Long

BeautyPlusMe_20161222164400_fast.jpg_20170121_143324.JPG_20170124_174041.JPG
এটি সংগৃহীত পোস্ট খুব মনযোগ সহ কারে নিজে পড়ুন আর কপি ও শেয়ার করে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিন । এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে ।
বিজেপির আইটি সেলের কর্মীর দেওয়া সাক্ষাৎকারের অনুবাদ:

(সর্বজিত ঘোষের পোস্ট )

বিজেপির আইটি সেলে কাজ করত মহাবীর। ২০১২ থেকে ২০১৫ --- এই তিন বছর কাজ করেছিল। ধ্রুব রাঠী নামের এক ইউটিউবার তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। আমরা, আমি আর Shreyasi সেই সাক্ষাৎকারের অনুবাদ করলাম।

ধ্রুব বেশ কিছু প্রমাণ যোগাড় করেছেন মহাবীরের বক্তব্যের সমর্থনে। ভিডিওর লিঙ্কে গিয়ে দেখলে সেসব দ্যাখা যাবে। আলাদা প্রমাণের অংশগুলো বাদ দিয়ে আমরা শুধু কথোপকথনটুকু অনুবাদ করলাম।

বেশ কিছু লিডিং কোয়েশ্চেন হয়ত ধ্রুব করেছেন, মহাবীরও এমন অনেক কথা বলেছেন যা তাঁর ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতা নয়, কাজেই সেসব আইনত সাক্ষ্য হিসেবে গ্রাহ্য হবে না হয়ত। সেসব কথা যদি ছেড়েও দিই, কেবল তথ্যপ্রমাণ থাকা অংশটুকুই বড়ো খতরনাক। কীভাবে দেশে জাতীয় সরকারী মগজধোলাই প্রকল্প চলছে, তার একটা স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাবে এখানে।

সাক্ষাৎকারটা রইল, সাথে ভিডিওর লিঙ্ক। পড়ুন। যাচাই করুন। সচেতন হোন। সচেতনতা ছড়িয়ে দিন।

                                             ***

ধ্রুব: আপনি কতদিন ধরে কাজ করেছেন বিজেপি IT Cell এ?
মহাবীর: ২০১২ থেকে। ২০১২ তে বিজেপি IT Cell তৈরি করা হয়। যখন গড়করি সভাপতি ছিলেন আমি তখনি জয়েন করি।
ধ্রুব: আচ্ছা। কতদিন ছিলেন ওখানে?
মহাবীর: ২০১৫ অব্ধি।
ধ্রুব: ২০১২- ২০১৫ --- তিন বছর আপনি ওখানে (BJP IT Cell) চাকরি করেন?
মহাবীর: হ্যাঁ।
ধ্রুব: আগে বলুন জয়েন করলেন কেন?
মহাবীর: ওরাই আমাকে বেছে নেয় এই কাজের জন্য, আলোক সোলাঙ্কিরা যখন ছিল। সোশাল মিডিয়াতে আমার ট্যালেন্ট দেখে ওরাই বেছে নেয় আমায়।
ধ্রুব: ওরাই আপনাকে বেছে নেয়। আপনি নিজে যাননি ওদের কাছে?
মহাবীর: না আমি নিজে যাইনি, ওরাই আমাকে বেছে নেয়। ওরা নজর রাখে সবসময়। ওখানে যারা কাজ করে তাদের সবাইকে এভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ধ্রুব: আচ্ছা। কত লোক কাজ করে ওখানে?
মহাবীর: এত, যে কল্পনা করা যাবে না। এই ২০,০০০ এর মতো হবে পুরো স্টেট মিলিয়ে। জেলাওয়াড়ী বলুন, কী তহশিলওয়াড়ী বলুন --- সব জায়গায় বড় বড় কম্পানি করে রেখেছে। পি আর কম্পানি করে রেখেছে।
ধ্রুব: এই চাকরিতে আপনার কী position ছিল?
মহাবীর: আমার position ছিল সামান্য কেরানির। এখানে প্রধান ১৫০ জন থাকে তারাই পুরোটা চালায়।
ধ্রুব: আচ্ছা।
মহাবীর: এদের সুপার ১৫০ বলা হয়। আপনি গুগল সার্চ করুন, বিজেপি আইটি সেল সুপার ১৫০। কে কীভাবে কাজ করছে পুরোটা জানতে পারবেন।
ধ্রুব: আপনি নিজে এই সুপার ১৫০র অংশ ছিলেন?
