বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান নদীমাতৃক দেশ। এসব দেশের মানুষের নানান উপার্জনের দিক হলো কৃষি। আর এইসব প্রেক্ষাপটের কৃষককে বলা হয় জাতির মেরুদন্ড। এই কৃষকরা অনেক পরিশ্রম করে সোনার ফসল ফলানোর চেষ্টা করে এবং ক্ষুধার অন্ন মেটায়।
কৃষকের উৎপাদিত কৃষি, পণ্য রপ্তানি হয় বিদেশে, আরও নানান জায়গায়, যার জন্য বাংলাদেশ শিল্পায়নের দিক দিয়ে এগিয়ে আছে। তার জন্যই দেশের অর্থনৈতিক কৃষি কৃষকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষকের ভূমিকা অপরিসীম। জনসংখ্যাবহুল আমাদের দেশে খাদ্য সমস্যা মোকাবেলায় পড়লে কৃষি আমাদের জীবন বাঁচিয়ে দেয়।
কৃষি ভোররাত পেলে দ্রব্যমূল্য নাগালের কাছে পাওয়া যায়না নাগালের বাইরে চলে যায়।
একজন কৃষক তাঁর নিজের জমিতে অথবা অন্যের জমিতে শ্রম দিয়ে ফসল উৎপাদন করে থাকেন। কিন্তু
অর্থনীতিতে কৃষক বলতে মূলত যার নিজস্ব খামার বা জমি আছে তাকে বুঝায়।
কৃষক শব্দটি সাধারণত কিছু প্রয়োজনীয় উপাদানের ফসল, ফলের বাগান , গৃহপালিত হাঁস -মুরগী পালন অথবা অন্যান্য ধরণের পশুপালন করে থাকেন। তাঁদের উৎপাদিত পণ্য
বাজারে অথবা সরাসরি জমি বা খামার থেকেই বিক্রয় করা হয়। আরো ব্যাপক অর্থে কৃষক শব্দ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় নির্দিষ্ট গৃহপালিত পশু। যেমন গবাদিপশু, ছাগল , ভেড়া , মহিষ , ঘোড়া ইত্যাদি লালন-পালনও এর সাথে জড়িত। প্রতিদিন ফার্ম বা
দুগ্ধ খামারের সাথে জড়িত ব্যক্তি দুগ্ধ খামারীরূপে পরিচিত থাকে তিনি দুধ উৎপাদন কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকেন। হাঁস-মুরগীর খামারী বা পোল্ট্রি ফার্মার বাচ্চা উৎপাদন ,হাঁসের ছানা কিংবা এগুলোর মাংস, ডিম বা পালক সংগ্রহ অথবা উক্ত তিনটি কাজই করে থাকেন। একজন ব্যক্তি যদি রকমারী শাক সব্জি উৎপাদন করে বাজারে বিক্রয় করে তখন তিনি ট্রাক ফার্মার পরিচিত হন। যিনি তাঁর নিজের জমিতে ফসল উৎপাদনের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট থাকেন।
বীজ সংরক্ষণ অথবা অন্যান্য নিত্য-নতুন কৌশল ব্যবহার করেন না। পক্ষান্তরে উন্নত দেশসমূহে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বল্প পরিশ্রমে জমির উর্বরতা বজায় রাখার মাধ্যমে ভারসাম্য রক্ষা করতে সদা সচেষ্ট থাকেন।
ছোট-বড় কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করে।
বাংলাদেশের সকল অর্থনীতির মধ্যে কৃষি কৃষক এর ভূমিকা অপরিহার্য। কৃষকের শ্রম ও ভূমিকার উপর নির্ভর করে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। একজন কৃষকের কাজ অনেক কষ্ট এবং যন্ত্রনাদায়ক।