নারীর পোষাকঃ নারী জাহান্নামী
পোষাক বিতর্ক চলমান। বিশ্বায়নের এই যুগে ধর্মের দোহায় দিয়ে নারীকে পোষাকে আবদ্ধ রাখতে চায় ধর্মবাদীরা।!!!
যুক্তি-পাল্টা যুক্তির মঞ্চ আছে। টেবিল টকশো হচ্ছে। নারীরা আধুনিক হতে স্বাচ্ছন্দ্য ময় পোষাক পরিধান করতেই অধিক পছন্দ করছে।
তবে যাদের ধর্মীয় বিশ্বাস আছে তাদের উদ্দেশ্যে আমার আহ্বান,
নিজেদের যারা মুসলিম বলে মনে করেন এবং মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ স. কে নিজেদের রসুল বলে বিশ্বাস করেন। কুরআন হাদিসকে সত্য বলে কোন সন্দেহ করেন না। তাদের মনে রাখা উচিৎ; আমাদের জন্য মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ স. এর প্রতিটি কথা অবশ্যই পালনীয়। তাঁর প্রতিটি কথা অবশ্যই সত্য বলে প্রতীয়মান হবে।
তিনি একটি হাদিসে উল্লেখ করেছেন, দুই প্রকারের মানুষ জান্নাতে তো প্রবেশ করবেই না বরং জান্নাতের গন্ধও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুগন্ধি বহুদুর হতে পাওয়া যাবে, যাদেরকে আমি রসুল দেখেনি। (তাদের উদ্ভব পরে ঘটবে)
তার এক শ্রেণির হচ্ছে, "কাপড় পরিহিত উলঙ্গ নারী। অপরকে আকৃষ্টকারীনী নারী। যাদের মাথায় উটের ন্যায় কুঁজ থাকে (খোপা)। "
এবার ভাবুনতো এই শ্রেণির নারী কারা?? আজ রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, মার্কেটে যে সব নারীদের পোষাক পরার পরেও শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বুঝা যায় এরা তারা। এরা জান্নতে যাবে না। এরা জাহান্নামী। রসুলুল্লাহ স. ভবিষৎবাণী করেছেন।
প্রিয় ভাই, আপনার মা, বোন, স্ত্রী কিংবা কোন আত্মীয় পরিচিত জন এমন পোষাক পরেন কী????
যদি পরে থাকে তবে এই মুহুর্তেই তাকে হাদিসটি স্মরণ করিয়ে দিন।
আরো একটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিৎ, অনেকেই ফেইসবুকে প্রোফাইল পিক হিসেবে অর্ধ-উলঙ্গ ছবি ব্যবহার করেন তাদেরকেও সতর্ক করা দরকার কিংবা বিভিন্ন দিবসে শাড়ী পরে আকর্ষণীয় ছবি পোস্ট করেন তারাও এর অন্তর্ভুক্ত।
আপনি পুরুষ, আপনার অধিনস্থ কেউ এমন বেপর্দা হয়ে চলাফেরা কররে দাইউস হিসেবে আপনিও জান্নাতে প্রবেশের অধিকার হারাবেন।
এবার সিদ্ধান্ত নিন।। ।
আল্লাহ আমাদের মুসলিম হিসেবে নিজ ধর্ম মতে চলার তাওফিক দিন। আমিন।।