মহাবীর: না। আমি সুপার ১৫০র মধ্যে না পড়লেও, ঠিক তারপরেই ছিলাম, ১৫১ নম্বরে। এদের (সুপার ১৫০) পেছনে আরো ৫০ জন থাকত।
ধ্রুব: আচ্ছা। তার মানে সুপার ১৫০-র পরে আরও ৫০ জন থাকত আর আপনি তাদের একজন।
মহাবীর: হ্যাঁ। পরের ৫০ জনের একজন আমি ছিলাম। আমার অনেক বন্ধু এখনো ওখানে কাজ করে। যদিও আমরা ৬-৭ জন এই কাজ ছেড়ে দেই। আমার মতন যারা তার ৫০ জন ছিল। আর সুপার ১৫০ position এ অঙ্কিত কুমার গুপ্ত, অঙ্কিত পান্ডে, বিকাশ পান্ডে, সুব্রমানিয়ামজি, এরকম অনেকে ছিল।
ধ্রুব: ওখানে আপনার কী কাজ ছিল। ওই ৫০ জনকে কী কাজ করতে হত?
মহাবীর: আমার কাজ ছিল ফেসবুকে ট্রোল করা। বিজেপির বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তাকে ট্রোল করা অথবা সেগুলো রিপোর্ট করে বন্ধ করে দেওয়া।
ধ্রুব: ৫০ জনকে একই কাজ দেওয়া হত?
মহাবীর: হ্যাঁ ৫০ জনকে একই কাজ দেওয়া হত। ৫০ জনকে দিয়ে কাজ না হলে আরো লোককে ওরা ই-মেল করে জানিয়ে দিত কী করতে হবে। একই বিষয় কাজ করার জন্য একই ই-মেল অনেকের কাছে একই সময় ফরওয়ার্ড করা হত।
ধ্রুব: এই সুপার ১৫০ র কাজ কী? এদেরকেও ট্রোল করতে হয়?
মহাবীর: হ্যাঁ, এরাও ট্রোল করে।
ধ্রুব: এই যে টুইটারে অনেক পোস্টের জন্য paid trend করা হয়, এমন কিছু করেছেন আপনি?
মহাবীর: না আমি টুইটারে ছিলাম না। কিন্তু আমার কাছে মেসেজ আসত, আপনাকে টুইটার জয়েন করতে হবে বলে। আমি ঠিক বুঝতে পারতাম না তাই টুইটার করিনি। কিন্তু টুইটারের ক্ষেত্রেও ওরা একসাথে একই বিষয়ের ওপর পোস্ট করার জন্য ৫০টা স্যাম্পল পাঠিয়ে দিত। ৫০টা স্যাম্পল টুইট একসাথে ২০০০ মানুষকে পাঠিয়ে দিত আর বলে দিত ৩ মিনিটে আপনাকে এগুলো টুইট করতে হবে। এই ৫০টা টুইট এর মধ্যে নিজের পছন্দ মত বেছে নিয়ে একসাথে ১০-১২ টা টুইট পোস্ট করতে হত। ২০০০ টা একসাথে করে দিলে বিষয়টা নিজের থেকেই ট্রেন্ডিং হয়ে যায়।
ধ্রুব: তার মানে এই টুইট বানানোর কাজ সুপার ১৫০র ছিল?
মহাবীর: হ্যাঁ। সুপার ১৫০ টুইট বানাত।
ধ্রুব: তাদের অধীনে যারা কাজ করত, তাদের শুধু কপি পেস্ট করে ঠিক সময় টুইটগুলো করতে হত?
মহাবীর: কপি পেস্ট করা যেত, চাইলে সামান্য বদল করা যেত। কিন্তু সবটাই ওদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। একই আই.ডি থেকে সবার কাছে মেল যেত।
ধ্রুব: স্পেসেফিকালি আপনার কী কাজ ছিল? আপ্নি টুইটারে ছিলেন না। তাহলে ফেসবুকে কাজ করতেন নাকি অন্য কোনো ওয়েবসাইটে?
মহাবীর: আমি ফেসবুকে আর কিছু ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট লিখতাম। এমন অনেক ওয়েবসাইট হয়, ধরুন আজ তক বা এবিপি নিউজে কোনো খবর দেখানো হল, সেটা রাহুল গান্ধীর ব্যপারে হোক বা মায়াবতীর ব্যপারে হোক, সেগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, কিছুটা পালটে দেখানো এদের কাজ।
ধ্রুব: আচ্ছা সব খবরেই আপনাদের হিন্দু মুসলমান ইস্যু জুড়ে দিতে হত?
মহাবীর: হ্যাঁ যে কোনা খবরে। ধরুন কারোর সাথে কারোর ঝগড়া হলো। এই ধরুন আপনার আর আমার ঝগড়া হল, আমাকে পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে দলিত বা হিন্দু বা মুসলমান বলে চালাতে হবে। ৫-৬টা বড় বড় ওয়েবসাইট আছে যা বিজেপি আইটি সেল চালায়, সেমন Insist Post.com, NewsTrend.news, ViralinIndia.in.
ধ্রুব: এই ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে যেগুলো শীর্ষে আছে আপনি কী ওগুলোর নাম নিলেন?
