যাকে এক নামে বলা হয় মরুভূমির জাহাজ। পৃথিবীর বুকে একটি বিস্ময়। অবাক করা এ প্রানীটি সম্পর্কে খোদ কুরআনে বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ সূরা গাশিয়াহ্ এর ১৭ নং আয়াতে বলেন “তারা উটের দিকে তাকিয়ে দেখে না যে কি ভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে?”।
বর্তমান বিজ্ঞানীদের কাছের উট একটি বিস্ময়কর প্রানী। যেটি মরুভূমির দেশে বেশি পাওয়া যায়। মূলত এর অসাধারণ বৈশিষ্ট্যের কারণেই মরুভূমির জাহাজ নামে সবার কাছে পরিচিত।
আসুন তাহলে উটের বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্যে গুলো জেনে নেইঃ
মাত্র ১ ডিগ্রি শীত এবং ৫৩ ডিগ্রি গরম সহ্য করে এটি টিকে থাকতে পারে।
আমরা জানি যে মরুভূমির বালু খুবই উত্তপ্ত থাকে। নরমালি যেখানে চলাফেরা করা সম্ভব নয়। কিন্তু এই বিস্ময়কর প্রানীটি ঘন্টার পর ঘন্টা মরুভূমিতে পা ফেলে রাখতে পারে।
দেড়শ কেজি ওজনের বস্তু পিঠে নিয়ে অনায়াসেই শত শত মাইল হেঁটে যেতে পারে।
মাত্র ১০ মিনিটে প্রায় তিনটি গাড়ির ফুয়েল ট্যাংকের সমান ১৩০ লিটার পানি পান করে ফেলতে পারে এই বিস্ময়কর প্রানীটি। অন্যকোন প্রানী এভাবে মাত্রাতিরিক্ত পানি পান করলে অভিস্রবন চাপের কারনে রক্তের কোষ ফুলে ফেটে যাবে।
এর আর একটি বিস্ময়কর ক্ষমতা হলো কাটাযুক্ত গাছপালা চিবানোর ক্ষমতা যেটি অন্য কোন প্রানীর নেই। বড় বড় কাঁটা সহ ক্যাকটাস অনায়াসেই সাবাড় করে দিতে তার জুড়ি নেই।
আপনি অবশ্যই বুঝতে পারছেন মহান আল্লাহ ঠিক কি কারনে এটিকে কুরআনে উল্লেখ করেছেন। অবশ্যই ঐ শ্রেনীটাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর জন্য যারা মহান আল্লাহকে বিশ্বাস করেন না। কুরআনে বিশ্বাস করেন না।
মরুভূমিতে চলার জন্য কতই না উপযোগী করে তৈরী করেছেন এই প্রানীটি। আল্লাহ সকলকে সঠিক বিষয়টি বোঝার তওফিক দান করুন।