কেমন আছেন আমার সকল বন্ধুরা,
আজ আমি আপনাদের সাথে চায়ের দোকান নিয়ে কথা বলব।
আপনারা হয়তো চায়ের দোকান সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন,বিশেষ করে আমার বাংলাদেশী ভাইয়েরা চায়ের দোকান সম্পর্কে বেশি বলতে পারবে,কারণ আমার বাংলাদেশে দেখা যায় চায়ের দোকান হলো একটি ছোট সংসদ।
চায়ের দোকানকে আমি ছোট সংসদ বলতেছি এ কারণেই যে,চায়ের দোকানে যখন একত্রে অনেকগুলা মানুষ চা খেতে বসে তখন তারা সবাই দেশের পরিস্থিতি ও দেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।সেজন্যই আমি চায়ের দোকানকে মিনি সংসদ নাম দিয়েছি।
এটা একটি খুবই মজার বিষয় আমরা যখন চায়ের দোকানে চা খেতে বসি তখন অনেক পরিচিত লোক আর অপরিচিত লোক সেখানে চা খেতে বসে,সবাই সবার সাথে কথা বলতে থাকে,বিশেষ করে লক্ষ করে দেখি রাজনৈতিক বিষয়ে এখানে বেশী কথা হয়,এটা আমি অনেক সময় লক্ষ্য করে দেখেছি।তাই এই বিষয়ে আমি আজ এখানে পোস্ট করলাম।
চায়ের দোকানকে একারণেই মিনি সংসদ বলতেছি যে,যখন সবাই একত্রে চায়ের দোকানে চা খেতে বসে সবাই রাজনৈতিক বিষয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করে,বিভিন্ন তর্ক বিতর্ক শুরু করে,পুরো সংসদের মত তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়,তাই সবশেষে বলা যায় এটা আসলেই একটা মিনি সংসদ।
আমার বাংলাদেশের গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত যতগুলো চায়ের দোকান আছে সব চায়ের দোকানে একই অবস্থা,সব চায়ের দোকানে দেখি রাজনৈতিক সম্পর্কে,দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে আলাপ আলোচনা হচ্ছে,তর্ক বিতর্ক হচ্ছে,বিশেষ করে আমার দেশের নির্বাচনের সময় চায়ের দোকানগুলোতে শুধু নির্বাচনের কথা শুরু হয়,কে ভোটে জিতবে কে সংসদে যাবে এইগুলো নিয়ে সবাই মাতামাতি শুরু করতে থাকে।তাই আমি চায়ের দোকানকে বলতেই পারি চায়ের দোকান হলো একটি মিনি সংসদ,একটি ছোট সংসদ।
আজ আমি ও আমার এক ভাই আমার শহরের একটি চায়ের দোকানে বসে চা খেয়েছি এবং অনেককেই রাজনৈতিক বিষয়ে আলাপ আলোচনা করতে দেখেছি,তাদের সাথে আমিও রাজনৈতিক আলাপ আলোচনায় মেতেছিলাম।চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় বেশ কিছু ছবি তুলে আপনাদের মাঝে এখানে শেয়ার করলাম,আপনারা সবাই ছবিগুলো দেখবেন,আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই ভালো থাকবেন,ধন্যবাদ।
@mdaminulislam ভালোবাসার সাথে।