মহাবীর: হ্যাঁ। NewsTrend.news ভারতে ব্যবহৃত টপ ২০টি ওয়েবসাইটের একটি।
ধ্রুব: আচ্ছা।
মহাবীর: এই ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ৩-৩.৫ কোটি ভিসিটর পায়। এই ওয়েবসাইটের খবরগুলো আমরা লিখতাম।
ধ্রুব: আপনারা এখানে মিথ্যে খবরকে ঘুরিয়ে ছাপাতেন, তারপর সেগুলো ফেসবুক টুইটারের মাধ্যমমে ছড়াতেন।
মহাবীর: হ্যাঁ। ফেসবুকে। অনেক সময় whatsapp এ ভাইরাল করে দিতাম। ওখানে কাজ করলে একজনকে ১০টা করে মোবাইল দিত, অর্থাৎ ১০টা whatsapp থাকত। এক একটা whatsapp নম্বরে ৩০০- ৩৫০টা গ্রুপ থাকত। সব গ্রুপে ভুয়ো লিঙ্ক ছড়িয়ে দিতাম। আর সাথে সাথে সব ভাইরাল হয়ে যেত।
ধ্রুব: এক এক জনের কাছে দশ দশটা ফোন থাকত?
মহাবীর: হ্যাঁ। এক একজনের কাছে দশ-দশটা ফোন থাকত।
ধ্রুব: ১০টা ফোন চালাতেন কীকরে?
মহাবীর: সবকটার জন্য আলাদা নম্বর, আলাদা whatsapp account. ১০টা ফোনের জন্য ১০টা আলাদা সিম থাকত। ১০ টা নম্বর ১ ২ ৩ ৪ করে লিস্ট করে রাখতাম নইলে খেয়াল থাকত না। সব একই ব্র্যাণ্ডের ফোন থাকত।
ধ্রুব: নিশ্চয় ফেসবুকেও অনেক পেজ থাকত।
মহাবীর: ফেসবুকটা তো পুরো বিজেপির। আপনি ফেসবুকে বিজেপির বিরুদ্ধে anti ক্যাম্পেন করতে পারবেন না। ২০১৯ এ বুঝতে পারবেন।
ধ্রুব: কী বলতে চাইছেন?
মহাবীর: ফেসবুকে বিজেপির যা ক্ষমতা, এক ঘন্টার মধ্যে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে দিতে পারে।
ধ্রুব: এরকম কেন?
মহাবীর: Mark Zuckerberg এর পেজ আর ফেসবুকে যত account আছে ওগুলো বাদ দিলে ৭০% বিজেপি ফলোয়ার আছে আলাদা আলাদা নামে। হিন্দুদের নামে, মুসলমানদের নামে এমনকি মহাপুরুষদের নামেও রয়েছে। ইন্ডিয়াম আর্মির নামে কমপক্ষে ৫০০ টি পেজ আছে। ইন্ডিয়ান আর্মির আসল পেজ কম লাইক পায় নকল পেজের থেকে। এক একটা নকল পেজে ২৫ লাখ লাইক।
ধ্রুব: মানে এই পেজগুলোও ইন্ডিয়ান আর্মির নামে প্রোপাগান্ডা ছড়াবার জন্য ব্যবহার হচ্ছে?
মহাবীর: হ্যাঁ। ইন্ডিয়ান আর্মির নামে ব্যবহার হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে হিন্দুদের নামে। দেখবেন ফেসবুকে এরকম অনেক ID রয়েছে যেগুলোর প্রোফাইল পিকচার আর কভার পিকচার ছাড়া কিছু নেই, কোনো ব্যক্তিগত পরিচয় বা কন্টেন্ট নেই। এরা আইটি সেলের ভাড়া করা। এরা নিজেদের টাইমলাইনে কিছু পোস্ট করে না। ৩০ - ৩৫টা গ্রুপ জয়েন করে আর সেখানে বিভ্রান্তিমমূলক খবর পোস্ট করে।
ধ্রুব: এই সব পেজ এত লাইক পায় কী করে?
মহাবীর: নিজেরা একে অপরকে লাইক করে। এরা কমন লাইক পায়। মুসলমানদের জন্যও আলাদা পেজ বানিয়ে রেখেছে। কুরান-এর আয়াত বা মক্কা মদিনার ভিডিও সফটওয়ার এর মাধ্যমে লাইভ বলে চালিয়ে দেয়। মুসলমানেরা না বুঝেই আল্লা হু আকবর কমেন্ট করে এটা না জেনে যে পেজগুলো বিজেপি চালায়।
ধ্রুব: আপনি বানিয়েছেন মুসলমানের নামে account?
