ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি :

dengue-fever-symptoms-and-prevention.jpg
source

ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে উত্কণ্ঠতার কোনো কারণ নেই, একটু সতেচন ভাবে চললেই এই জ্বর থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। এই ভাইরা এর কারণে মূলত রক্তনালীর ভিতরে প্রদাহের সৃষ্টি(ভাসকুলাইটিস) হয় , আর রক্তনালীর ভিতরের তরল পদার্থ রক্তনালী লিক করে বাইরে বেরিয়ে আসে ফলে ত্বকের নিচে রক্ত জমে গিয়ে ত্বক ফুলে যায়। এছাড়া রক্তে প্লাটিলেট কাউন্ট কমে গিয়ে রক্তক্ষরণ এর প্রবণতা দেখা যায়।

লক্ষণ :
ডেঙ্গু কোনো ভয়াবহক রোগ নয়। এই রোগ হলে বমি, পেটে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, কোমর ব্যাথা, অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টে ব্যাথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। এই জ্বরে হাড়ে খুব ব্যাথা হয় ও এই জ্বরে আক্রান্ত রোগী খুব খিটখিটে মেজাজের হয়ে যায়। এই রোগে অনেকসময় জ্বরের তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গেমারি থেকে রক্তপাত, দাঁত দিয়ে রক্তপাত হয়। কোনো কোনো সময় মস্তিষ্ক ও হার্টের মধ্যে রক্তক্ষরণ দেখা যায়। রক্তক্ষরণের ফলে হাইপোভলিউমিক শকে গিয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।তাই এই রোগের কোনো রকম লক্ষণ গেলে দ্রুত ডক্টরের সাথে পরামর্শ করুন।

চিকিৎসা :
সাধারণ জ্বর এমনিতেই ৭ দিনের সেরে যায়, তবে জ্বরের তীব্রতা দেখে ডক্টরের সাথে পরামর্শ করা উচিত। এই জ্বর হলে প্রচুর জল পান করতে হয়, প্রয়োজনে শিরাপথে স্যালাইন দিতে হবে। তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে বলে সন্দেহ হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে ও রোগীর রক্তে প্লাটিলেট কাউন্ট এবং পিসিভি পরীক্ষা করাতে হবে। এই জ্বরে রোগীর প্লাটিলেট কাউন্ট কমে যেতে পারে যদি এমনটা হয় তাহলে রোগীকে শিরাপথে প্লাটিলেট ট্র্রান্সফিউশন করাতে হবে। যদি রোগীর নিয়মিত রক্তক্ষরণ হয় যেমন রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে কালো রঙের রক্ত পড়া, নাক দিয়ে রক্ত রক্তক্ষরণ হওয়া সেক্ষেত্রে রোগীকে রক্ত দিতে হবে, তবে এব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বন্ধুরা এটি থেকে যদি আপনার জীবনের কোনো উপকার হয় থাকে তাহলে লাইক, কমেন্ট করে আমায় জানাবেন ও উপভোটে করে আমায় উৎসাহিত করবেন।

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now
Logo
Center