আমরা ক্ষমতা চাই না, মানুষের অধিকার চাই...কাদের সিদ্দিকী

kader_Tangailtimes-16-2-18-16_jpg.jpg

জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় কাদের সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বুকের ওপর পা রেখে এগিয়ে গিয়ে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায়, তাদের অনেকেই স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতা চাই না, মানুষের অধিকার চাই। মুক্তিযুদ্ধ যে কী কষ্টকর, যারা যুদ্ধ করেনি তারা তা কখনো অনুভব করতে পারবে না। এরাও পারছে না।

এ সময় সংগঠনের সভাপতি আজম রুপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব আবদুল মান্নান, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু প্রমুখ।

সুলতান মনসুর বলেন, একদা যারা বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করেছিলেন তারা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে বসেন। তারা তো কখনই আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন না। তিনি বলেন, ছাত্রসমাজকে ধ্বংস করতে পরিকল্পিতভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হচ্ছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করতে হবে।

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। কিন্তু দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের সেই চেষ্টা নস্যাৎ করে দেবে। এজন্য ছাত্রসমাজকে ঘরে ঘরে গিয়ে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।

ড. কামাল বলেন, দেশে আইন নিয়ে খেলা চলছে। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। ওদিকে আড়াই কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গণফোরাম নেতা অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। তিনি সাবধান করে দেন, হত্যা-গুমের দায়িত্ব নিয়ে আইনি ব্যবস্থা না নিলে সরকারের পক্ষে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করাটা বৈধ হবে না।

তিনি বলেন, দেশের মালিক জনগণ। এই জনগণের কথা না ভেবে বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কব্জা করে রাখতে চায়। কিন্তু জনশক্তির ব্যাপারটি বার বার এ দেশে প্রমাণিত হয়েছে। বুঝতে হবে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করলে সেই শক্তি দিয়ে যে কোনো অপচেষ্টা রুখে দেওয়া যায়। উৎস- বাংলাদেশ প্রতিদিন

আরও পড়ুন- আওয়ামী লীগের দৃষ্টি পাঁচ সিটিতে

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দৃষ্টি এখন পাঁচ সিটি নির্বাচনে। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এসব সিটিতে ভোটযুদ্ধে জিতে নিজেদের জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ন রয়েছে বলে প্রমাণ করতে চান ক্ষমতাসীনরা। এজন্য প্রতিটি নির্বাচনে জয় ও নিরপেক্ষতা দুটোই চায় আওয়ামী লীগ।

একই সঙ্গে সিটি নির্বাচনে ব্যস্ত রেখে বিএনপিকে আন্দোলনের সুযোগ দিতে চায় না সরকারি দল। এদিকে সিটি নির্বাচন সামনে রেখে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা দল বেঁধে ভোটারের কাছে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে সিলেট, বরিশাল সিটিতে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী ও ৩ মার্চ যাবেন খুলনায়।

সূত্রমতে, বিএনপি নেত্রীর কারাদণ্ড হওয়ায় বিএনপি এখন রাজনৈতিক ও নৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের মতে, এ মুহূর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বড় ধরনের কোনো আন্দোলনও গড়ে তোলার শক্তি নেই দলটির। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাজা নিয়ে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিকভাবেও কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি বিএনপি।

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে মনে করেন ক্ষমতাসীনরা। তাই বিএনপির আন্দোলন নিয়ে ভাবছে না সরকার। এসব বিবেচনায় আওয়ামী লীগের দৃষ্টি এখন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকে। আগামী মার্চে সিটি নির্বাচন শুরু করা হলে বিএনপিকে নির্বাচনে ব্যস্ত রাখা সম্ভব হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচনী ছক তৈরি করছেন ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকরা। সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সিলেট ও রাজশাহীতে দলীয় প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে।

সূত্রমতে, আগামী মার্চে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়েই কার্যত শুরু হয়ে যাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উত্তাপ। নির্বাচন কমিশন সূত্রমতে, গাজীপুরে ৮ মার্চ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর, সিলেটে ১৩ মার্চ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর, খুলনায় ৩০ মার্চ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, রাজশাহীতে ৯ এপ্রিল থেকে ৫ অক্টোবর, বরিশালে ২৭ এপ্রিল থেকে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।

দলীয় সূত্রমতে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনের কৌশল প্রণয়ন করবে আওয়ামী লীগ। পাঁচ সিটির ভোটে জানা যাবে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা, প্রতিপক্ষের শক্তি ও কৌশল, মাঠপর্যায়ে প্রশাসনের ভূমিকা বা দক্ষতা। সে অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কৌশল ঠিক করা হবে। তবে আসন্ন সিটি নির্বাচনগুলোয় দলীয় মেয়র প্রার্থীদের জেতা যেমন জরুরি তেমনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখাও অপরিহার্য।

একদিকে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা, অন্যদিকে বিশ্বাসযোগ্যতা অটুট রাখা। দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে আগেই রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে দলীয় মেয়র প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজশাহী সিটিতে সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিলেটে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান কাজ শুরু করেছেন। এদিকে গাজীপুর সিটিতে নতুন মুখকে মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি বলে জানা গেছে।

দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন নিয়ে ভাবছি না। জেলা সফরের মাধ্যমে আমরা সরকারের উন্নয়নগুলো তুলে ধরছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আমরা পাঁচ সিটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা অটুট আছে তা আবারও জানান দিতে চাই।’

টাঙ্গাইলটাইমস

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now