মহাবীর: হ্যাঁ। কুরানের আয়াত পোস্ট করলে হাজার লাইক কমেন্ট পড়ে। ১০-১৫ লাখ মুসলমানের নামে পেজ বানিয়ে রেখেছে ওরা, ওই পেজে বিজেপিকে প্রোমোট করার লিঙ্ক পোস্ট করে ওরা।
ধ্রুব: তাহলে মুসলমানদের কাছেও বিজেপি নিজেকে প্রোমোট করছে?
মহাবীর: হ্যাঁ। মুসলমানদের কাছে বিজেপি নিজেকে একেবারে স্বচ্ছ দেখায়। আবার হিন্দুদের কাছে রটায় মুসলমানেরা কত ভয়ঙ্কর। এমন নয় যে সবার কাছে একই খবর যায়। আলাদা আলাদা মানুষের কাছে আলাদা আলাদা qualityর খবর ট্রেণ্ডিং হয়।
ধ্রুব: হ্যাঁ, ঠিক যেমন যারা শহরে থাকে, তাদের জন্য মোদীজি উন্নয়ন টুন্নয়নের কথা বলেন আর কী।
মহাবীর: হ্যাঁ, আসলে শহরের লোক অনেক বেশি সচেতন। ভারতের যে ত্রিশ পারসেন্ট লোক পিছিয়ে পড়া, গরীব, মজুর, এদের ধ্যানধারণা খুব পলকা হয়। এই যেমন ধরুন, কোনো নেতা টেতা আমাদের গ্রামে যদি এসে ভাল করে ভাষণ দ্যায়, সে যে পার্টিরই হোক না, কেন, সব ভোট তার দিকে চলে যায়। গ্রামের লোকজনের কোনো ধারণাই নেই, পরে আমাদের কোন হাটে বেচবে সে। ভারত মোদীর হাতে তাও ঠিকঠাক আছে, যোগীর হাতে পড়লে হালুয়া টাইট হয়ে যেত। হালুয়া অবশ্য এখনও টাইট হচ্ছে, ভারত সোনার ডিম দেওয়া মুরগী, আগেও তাই ছিল, এখনও তাই আছে। কত ঘোটালাই তো রোজ হচ্ছে চারপাশে, আপনিও দেখছেন!
ধ্রুব: এটা আপনি আরেকটু খুলে বলবেন, যে ভারত যোগীর হাতে থাকলে আরো খারাপ অবস্থা কীভাবে হত?
মহাবীর: যোগীর চ্যালাচামুণ্ডারা তো খতরনাক! মোদীর যারা সমর্থক, তারা সাধারণ লোক, সে আপনিও হতে পারেন, আমিও হতে পারি --- তারা ভোটার। ভোটারের প্রশ্ন করার অধিকার থাকে। মোদী কাজ করতেই চায়, কিন্তু নীচুতলার বিজেপি মোদীকে হটানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
ধ্রুব: নীচুতলার বিজেপি মোদীকে হটানোর জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে?
মহাবীর: যোগীকে এগিয়ে আনা দরকার না ওদের! মিশন ২০২৪ যোগীর তো। যোগীকে তৈরি করতে হবে তার জন্য। কারণ ২০১৯এ তো মোদী সরছে না। তোড়জোড় করে হলেও ১৯-এ মোদী তো আসছেই, কিন্তু ২৪-এ যোগীকে আনার প্ল্যান আছে। কারণ তদ্দিনে মোদীর বয়সও হয়ে যাবে।
ধ্রুব: মোদীকে সরিয়ে যোগীকে আনার প্ল্যানটা আছে কবে থেকে? ২০১৫-১৬?
মহাবীর: প্ল্যান তো ২০১৩ থেকেই ছিল। মোদীকে তো ভুল করে নিয়ে ফ্যালা হয়েছিল। সব পি আর কোম্পানিগুলোকে টেণ্ডার দেওয়া হয়ে গেছিল তো! বিদেশের পি আর কোম্পানিকেও দেওয়া হয়েছে টেন্ডার মোদীর কেসটা বানানোর জন্যে। মেড ইন চায়না কোম্পানিদেরও দেওয়া হয়েছিল। তারপর ট্রাম্পের আই টি সেলই তো মোদীর আই টি সেল ছিল, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে।
ধ্রুব: তো আপনি যে বলছেন মোদিকে বাধ্য হয়ে নিতে হয়েছিল, হটানোর প্ল্যান চলছে, তা এর পেছনে আছে কারা?
