পৃথিবীর সকল দেশে সকল ধর্মের হাজার হাজার মানুষ বসবাস করে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মানবসত্তার পরিচয় থাকলেও ব্যক্তিত্বের দিক দিয়ে একে অপরের থেকে অনন্য। অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিত্বে অনন্য কিছু গুন পরিলক্ষিত হয়। যে তার ব্যক্তিত্ব গুনকে ভালোভাবে বুঝতে শেখে, সে সমাজে তত বেশি সুবিবেচক বলে বিবেচিত হয়। এজন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের ব্যক্তিত্বের গুণাবলী অর্জন করা অতীব জরুরি।
মানুষ সাফল্যের পূজারী। দিন শেষে সবাই সফল হতে চায়।আর কেউ ব্যর্থতার অংশ হতেও চায় না। এজন্যই তো সবাই সফল ব্যক্তির সঙ্গে মিশতে চায়। কিন্তু মানুষ সফলতার পিছনে দৌড়াতে গিয়ে অনেক সময় তাদের নীতি নৈতিকতা কিংবা নৈতিক গুণাবলীর কথা ভুলে যায়। সমাজের উচ্চপদে যাওয়ার জন্য মানুষ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের তোষামোদি করতে থাকে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যা বলে, কিছু শ্রেণীর মানুষ অন্ধের মত তাই মেনে চলে। অর্থাৎ এই শ্রেনীর মানুষ এসব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সকল কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করে। এক কথায় বলতে গেলে তারা প্রায় গোলামে পরিণত হয়। এভাবেই এই শ্রেণীর লোকজন তাদের ব্যক্তিত্ব হারিয়ে ফেলছে। আর ব্যক্তিত্বের গুণাবলী একবার হারিয়ে ফেললে মানুষ ভালো এবং মন্দের মধ্যে বাছ-বিচার করতে পারেনা। তখন মানুষ প্রায় মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়ে।
সুতরাং সবার উচিত প্রত্যেকের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখা। ব্যক্তিত্বের গুণাবলী যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা। তা না হলে মানুষ এবং অন্য সকল প্রাণীর মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না। কারণ এই ব্যক্তিত্বের গুণাবলী জন্যই মানুষ অন্য প্রজাতির থেকে আলাদা। একটি সমাজ কিংবা দেশ কতটা উন্নত পর্যায়ে রয়েছে, তা বোঝা যায় ওই সমাজের লোকজন কেমন পার ওপর। আর সমাজের লোকজনের মাপকাঠি হলো তাদের ব্যক্তিত্ব। সুতরাং জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সমাজের সকল স্তরের লোকজনকে তাদের ব্যক্তিত্বগুনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।