শুভ সন্ধ্য, আশা করছি সকলেই ভাল আছেন। সমাজের লোক এর অসচেতনতা জীবনের জন্য অনেক বড় হুমকি।একটি ছোট্ট গল্প দিয়ে শুরু করা যাক।
বাকরুদ্ধ
জনবহুল বাংলাদেশ টাকার নগরী ঢাকার শহর।এ শহরে বিভিন্ন পেশার মানুষের আগমন ঘটে বিভিন্ন কারনে তবে বেশিরভাগই একটি সুন্দর জীবন খুঁজতে আসে এখানে।জীবন আর জীবীকার তাড়নায় কেউ খুজে পায় চলার পথ কেউ বা হারিয়ে যায় অন্ধকারে।
নাম তার সোহেল গরিব কৃষক পরিবারে তার জন্ম।রঙিন জীবনের সপ্ন নিয়ে ঢাকর শহরের অভিমুখে যাত্রা।কিন্তু এ শহরে কর্ম যে দক্ষতা ছাড়া মেলে না এটা বুঋতে তার দিন কয়েক লাগল।তো রীতিমতো ধকল খাওয়ার পর মিলালো চাকুরী। কোম্পানির চাকুরী ৭ হাজার টাকা বেতন।বছর খানিক কাজ করার পর সে ভাল কম্পানিতে চাকুরি পেল বেতন ১৫ হাজার টাকা।তো সে অন্য কোম্পানি তো চাকুরীতে যোগদিল।সে কিছু টাকা জমিয়ে ঈদে বাড়ি যাওয়া আগে একটি মোটর বাইক কিনে ফেলল।
বাড়িতে মাকে কল দিল সোহেল কথা হলঃ মা আমি নতুন মোটর বাইক কিনছি। মাঃ- সাবধানে চালাইস বাজান।ঢাহার শহরের রাস্তা ঘাট নাকি ভাল না। সোহেলঃ- আচ্ছা মা, আর হ্যা ঈদে কি নিবা, বাজানের জন্য পানজাবি এবং লুঙ্গি কিনছি, তোমার লাইগ্গা কি টাঙ্গাইল শাড়ি কিনমু। মাঃ- না, বাজান আমার কিছু লাগবে না তুই সাবধানে বাড়িতে আয়।
মায়ের জন্য শাড়ি আর কিনে সোহেল বাড়ির উদ্দেশ্য যাত্রাকরল।নতুন মোটরবাইক মনের আনন্দ একটু জোরেই চালাচ্ছিল সে। আকাশে মেঘ করে ছিল। হঠাৎ খুব জোরে বৃষ্টি নামল।হঠাৎ চোখের সামনে পরিবহন, কিছু বুঋে ওঠার আগেই সোহেল ছিটকে চলে মোটরবাইক থেকে, রাস্তার পাশে থাকা গাছের সাথে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হল।
বাংলায় একটা কথা আছে খারাপ সংবাদ বাতাসের আগে পৌছায়।সোহেল এর ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম হল না, তাকে হাসপাতলে নেওয়া হল জরুরি সেবা কেন্দ্র লাইফ সাপোর্ট এ থাকল সে চারদিন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ত্যাগ করল সে দুনিয়ার মায়া।এই চার দিনে সোহেলের হাসপাতাল খরচ ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।যেটা পরিশোধ করতে ভিটে বাড়িটি ও বেচতে হয়ে ছিল সোহেলের বাবার।
পড়ে রইল সেই মোটরবাইক মায়ের জন্য কেনা টাঙ্গাইল শাড়ি, বাবার জন্য কেনা লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি, এবং মোটরবাইক এ বাধা হেলমেট টা।
হেলমেট টি মাথায় থাকলে হয়ত বেঁচে থাকত সোহেল বেঁচে থাকত সোহেলের পরিবার।
সোহেলের মত হাজার ও মানুষ তারে সামান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারে সচেতন না হওয়ার জীবনের মায়া ত্যাগ করতে হচ্ছে।আসুন সচেতন হই মোটরবাইক ব্যবহার এর সময় হেলমেট পরিধান করি।গাড়িতে চড়ার সময় সিটবেল্ট ব্যবহার করি। জলপথে চলা চলের সময় লাইফ যেকেট কোথায় থাকে তা যেনে নেই।আপনার সতর্কতা বাচিঁয়ে দেবে আপনার জীবন।
ভাল থাকবেন সবাই।
join bdcommunity
[join me Discord @faysal72#4722]
add me on Facebook