মহাবীর: এর পেছনে তো সবাই জানে, আর.এস.এস ছাড়া আর কেই বা থাকবে! ওদের তো লক্ষ্য, ২০২৫-এ মনুস্মৃতির বিধান লাগু করবে। আপনি শোনেননি, এই কিছুদিন আগে একজন মন্ত্রীর কথা শোনেননি যে নাকি তারা সংবিধান বদলে দেবে! এটা আপনার জন্যে, সারা দেশের জন্যেও সংকেত, যে আমরা সংবিধান বদলাব, আর সারা দেশে মনুস্মৃতি লাগু হবে, আর ভারত ১৮১৮-র আগে যেমন ছিল, তেমন হয়ে যাবে। সেই বর্ণব্যবস্থা, জাতিভেদ যা ১৮১৮-র আগে ছিল সেটাই লাগু হয়ে যাবে।
ধ্রুব: আচ্ছা আপনি এটা বলুন, যে যখন নকল পোস্ট করতেন তখন সেটা কীভাবে করতেন? মানে দেশে যা যা ঘটনা ঘটত, তাদের সবকটার মধ্যে হিন্দু মুসলিম জুড়ে দিতেন কীভাবে? বিরোধী পক্ষের রাজনীতিবিদকে মুসলমানের দালাল হিসেবে দেখিয়ে দিতেন?
মহাবীর: এইসব জাতিভেদে তো এদের ভোট বাড়ে, তাই না! আমরা হিন্দু-মুসলমান বেশি বেশি করে করব, তাহলে হিন্দু মুসলমানকে ভয় পেতে শুরু করবে। যদিও ব্যাপারটা আসলে সেরকম কোনোমতেই নয়, তাও সকলে বিশ্বাস করতে শুরু করবে যে এই মুসলমান তো খারাপ, সন্ত্রাসবাদী, ঠগ, এদের সংখ্যা বেড়ে গেলে তো এরা আমাদের খেয়ে ফেলবে, বরবাদ করে দেবে : এটা বারবার যদি জপ করা যায়, একবার দুবার পাঁচবার দশবার একশবার --- তো যেই হোক না কেন, তাকে তো মানতেই হবে যে ভাই, এরকম হতে পারে।
ধ্রুব: তাহলে আপনি যখন ওখানে কাজ করতেন, আপনিও কি বিশ্বাস করতেন সেসময় যে এরকম হয়?
মহাবীর: না, আমি তো মানতাম না। আমার নিজের বাড়ির পড়শিই তো মুসলমান, তারা আমায় ফোনও করত যে মহাবীর, এটা তুই কী করছিস ভাই, কেন এরকম উল্টোপাল্টা লিখছিস? কী পাচ্ছিস এসব করে? তখন আমি বলতাম যে দ্যাখ, রুটিরুজির ব্যাপার, তোরা তো সবই জানিস। তখন তারা বলেছে যে ঠিক আছে, রুটিরুজির ব্যাপার যখন, আমরা তাহলে কিচ্ছু বলব না আর। আমাদের সবটা জানা আছে। আমদের গ্রামের অনেকেই তো মুসলমানদের ভড়কানোর জন্য বলত, যে দ্যাখ, মহাবীর তোদের নামে কীসব বলছে, তোরা ওকে এই করে দে, সেই করে দে --- তারা বলত, আমরা ভালভাবেই জানি এসব মহাবীরের রুটিরুজির ব্যাপার, ওরকম কোনো ব্যাপারই নেই আসলে।
ধ্রুব: আচ্ছা, তার মানে আপনার মনে হয়, এই যে এতজন বিজেপি আইটি সেলে কাজ করছে, এটা তারা বাধ্য হয়ে করছে? অন্য কোনো কাজ না পেয়ে করছে?
মহাবীর: আমি ওখানে গেছিলাম, কারণ আমার কোনো রোজগার ছিল না। তখন সামান্য চাষবাসের কাজ করতাম, কিন্তু বিয়ে হয়েছে তখন সদ্য, টাকার দরকার ছিল খুব, তাই যেতে হয়েছিল। এখন আমার টাকার দরকার নেই অত। কিন্তু ব্যাঙ্কে লোন চেয়ে আবেদন করেছি, লোনও পেয়েছি কিছুটা। রাজস্থানে কৃষক আন্দোলন চলছে, লোন কেউ ফেরত দিচ্ছে না, আমাদের দাবি বড়লোকেরা তাদের বড় বড় ধার আগে মেটাক।
ধ্রুব: তো, আপনি যে ২০১৫তে চাকরি ছেড়ে দিলেন, এর পেছনে এটাই কারণ ছিল?
মহাবীর: বাড়ির লোকেরা বলল চলে আয়, গ্রামের লোকেরাও বলল। বলল তোর ওই ইন্টারনেটের কাজ অনেক হয়েছে, কে কোনদিন মেরে দেবে, তাও তুই আবার নিজের ছবি দেখিয়েই কাজ করিস! আমি আবার তখন নিজের ছবি দিয়েই কাজ করতাম, আমার ভুল ছিল এটাই। বাকি লোকেরা এটা করত না।
ধ্রুব: তাহলে, বিজেপি আইটি সেল ছাড়ার আসল কারণটা কী ছিল আপনার?
