This content got low rating by people.

মাদককে ঘৃণা করুন, মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে নয় | GreatestWriting#

মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ঘৃণা না করে পাশে থাকতে হবে

মাদকাসক্তি বলতে মাদকদ্রব্যের প্রতি প্রচণ্ড আসক্তি বা নেশাকে বুঝায়।

যেসব দ্রব্য সেবন বা পান করলে তীব্র নেশার সৃষ্টি হয় সেগুলো মাদকদ্রব্য।

কোন কোন ঔষধকে ব্যবহারগত কারণে মাদকদ্রব্য বলা হয়।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ অতিরিক্ত সেবন করলে এবং এর প্রতি আসক্তি জন্মালে সেটাও মাদকের আওতায় পড়ে।
অতএব যেসব দ্রব্য সেবন করলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে
এবং সেগুলোর প্রতি সেবনকারীর প্রবল আসক্তি জন্মে সেগুলোই হল মাদকদ্রব্য।
যেমন:- বিড়ি, সিগারেট, চুরুট, মদ, গাঁজা, ভাং, আফিম, হেরোইন, পেথিডিন, ফেনসিডিল, ইয়াবা ইত্যাদি।
যারা মাদকদ্রব্য সেবন করে মাদকদ্রব্যের প্রতি তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্ভরশীলতা সৃষ্টি হয়।
তারা মাদকদ্রব্য সেবন করা থেকে বিরত থাকতে পারে না।
যদি কোন কারণে তারা মাদক গ্রহণ করতে না পারে, তাদের মধ্যে মারাত্মক শারীরিক ও মানসিক উপসর্গের সৃষ্টি হয়।
যেমন:- মেজাজ খিটখিটে হয়, ক্ষুধা ও রক্তচাপ কমে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়, নিদ্রাহীনতা দেখা দেয়, আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।
মানুষের জীবনের জন্য ক্ষতিকর এমন মারাত্মক অভ্যাসটি যাতে ত্যাগ করা যায় সেজন্য প্রথমে দরকার কখনো কোন অবস্থাতেই ধূমপানসহ অন্য কোনভাবে মাদকদ্রব্য গ্রহণ না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
কারণ কিশোর কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালে অজানা বিষয়ের প্রতি কৌতুহল থাকে।
এই কৌতুহল ও উত্তেজনাবশে বা বন্ধুবান্ধব সহ কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তারা ধূমপান ও মাদকসেবন করতে পারে।
এই কৌতুহল বা উত্তেজনা পরে তার সারা জীবনের জন্য অনুশোচনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

risk.png
source
tabaco-alcohol-y-drogas.jpg
source

বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাদকাসক্তি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য।

১) সন্তান বা পরিবারের কোনো সদস্যের আচরণ সন্দেহ হলে দ্রুত মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসতে হবে ও পূর্ণ চিকিৎসা নিতে হবে।

২) পরিবার ও বন্ধুদের মাদকাসক্তকে ঘৃণা না করে পাশে থাকতে হবে।

৩) পরিবারকে ধৈর্য রাখতে হবে। তবে, মাদকাসক্ত ব্যক্তিরও মাদক ছাড়ার দৃঢ় ইচ্ছা থাকতে হবে।

৪) পাশাপাশি কোনোভাবেই আর মাদক গ্রহণ চলবে না।

৫) যেসব স্থানে গেলে বা বন্ধুদের সঙ্গে মিশলে মাদক গ্রহণের ইচ্ছা হয়, সেসব সম্পূর্ণভাবে বাদ দিতে হবে।

৬) অভিভাবককে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে, যাতে সন্তানেরা সমস্যা শেয়ার করতে পারে।

৭) পরিবারকে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে সার্বক্ষণিক নজরে রাখতে হবে।

৮) সর্বোপরি, এটাকে একটি রোগ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা দরকার।

First time I'm writing a bangla post.

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now
Logo
Center