উৎসব অনুষ্ঠান মানে এক প্রকার আনন্দমুখর পরিবেশের সৃষ্টি। আর বাঙালিরা বিনোদন প্রিয় জাতি। এজন্য বাঙ্গালীদের উৎসবের শেষ নেই। বাঙালিদের বছরে যে কয়টি উৎসব রয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। একের পর এক উৎসব লেগে আছে সারা বছর জুড়ে যেন উৎসবের রেশই কাটেনা। বাঙালিরা এত আমুদে জাতি যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আমিও বাঙ্গালী হয় আমিই বা এর ব্যতিক্রম কিসে।
আমার সর্বশেষ কাটানো উৎসব হলো ঈদুল আযহা। যার স্মৃতিগুলো আমার মনের মধ্যে এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঈদুল আযহা। ঈদের দিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে বন্ধুদের সঙ্গে "ঈদ আনন্দ" উৎসব মিছিলে মেতে উঠি। এরপর যে যার মত বাড়িতে গিয়ে বাবা-মার সঙ্গে কুশল বিনিময় করি। কুশল বিনিময় শেষে গোসল দেই খুব সকালে। তারপর মার হাতে রান্না করা ঈদের দিনের খাবার খাই। ঈদের দিন সকালে সকলের বাসর প্রধান খাবার হচ্ছে সেমাই,পায়েস,পোলাও, নুডুলস ইত্যাদি। খাবার খেয়ে নতুন জামা কাপড় পড়ে বন্ধুদের সঙ্গে হেঁটে হেঁটে চলে যাই ঈদগাহ মাঠ এ। ঈদের নামাজ শেষে বন্ধুরা মিলে কোলাকুলি করি।এরপর সবাই মিলে বাসার দিকে রওনা দিই। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে যে যার মত পরিবারের সঙ্গে কোরবানীর পশু নিয়ে ময়দানের দিকে রওনা দিই। কোরবানির যাবতীয় কাজ কর্ম শেষে খাওয়া-দাওয়া করে কাজিন সঙ্গে পার্কে ঘুরতে বেরোয়। বিকেলের সময়টা পার্কে অনেক আনন্দের সঙ্গে কেটে যায়। পার্ক থেকে এসেছে যার মতো ঘরে ফিরে যায়। এভাবেই আমার ঈদ উৎসব কেটেছে। আমার সর্বশেষ কাটানো উৎসবই হল ঈদুল আযহা উৎসব।
ঈদের আনন্দ বয়ে আনুক সকলের মনে অনাবিল সুখ। ঈদের খুশিতে পৃথিবীর সকল প্রান্তে উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হোক। ঈদ উৎসবে ধনী-গরিব ছোট-বড় সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একত্রিত হোক দেশের সকল মানুষ।