মহাবীর: দেখুন, যেখানেই যা দাঙ্গা, লড়াই হোক না কেন, ডাণ্ডা ধরার ভারটা চাপে নীচুজাতের ঘাড়ে, চাষার ঘাড়ে, দলিতের ঘাড়ে, গরীব মুসলমানের ঘাড়ে। দাঙ্গায় কোনো পুঁজিপতি মরে না। কোনো টোগড়িয়া, সরস্বতী, মোহন ভাগবতের বাড়ির লোক মরে না। এদের বাড়ির লোক বিদেশে ক্যালিফোর্নিয়ায় পড়ে, বিদেশি ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, আর আমাদের সব কমা বই ধরিয়ে দেওয়া হয়। গুরুকুলে থাকো, ভজন করো, রাম রাম কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে হরে। সাধারণ মানুষের কোনোরকম উন্নতির, রাস্তার, কারেন্টের, আলোর সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্কই বড়লোকদের নেই। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে উচুতলার লোকে।
ধ্রুব: আচ্ছা, বিজেপির আইটি সেলে আপনার রোজগার কেমন হত?
মহাবীর: আমার মাইনে ছিল প্রতিদিন হাজার টাকা করে। সুপার দেড়শো তো হাই লেভেলের লোক, ওদের কত মাইনে আমার ধারণা নেই। মাইনের সরকারী রেট অনুযায়ী, নীচুতলার কর্মীদের মাইনে শুরু হত প্রতিদিন তিনশো টাকা থেকে। উপরে তো সবাই লাখে –কোটিতে খ্যালে। অমিত মালব্য তো কোটিতে কামায়, আসল মাথা তো ও-ই। বিকাশ পাণ্ডেও ওরকম কামায়।
ধ্রুব: অমিত মালব্য কোটিতে কামায়!
মহাবীর: হ্যাঁ। বিজেপি ভারতের সবচেয়ে পয়সাওয়ালা পার্টি দাদা। বিজেপির কাছে কোটি টাকার চাঁদা আসে, সমস্ত কশাইখানার পয়সা এদের কাছে আসে, যতরকম বেয়াইনি কাজ হয়, তাদের থেকে এদের কাছে ভাগ আসে। এইতো দেখুন না, দিল্লিতে ম্যাক্স হাসপাতালে ববি কাটারিয়া তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল প্রায়, যে কলেজে ঘটনাটা হয়েছিল সেটাও বন্ধ হতে যাচ্ছিল, কলেজ টাকা ছড়াল, ব্যাস ববি কাটারিয়া জেলে!
ধ্রুব: খুবই পয়সাওয়ালা দল তার মানে!
মহাবীর: হ্যাঁ, তা বটে। খুবই পয়সাওয়ালা দল! একে আপনি শেষ করতে পারবেন না ২০২৪ অবধি, সে যতই শক্তি লাগান না কেন! আর কোনোভাবে যদি এদের শেষ করার মতো অবস্থা তৈরিও হয়ে যায়, তাহলে এদের হাতে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল জিও।
ধ্রুব: আচ্ছা! জিও কীভাবে?
মহাবীর: জিওর মোবাইলে স্ক্রিনে ম্যাসেজ আসে, আপনাআপনিই। এই যেমন সেদিন প্রধানমন্ত্রীর অটোমেটিক রেকর্ডেড কল এল, ভাষণের রেকর্ডীং শোনাচ্ছে তাতে --- লাইভ। মোবাইলে ফোন আসছিল। প্রথমে মেসেজ এল, যে মোদিজির ভাষণ শুনতে হলে ১ টিপুন, আর সেই নম্বরে মিসড কল মারলে তো পুরো ভাষণই লাইভ শোনা যাচ্ছে!
ধ্রুব: জিওকে কীভাবে ব্যবহার করছে এরা?
মহাবীর: জিওর স্ক্রিনে মেসেজ আসে। ভারতে যারা যারা জিও রাখে তারা সবাই জানে, ব্যালেন্স শেষ হওয়ার পাঁচ-সাতদিন আগে থেকেই স্ক্রীনে আপনাআপনি মেসেজ আসতে থাকে। আপনি কাউকে কল করার পর কল যেই কাটবেন, স্ক্রিনে আপনাআপনি মেসেজ চলে আসবে। পুরো স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যাবে, আপনি সামনে শুধু বিজ্ঞাপনই দেখতে পাবেন। এইভাবেই, যদি দরকার হয় তাহলে মোদির ব্র্যাণ্ডিং-এর জন্য বড় করে মোদির ছবি দিয়ে মেসেজ চলে আসবে, আবকি বার মোদি সরকার। যেমন আগের বার হয়েছিল, বড় পোস্টার বানিয়ে সকলের ফোনে ফোনে ঢুকিয়ে দেবে। আপনি যতবার কাউকে কল করবেন, তরবার আপনার মোবাইলের স্ক্রিনে মোদিকে দ্যাখা যাবে।
ধ্রুব: লোকে তো বিরক্ত হয়ে যাবে!
