শিক্ষাজীবনে এ কিছু শিক্ষণীয় বিষয়


Source

শিক্ষাজীবন মানে শুধু এই নয় যে সারাদিন পরাশুনার মধ্য দিয়ে সময় কাটাতে হবে। শিক্ষাজীবন হচ্ছে এমন একটি সময় যখন আপনাকে পড়াশুনার পাশাপাশি নানা বিষয়ের উপর জ্ঞ্যান লাভ করতে হবে। কারন, জীবনে সফলতা পেতে হলে পড়াশুনা বা সার্টিফিকেট যথেষ্ট না । আপনাকে এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিতেও পারদর্শি হতে হবে।আজকের পোস্টে সেসব নিয়েই আলোচনা করা হবে।

নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলাঃ



Source
নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে এখানে বুঝানো হচ্ছে আপনি যেই কাজে পারদর্শি সেই কাজের সাথে সংযুক্ত অন্যান্যদের সাথে কমিউনিকেশন গড়ে তোলা। আমরা অনেকেই মনে করতে পারি যে এই কাজে আমি খুব পারদর্শি আমার থেকে এই কাজ অন্য কেউ ভালোভাবে করতে পারবে না, আসলে ধারনাটা ঠিক নয়। এটি শুধুই অহংকার এর প্রদর্শন হয়। এমনও হতে পারে অন্যকেঊ পানার থেকেও ভালোভাবে এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবে। তাই অন্যদের সাথে কমিউনিকেশন রেখে আপনার কাজকে আরো নিপুন করে তুলতে পারে।

নতুন ভাষার প্রতি আগ্রহ দেখানঃ



Source
নতুন যেকোন কিছুর উপরই আমাদের সকলেরই একটি বিশেষ টান থাকে। ঠিক তেমনি নতুন ভাষার প্রতি টান থাকা খুব ভালো একটি দিক। নিজের মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্যদেশের ভাষা সম্পর্কে জ্ঞ্যান অর্জন করা এবং তা আয়ত্ত করলে আপনার ব্যক্তি জীবনে তা খুব কাজে আসতে পারে। এটি হয়তো আপনার চাকরির সিভিতে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আজ থেকেই অন্য দেশের ভাষা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করুন।

প্রেজেন্টেশনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেঃ



Source

আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রেজেন্টেশন নিয়ে খুব ভিতস্তত বোধ করেন। এটা স্বাভাবিক, অনেক গুলি মানুষের সামনে নিজের বক্তব্য তাদের কে বুঝিয়ে বলা আসলেই অনেক বড় ব্যপার। কিন্তু এটি যদি আপনি আয়ত্ত করতে পারেন তাহলে আপনার চাকরিজীবনে উন্নতিতে এটি বড় অবদান রাখতে পারবে। তাই ছাত্রজীবনে বিভিন্ন তর্ক-বিতর্ক মুলক এক্টিভিটিসে যোগদান করে নিজেকে গড়ে তুলুন একজন সফল প্রেজেন্টার হিসেবে।

নিজের সমস্যা নিজেই সমাধান করতে শিখুনঃ


Source
জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আমাদেরকে ধাওয়া করবে এটা স্বাভাবিক। তাই বলে হতাশ হয়ে অন্যদের কাছে নিজের সমস্যা নিয়ে গল্প করলে সমস্যার সমাধান হবে না। তাই অন্যকে বলার আগে নিজেই চিন্তা করুন কিভাবে নিজের সমস্যার সমাধান করা যায়। নিজেকে নানা ধরনের প্রশ্ন করুন সমস্যা নিয়ে এবং সেই প্রশ্নের উত্তর নিজেই খুজে বের করুন। অন্যের সাহায্য নিয়ে নিজের সমস্যা সমাধান থেকে বিরত থাকুন।

নিজের চাকুরির সিভি নিজেই তৈরি করতে শিখুনঃ


আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা সিভি নিয়ে বেখেয়ালিপানা করে থাকেন। চাকরির যুদ্ধে সিভিই আপনার প্রধান অস্ত্র । রিক্রুটাররা আপনার সিভি দেখেই আপনাকে ইন্টারভিউ বোর্ডে ডাকবেন। তাই কম্পিউটার কম্পোজ শপে গিয়ে অন্যের সিভির কপি ইডিটিং না করে ঘরে বসেই নিজের সিভি তৈরি করুন। আপনার গুন আপনি ছাড়া অন্যকেউ ভালো জানতে পারে না তাই আপনার সকল খুটি নাটি গুন তুলে ধরুন আপনার সিভিতে। সিভির ফরম্যাটে নতুনত্যের ছোয়ায় সুন্দর করে তৈরি করুন।

Untitled.png
zakucustomfooter2.gif

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now