''নতুন অতিথি''। আমার এই কাজটি মাস্টার্স ১ম বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষার কাজ। আমি এখানে মেটাল হিসেবে কোদাল ব্যাবহার করেছি। কোদাল দিয়ে আমি একটি পরিবারের নতুন অতিথির আগমন দেখিয়েছি। মা তার নতুন সন্তানকে কোলে নিয়ে আছে এবং পরিবারের বাকি সবাই সন্তানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। নতুন অতিথি পরিবারে আসার যে আনন্দঘন মুহূর্ত এটি ফুটিয়ে তুলেছি এই কাজে।
প্রায় দেড় বছর পরে মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু হইছে। অনলাইনে পরীক্ষা হবে। প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা কিভাবে হবে কোন ধারণাই ছিলো না। জুনিয়রদের অনার্স পরীক্ষা কিছুদিন আগে অনলাইনে হইছে। ভিডিও কলে এসে এক ঘণ্টার ভিতরে কিছু একটা ড্রয়িং করে দেখাতে হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো আমাদের পরীক্ষাও এভাবে নিবে। কিন্তু পরে দেখি আমাদের পরীক্ষার সময় চার দিন। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ তা পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০ টায় একবার এবং
দুপুরে একবার ভিডিও কলে এসে কি কাজ করছি দেখাতে হবে। প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় তেমন বড় কোনো কাজ করার দরকার নেই স্যার বলে দিলেন। আমার এই কাজটি করতে সময় খুব কম লেগেছে। আমাদের পরীক্ষা চলতে চলতে করোনার কারনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। সেই পরীক্ষার সময় আমার যে সরঞ্জাম ছিলো সেগুলো দিয়েই এই পরীক্ষার কাজ করবো বলে ঠিক করলাম। স্যার কে বললাম সব কিছু এই মুহূর্তে আমার পক্ষে নতুন করে সরঞ্জাম কিনে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। আগের পরীক্ষার সব আছে আমার কাছে ওগুলো দিয়েই কাজ সম্পন্ন করবো। প্রথম দিন বৃষ্টির কারনে ডিপার্টমেন্টে যেতে পারলাম না। পরের দিন সকাল ১০ টায় ডিপার্টমেন্টে গিয়ে আমার পরীক্ষার সব জিনিস নিয়ে চলে আসলাম। সেদিন বাসায় এসে শুধু কি কাজ করবো তার একটা খসড়া করলাম। পরেরদিন সকালে স্যার কে দেখলাম এই কাজ করতে চাই। স্যার খসড়া দেখে পছন্দ করে কাজ শুরু করে দিতে বললেন। আর ঝালাই করার একটা ভিডিও করে রাখতে বলছিলো। আমি সব কিছু নিয়ে ঝালাইয়ের দোকানের উদ্দেশে বের হলাম। যেয়ে দেখি পরিচিত দুইটা দোকান ছিলো দুইটাই বন্ধ। পরে দুরে একটা দোকানে যেয়ে কাজ করাতে হলো।
কাজটি শেষ করে বাসায় এসে সিরিজ কাগজ দিয়ে ভালো করে ঘষে জং গুলো তুলে ছবি তুলে মেইল করতে হয়েছে। এই কাজ দেখবে এবং পরের দিন এই কাজের উপরে ভাইভা নিবে। প্রথম পরীক্ষা ভালো ভাবেই শেষ হয়েছে। আজকে থেকে পরবর্তী পরীক্ষা শুরু হয়েছে।