খুব চঞ্চল প্রকৃতির ১২ বছরের ছেলে রায়হান। দুষ্টৃমি করতে সে খুব ভালবাসে। এখানে সেখানে ঘুরেই তার সারাদিন কাটে। কখনও কখনও নদীতে সাতার কাটে, কখনও পাড়ার ছেলেদের সাথে বিভিন্ন ধরণের খেলা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। তার সব শখের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ছিল ঘুড়ি উড়ানো। সে নিজের হাতে অনেক সুন্দর ঘুড়ি বানাত এবং সেটা নিয়ে খেলতেই বেশি পছন্দ করত। মাঝে মধ্যে সে গাছেও চড়ত। তার আরও একটি শখ ছিল এবং সেটি হল পাখি পালন করা। একদিন সে বাশেরর শলা দিয়ে শক্ত করে একটি খাচা বানাল।
খাচা দিয়ে কি করবিরে খোক? মা জিজ্ঞেস করলেন।
আমি পাখি আনব মা, রায়হান উত্তরে বলে।
পরদিন বাড়ির পিছনে জঙ্গলের একটি গাছ থেকে রায়হান দুটি শালিকের বাচ্চা ধরে নিয়ে আসে।
বাচ্চা দুটিকে খুব যত্ন করে খাচায় রাখে রায়হান।
শালিক পাখি কি খায় মা? রায়হান তার মা কে জিজ্ঞেস করে।
মা উত্তরে বলেন, শালিক পাখি ঘাস ফড়িং খেতে বেশি পছন্দ করে। ভাত ও কলা ও খায়।
তারপর রায়হান প্রতিদিন বিল থেকে ঘাসফড়িং ধরে এনে শালিকের বাচ্চা দুটিকে খেতে দেয়। বাচ্চা দুটিকে খুব ভালবাসে রায়হান। বাচ্চা দুটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে।
রায়হান মাকে জিজ্ঞেস করে, শালিক পাখি কি কথা বলতে পারবে মা?
মা বললেন, ওরাও মানুষের মতই কথা বলতে পারে।
চলবে.....