অতঃপর আমি ও সে

পার্ট-৮
image

নতুন জায়গায় এলাম।এখানে চেনা বলতে শুধু তূর্য। শিফট হলাম একটা বাড়িতে।সবই আছে খুব সুন্দর করে গোছানো।আমি আর তূর্য ছাড়া বাড়িতে কেউ নেই।একা একা লাগছে অনেক।হঠাৎ বিয়ে তারপর নিজ দেশ থেকে চলে এলাম মাত্র দু সপ্তাহের মধ্যে।
নিজের জিনিস গুলো শিফট করছিলাম হঠাৎ একটা খাম পেলাম।
-হেলো আপুনি।
-কে?
-আমি তোমার ছোটি।
-হেলো মিশি?কেমন আছিস বোন?কি অবস্থা ওখানে?কথা বল।কিরে?
-আহা থামো না আপুনি।আমি ভাল আছি।সবাই কেমন আছে?আর আপুনি আমি জেনেছি সব।
-হুম।বোনু তুই যদি না বলিস তাও কি আমরা বুঝবো না তোর মনের কথা?যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে।তুই এখন ভাল থাকলেই হয়।
-আচ্ছা আপুনি আমি রাখি।পরে আবার ফোন দিব।
-ভাল থাকিস।
তূর্যও জিনিস শিফট করছিল।আমি ওর কাছে যাই।
-হায় আল্লাহ আজ মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি হাজির।
-খিদে পেয়েছে।
-ওহো..আমারও পেয়েছে।দাড়াও কাজটা শেষ করে বাহিরে গিয়ে ডিনার করবো।
চলে এলাম।আমি রেডি হচ্ছি।কালো রংয়ের একটা শাড়ি পরলাম।চুল খোলা রাখলাম।হালকা সাজলাম।তূর্য ডাকছে।আমি এলাম ওর সামনে।ও হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
-জীবনে মেয়ে দেখেন নি?
-না মানে।আচ্ছা হয়েছে চল এখন।
ডিনার শেষে বাসায় এলাম।তূর্য বাকি কাজটা শেষ করে রুমে এলো।
-কি হলো এমন করে তাকিয়ে আছেন কেন?
-আজ কি হলো তোমার?
-কি হবে?
-বিদেশে এসে কি স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছ?নাকি.....
তূর্য শকড হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
-ভুত দেখলেন নাকি?
-.....
-আমাদের বাসর রাতটা হয় নি।চলুন আজ করি।
-কিইইইই!
-হুম।আসুন।
তূর্য ভয় পেলো।রুম থেকে বের হয়ে যেত গেলো।কিন্তু আমি ওর হাত ধরলাম।
তূর্যকে বিছানায় নিয়ে এলাম।
-কেন করলেন আমার জীবন নষ্ট? কি করেছিলাম আমি?
-শুনওওওও..মিশি!এই মিশি?কথা বলো।মিশি?
একটা ঘোরে ডুবে যাচ্ছি।চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমার কিন্তু শুনতে পারছি তূর্য আমাকে ডাকছে।
-মিশি কিছু হবে না তোমার।চোখ মেলো মিশি।
চোখ মেলে দেখি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি।পাশে তূর্য বসে আছে।উঠতে যাচ্ছি আমি।
-কি করছো?উঠছ কেন?
-আমাকে বাচালেন কেন?
-চুওওওপ।একটা চড় দিব।আর একটা কথা বললে।
-আমার জীবন নিয়ে খেলা করার কোন অধিকার আমি আপনাকে দেই নি।তাও খেলেছেন।কেন?
-ভালবাসি তোমাকে।বুঝো না?আর কোন কথা নেই চুপ করে রেস্ট নাও।
-কথা আ..আ..আ....
(চলবে)

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now
Logo
Center