মহাবীর: নাহ, লোকে বিরক্ত হবে না। যে মিথ্যেকে হাজার বার বলা হয়, বারবার বলা হলে সেই মিথ্যে একদিন সত্যি হয়ে যায়।
ধ্রুব: হ্যাঁ, তা বটে। আচ্ছা এবারে বলুন, বিজেপি আইটি সেল আর অন্য দলের আইটি সেলে কী কী ফারাক আছে? কোনো তফাত আছে আদৌ, নাকি নেই?
মহাবীর: কংগ্রেসে আর বিজেপিতে কোনো ফারাক নেই। কংগ্রেসের আইটি সেলে কারো ঝাঁট জ্বলে গেলে সে বিজেপিতে চলে যায়। ১১, অশোক রোড আর ১৪, আকবর রোডে কোন ফারাক নেই, দুটো অফিস খুব কাছাকাছি। কংগ্রেস আইটি সেল মুসলমানদের ভয় দেখিয়ে ভোট জোগাড় করে, যে হিন্দু তোমাদের খতম করে দেবে। দলিতদের ভয় দেখায় যে রাজপুত, ব্রাহ্মণ, জাঠ এসব উঁচুজাতের লোক তাদের খতম করে দেবে।
ধ্রুব: আচ্ছা, কিন্তু একদল আরেকদলের চেয়ে বেশি ঘৃণা ছড়ায় কি?
মহাবীর: কংগ্রেস বিজেপির চেয়ে কম ঘৃণা ছড়ায়। বিজেপি তো জাতপাত নিয়ে অবধি ঘৃণা ছড়ায়। কংগ্রেস হতে পারে ধর্মের রাজনীতি করে, কিন্তু বিজেপি তো জাত, বর্ণ... এমনকি জাতের মধ্যেও আবার জাত আলাদা করে ন্যায়। ব্র্যাণ্ড তৈরি করে ন্যায় আলাদা আলাদা --- যে মহারাজা সূরযমলের আলাদা ব্র্যাণ্ড, বাকিদের আলাদা।
ধ্রুব: আপনি যত নকল ওয়েবসাইটের কথা বললেন, কংগ্রেসের তরফ থেকেও ওরকম ওয়েবসাইট আছে?
মহাবীর: কংগ্রেসের যদি দু-চারশো থাকে, বিজেপির দু-চার হাজার আছে, এই তফাত। বিজেপির লোক বেশি, বড় পার্টি, ক্ষমতাতেও আছে বিজেপি... পয়সা কথা বলে দাদা! ভারতে যার হাতে পয়সা, সেই ভগবান, আর বাকি সব তার চাকর। লোকের তো কোনো রাস্তা নেই আর, না? ভারতে শালা বেরোজগারি এত বেড়ে গ্যাছে, যে রোজগারই নেই কারোর। সবাই তো বেকার, হাতে হ্যারিকেন নিয়ে ঘুরছে, কোথাও না কোথাও তো যাবেই! কাজ তো দিতেই হবে এদের। কাজ না দিলে অপরাধ বেড়ে যাবে, লোকে লাশ ফেলতে শুরু করবে।
ধ্রুব: আচ্ছা, তো আপনি মানুষকে কী বলবেন, কীভাবে এদের থেকে, এই প্রোপাগান্ডা থেকে বেঁচে থাকা যায়?
মহাবীর: ফেসবুকে যত চেনাজানা ভাল লোক আছে, যারা ভাল চায় সকলের, শান্তি চায়, শান্তির জন্য মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়াতে চায়, তাদের সঙ্গে থাকতে হবে। এমন তো নয় যে ফেসবুকে সবাই খারাপ লোক। সারা পৃথিবীর অনেক মানুষ, তাদের মধ্যে কিছু এন আর আইও আছেন, যাঁরা চেষ্টা করছেন যাতে মানূষের মধ্যে ভালবাসা, প্রেম বাড়ানো যায়, সমস্ত জাতকে একসাথে সমান করা যায়। এরকম অনেক প্রচার চলছে। এরা সব ছোটখাটো ক্যাম্পেন, এদের মার্কেটিংও হয় না সেভাবে।
ধ্রুব: তার মানে এটা বলা যায়, যে যারা ঘৃণা ছড়ায়, যারা সবকিছুতেই হিন্দু-মুসলমান টেনে এনে কথা বলতে শুরু করে, তাদের কথা শোনাই বন্ধ করে দিন?
