মাশাল্লাহ । অনেক সুন্দর সবার এর জন্য দোয়া করবেন ও যেন ওর স্বপ্ন একজন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে পারে। এটা আমারও ইচ্ছে খুব প্রিয়, তার দাদি র সাথে 24 ঘন্টায় থাকে ঘুমায় নামাজ পড়ে সবকিছু তাদের সাথে। ঘুরাফেরা করে খুব পছন্দ করে কাকার সাথে ঘুরাফেরা করে, প্রায় সময় খুব পছন্দ করে।প্রায় সময় দেখি চাচ্চু র সাথে ঝগড়া ঝাটি করে। সুখে পছন্দ করেপছন্দ করে চকলেট আইসক্রিম এটা- সেটা এনে দেয়। আমার থেকে বেশি আনে ওর জন্য।
##জেরিনের ভ্রমণ,যেদিন ভ্রমণ করতে খুবই পছন্দ করে । বিভিন্ন জায়গায় ট্রাভেলিং করা যাওয়া-আসা খুব ইনজয় করে । তাইতো বিভিন্ন জায়গায় ওকে নিয়ে আমি গিয়েছি। সীতাকুণ্ডে গিয়েছি, একবার প্লাস খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে গিয়েছিলাম ।পাহাড় উঠেছিল, মজা করে চার বিভিন্ন পিকনিকে গিয়েছিলাম। প্রত্যেক শুক্রবার আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই এতে খুব জেরিন খুব আনন্দ পায়।.তবে খুব বড় মোটরবাইককে উঠতে খুব পছন্দ করে । এজন্য প্রায় সময় মোটরবাইক ওকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যায়। বিশেষ করে প্রত্যেক শুক্রবার ভ্রমণ করতে খুবই পছন্দ করে । আবার ফুচকা-চটপটি আইসক্রিম।
IMG_20200418_173008.jpg

##জেরিনের কার্টুন দেখা, জেরিন খুব কার্টুন দেখতে পছন্দ করে। কার্টুন দেখার কথা বললে তাকে দিয়ে যেকোনো ধরনের কষ্টসাধ্য কাজ করানো যাবে । কাটুন দেখতে বলে তাকে খাওয়াতে হয় ,কার্টুন দেখার জন্য সব সময় সে বিভিন্ন ধরনের এর বায়না খুঁজতে থাকে । টেলিভিশনে পেনড্রাইভ দিয়ে সে সারাদিন কাটুন দেখতে চাই । তারপর মোবাইলে কার্টুন দেখে। মায়ের মোবাইলে কার্টুন দেখতে পারেন । আবার এখানে এসে গেমস খেলে এটা জিনিসের প্রতি খুব ইচ্ছে করে ।অনেক সময় থাকে কারণ দেখা থেকে বিরত রাখে প্রাণটা খুলে দেখার জন্য কার্টুন দেখার জন্য সব সময় বায়না ধরে।
##জেরিন টীচারদের সাথে ভালো আচরণ, যেদিনকে দুজন শিক্ষক পড়ায় একজন হলো ম্যাডাম ,যিনি সকালে পরিয়ে যান। আর একজন হলো শিক্ষক যিনি সন্ধ্যা অর্থাৎ রাতের বেলা পড়াতে আসেন । তাদের সাথে খুব ভালো আচরণ করে । তাদের হোমার ক গুলো করে রাখে । যা পড়ায় তার সব শেষ করে এবং স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা ও খুব পছন্দ করে । আর আরেকটু বেশি আদর করে ও জাহাঙ্গীর স্যারের মেয়ে বলে । সবাই একটু বেশি আদর করে ।এতে জেরিন খুব আহ্লাদে ভাবনায়। যাই হোক আমি চাই জেরিন তার স্বপ্নে অন্য জনকে অনেক সময় অনেক দূরে কাজ থেকে বিরত রাখে। সবসময় কার্টুন দেখতে পছন্দ করে যদিও কিন্তু এ কার্টুনের একটা সেটআপ তার মস্তিষ্ক হয়ে গেছে সেটা থেকে তাকে রক্ষা করতে হবে।!
IMG_20200528_180505.jpg

ছোট্ট জাইফার ছোট গল্প , জাইফা আমার ছোট্ট মেয়ে যার বয়স 19 মাস। এখনো দুই বছর হয়নি নিজেকে খুব দুরন্ত । একটি মেয়ে স্থির নেই সব সময় অস্থির । এদিকে-সেদিকে ঘুরাফেরা করে। সারাদিন শুধু দুষ্টুমি আর দুষ্টুমি । জেরিন ন থেকে একটু কালো কিন্তু তাকে। আমার মায়া লাগে সবচেয় বেশি । দুজনকে লাগে কিন্তু একটু বেশি মায়া লাগে। বাবা প্রিয় জন আমি যখন বাসায় যায় তখন বাথরুমের গেটে দাঁড়িয়ে থাকে। IMG_20200529_162250.jpg

জাইফা আমার প্রতি প্রচন্ড ভালোবাসে। কাজ করে যখন কিছু খাবে তখন আমার জন্য আলাদা করে রেখে দেয় ।আমি যখন বাসায় যাই তখন আমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর আমি যেখানে যাব ঘরের ভিতরে চারদিকে শুধু আমার পেছন পেছন ঘুরে । কাটুন দেখতে খুব পছন্দ করে মোবাইলে কার্টুন দেখে টিভিতে কার্টুন দেখে তার সবচেয়ে পছন্দের গান হচ্ছে ।

জাইফার পছন্দের বিষয়, জাইফা খুব আমসত্ত্ব খেতে পছন্দ করে প্রাণ ম্যাংগো বার । আর সারাক্ষণ শুধু ঘোরাফেরার পানির প্রচুর খাবে সেখানে প্রচুর পানি খাবে। এটা তার একটা স্বভাব ওর দাদী কাকা, দাদাভাই শুক্র সবাইকে পছন্দ করে তবে ওর সবচেয়ে পছন্দের । একজন ব্যক্তি হচ্ছে জাফরিন ওকে খুব পছন্দ করে । ফোন দিলে জাফরিন আসার ছোট্ট ছোট্ট কথা অনেক ভালো লাগে । অনেক আনন্দ লাগে একচুয়ালি দুজনকে নিয়ে আমার মনে হয় অন্যরকম স্বর্গে বসবাস করছি। আমি দোয়া করি তারা দুজন যেন মানুষের সেবা করতে পারে বড় হয় আল্লাহ যেন নেক হায়াত তাদেরকে দান করে। আমীন সবাই ভাল থাকবেন আমার দুটো কন্যা সন্তানের জন্য সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে নেক হায়াত দান।

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now