মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের একা বাস করা সম্ভব নয়। সাধারণত একটি সমাজে মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। একটি নির্দিষ্ট সমাজে বসবাস করতে গেলে ওই সমাজের সকল রীতিনীতি,নিয়মকানুন থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল কার্যক্রম মেনে চলতে হয়।
সমাজের প্রতিটা মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কারো না কারো উপর নির্ভরশীল। সুতরাং সমাজে বসবাস করতে হলে সকলের উচিত সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলা। কোন একটি নির্দিষ্ট কাজকে এবং কোন মানুষকে ছোট করে দেখা উচিত নয়, তারা যে পেশার মানুষ হয় হোক না কেন। একজন মানুষ সমাজে যে সব সময় শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে পারবে তা সম্ভব নয়। একটি নির্দিষ্ট সমাজে বিভিন্ন মত ধারার লোকজন বসবাস করে। সকল মত ধারার লোকজনকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।সমাজে বসবাস করতে হলে নানা ধরনের বাধা বিপত্তি মোকাবেলা করতে হয়। আবার কেউ যদি বিপদে পড়ে তাকে সাহায্য করাও সমাজের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এছাড়াও একটি সমাজে অসংখ্য পরিবার থাকে। প্রতিটি পরিবারের সকল সদস্য যে ভালো হবে তা নয়, কিছু পরিবারের লোকজন আবার খারাপও হবে। তাই বলে কি আমাদের উচিত হবে সামাজিক দায়বদ্ধতা ভুলে ভুলে যাওয়া, মোটেও তা নয়। সামাজিকতার পেছনে আরেকটি প্রধান বাধা কুসংস্কার। কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে এসে উন্নত সমাজ কাঠামো গঠন এর জন্য প্রয়োজন সমাজের লোকজনের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন।
সমাজের ভালো মানুষ খারাপ মানুষ সকলের মতামত গ্রহণ করার মত মন মানসিকতা থাকতে হবে। অর্থাৎ আমাদের সহনশীলতা গুণ অর্জন করা উচিত। তাহলেই আমরা সমাজে সঠিক এবং সুষ্ঠুভাবে চলতে পারব। একটি সমাজের উন্নতি কিংবা অবক্ষয় ঘটেছে কিনা তা বোঝার প্রধান উপায় হলো ওই সমাজের লোকজন কতটা শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন যাপন করে এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কতটা উন্নত।