মহাবীর: এই ২০১৮তে ফেসবুকে যা অবস্থা, আপনি মুসলমানের সমর্থনে একটাও পোস্ট যদি করেন, একটাও পোস্ট, এই যেমন আবদুল কালাম খুব ভাল মানুষ ছিলেন, তাহলেই আপনাকে সমাজদ্রোহী, দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দিতে বিজেপির আইটি সেলওয়ালারা সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
ধ্রুব: হ্যাঁ, তা বটে।
মহাবীর: আরে আপনি যদি ফেসবুক লাইভে কোনো মুসলমানের সঙ্গে শুধু কথা বলেন, তাহলে আপনাকে পাকিস্তানের দালাল বলে দেগে দেওয়া হবে। অথচ এই আর.এস.এস-ই পাকিস্তান ভাগ করেছিল। এরা নিজেরাই আবার বলে অখণ্ড ভারত বানাব, পাকিস্তানের লোক নাকি ভারতের সঙ্গে জুড়বে বলে লাফাচ্ছে... পাকিস্তানের অবস্থাও খারাপ, বাটি হাতে সারা দুনিয়ায় দোরে দোরে ঘুরে ব্যাড়াচ্ছে। আর এদিকে আর.এস.এসও বলছে যে অখণ্ড ভারত বানাব, কিন্তু পাকিস্তানকে নেব না! বুলি তো একই আওড়ে যায়, যে তুই দেশদ্রোহী, পাকিস্তানে চলে যা... অথচ কাউকে পাকিস্তানের ভিসাই দ্যায় না।
ধ্রুব: ভিসা পেতে হলে তো পয়সা দিতে হবে!
মহাবীর: না, লোকে নিজের গাঁটের পয়সা খরচা করে ভিসা নিতেও রাজি। আমি ফেসবুকে পোস্ট দিতে রাজি আছি যে আমায় দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক ঘোষণা করে দাও, আমি পাকিস্তান চলে যেতে রাজি। পাকিস্তান যেতে আমার কোনো ভয় নেই। আমাদের দেশ ভাগ করেই তো পাকিস্তান হয়েছে। আমাদের নিজেদের মানুষই তো ওপারে আছে। পশ্চিম পাঞ্জাব, রাজস্থান ভাগ হয়েই তো পাকিস্তান হয়েছে। আমাদের পরিবারের লোকজনই তো ওদিকে আছে। হয়ত তারা ধর্ম বদলে নিয়েছে, পুজোর পদ্ধতি পালটে নিয়েছে, কিন্তু রক্ত তো একই আছে!
ধ্রুব: যাঁরা এই ভিডিওটা দেখছেন, তাঁরা জুড়তে চাওয়া মানুষজনের সঙ্গে থাকুন। যারা দাঙ্গা ছড়াতে চায় না...
মহাবীর: রক্তের দাঙ্গা লাগাতে চাইছে তো ওরা, তার বদলে প্রেমপিরিতির দাঙ্গা ছড়াও। এটাই আমি সকলকে বলতে চাই। আর দাদা, আপনি আমার সাথে যোগাযোগ করে আমায় অনেকটা জোর দিলেন। সকলের কাছে এই কথাগুলো পৌঁছনো দরকার। আমি আই টি সেল ছাড়ার পর হাটে হাঁড়ি ভাঙা যখন শুরু করেছিলাম, আমার কাছে এনডি টিভি, এবিপি থেকেও ফোন আসত। কিন্তু আমি ওসব জায়গায় যাইনি, কারণ আমি জানি ওখানকার লোকজনও কোনো না কোনো পার্টি থেকে পয়সা খেয়ে সমঝোতা করে ন্যায়। ওদের তো শুধু পয়সা আর টিআরপি নিয়ে চিন্তা। সাধারণ মানুষকে নিয়ে মিডিয়ার কোনো চিন্তা নেই। জি নিউজ হোক, এবিপি হোক, আজ তক হোক... সুদর্শন চ্যানেলে আমি নিজে গেচ্ছিলাম কিছুদিন আগে...
ধ্রুব: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই এতকিছু আমাদের জানানোর জন্যে। আশা করি যাঁরা এটা দেখছেন, তাঁরা এসব প্রোপাগাণ্ডার থেকে সাবধানে থাকবেন। শিকার হবেন না।
মহাবীর: আমি এই বিষয়ে সবার আগে ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম ডাণ্ডিয়াজিকে, উনি একজন এন আর আই। ওখান থেকেও আমি অনেক জোর পেয়েছি। আমার সাহসও বেড়েছে। শুরুতে তো আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে বিজেপি কংগ্রেস আমায় মেরে না দ্যায়। এমন হাঁড়ি ভাঙছি হাটে, আমার তো নিজের পরিবারের জন্যেও চিন্তা হয়।
ধ্রুব: কিন্তু এত মানুষ এখন আপনার কথা জানেন, আপনাকে নিয়ে এত কথা হচ্ছে, যে ওরা আর ওরকম কিছু করতে সাহস পাবে না।
মহাবীর: সাহসের কথা আর বলবেন না দাদা। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর মতো লোককে, গোপীনাথ মুণ্ডের মতো লোককে এরা টপকে দ্যায়, আমি তো চুনোপুঁটি!
ধ্রুব: আচ্ছা, তাহলে কথা বলার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।

                                            ***
H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now
Logo
Center