আমার সকল এস্টিমেট বন্ধুরা সবাই ক্যামন আছেন আশাকরি ভাল আছেন আপনারা আমিও অনেক ভালো আছি তাই এই ভালোলাগা ভালো থাকার ভেতরে আমি আপনাদের মাঝে আমার জীবনের একটি সত্য ঘটনা এবং মজার কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আমার এই পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আমার নাম মামুন আমার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার সোনাবাড়িয়া গ্রাম আমার জন্ম সোনাবাড়িয়া তে আর আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশ। আমি নিজেকে অনেক গর্ব বোধ করি যে আমি একজন বাংলাদেশী হয়তো আপনারাও অনেক গর্ববোধ করেন।
আমাদের ছোট্ট এই পরিবারে মাত্র চারজনের সংসার তার ভিতর আমি এবং আমার ছোট ভাই এবং আমার আব্বু এবং আম্মু এই চারজন এই হলো আমাদের ছোট্ট একটি সুখী পরিবার সত্যি আমরা অনেক সুখে আছি যে আমি উনাদের মত বাবা-মা পেয়েছি সবাই তাদের বাবা মাকে নিয়ে গর্ববোধ করে। তাই আমিও একটু করলাম সত্যি কথা বলতে আমি আমার আব্বু এবং আম্মুকে অনেক ভালোবাসি।
ছেলেবেলায় আমরা কত না মজা করেছি কত আনন্দ করেছি কত ফুর্তি করেছি কত বদমাইশি করেছি সে সব কথাগুলো মনে পড়লে আজকে সত্যিই অবাক লাগে কোথায় ছিলাম আর কোথায় এলাম ভাবতেই যেন গায়ের ভিতর কেমন একটা সিঁড়ি দিয়ে উঠে। ছেলেবেলা থেকে আমি অনেক দুষ্টু ছিলাম এজন্য আমার আব্বু এবং আম্মু আমাকে অনেক বকা বকি করত জানেনইতো ছেলেবেলায় মানুষ কত দুষ্টু থাকে তাই তাদের ভেতরে আমি একজন ছিলাম। আমার সবচেয়ে কাছের দুটি বন্ধু ছিল একজনের নাম জয় এবং আর একজনের নাম হল রাজিব আপনারা হয়তো ভাবছেন এ কেমন না তারা যাতে হিন্দু কিন্তু আমি তাদের আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ভাবতাম কারন এরা আমার সম্পর্কে যেমন বুঝতো অন্য কেউ এমন বুঝতো না তাই ছোটবেলা থেকে এদের সাথে ঘোরাঘুরি করতাম বেশি।
আমার বয়স যখন আট বছর তখন আমি প্রথম স্কুলে যায় এবং প্রথম ক্লাসে ভর্তি হওয়ার জন্য আমার স্যারের কাছে আমার আব্বু এবং আমরা দুজনেই যায় তখন আমার স্যার আমার আব্বু আম্মুকে বলে ছেলে এত বড় হয়ে গেছে আর আপনি এখন নিয়ে আসছেন উনাকে ভর্তি করতে। তো আব্বু কিছুটা লজ্জা বোধ করি সমস্যা নাই একটু বড় হলেই ভাল নইলে এত ছোট কালে যদি স্কুলে দেওয়া হয় তাহলে ওর মাথায় কিছু থাকবে না। তো এক সময় স্যার রাজি হয়ে আমাকে ভর্তি করলো। ও আপনাদের তো বলাই হয়নি আমাদের এই স্কুলটি ঠিক আমাদের বাড়ির পিছনে একটি বিশাল বড় মাঠ আছে যেখানে অনেক শাকসবজি ধান অনেক কিছু লাগানো হয় তারই মধ্যে স্থানে আমাদের এই ছোট্ট একটি স্কুল মাত্র দুটি শ্রেণি বিষয় বিভক্ত। প্রথম শ্রেণী এবং দ্বিতীয় শ্রেণি এ দুটি শ্রেণী নিয়েই এই স্কুলটি সাধারণত গড়ে ওঠা কারণ এটি কোন সরকারি স্কুল নয় এটা বেসরকারি একটি স্কুল এর জন্য এখানে ততটা উন্নয়ন হয় নাই সেই সময় কারণ আমি যে আজকে আপনাদের মাঝে গল্পটি করছিএখান থেকে আরও 20 বছর আগের কথা এখন অবশ্য অনেক উন্নতি হয়েছে আমাদের সেই প্রথম স্কুলটি। তো আমি সেখান থেকে প্রথম শ্রেণী ও দ্বিতীয় শ্রেণি পাস করে আমাদের বাড়ির সামনে আমাদের সোনাবাড়িয়া বাজার তো বাজারের মধ্যে স্থানের আমাদের আরেকটি প্রাইমারি স্কুল আছে এবং তার সাথে হাই স্কুল কলেজ এবং মাদ্রাসা অাছে। তো আমাদের সেই পুরনো স্কুল থেকে আমি যখন প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণি পাস করে আমাদের অন্য এক স্কুলে যেখানে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয় সেখানে এসে ভর্তির জন্য আবেদন করলাম কিন্তু সেই স্কুলের হেডমাস্টার আমাকে বলল তোমাকে ক্লাস থ্রি তে ভর্তি করা হবে না তোমাকে আবার ক্লাস টু তে ভর্তি হতে হবে। তো কি আর করা বললাম ঠিকই আছে সমস্যা নাই এক বছর নাই মারিগেলো সমস্যা নাই আমি টু তে ভর্তি হব। তো এভাবেই পড়তে পড়তে আমি একটি ভালো রেজাল্ট নিয়ে আমাদের সেই পঞ্চম শ্রেণী প্রাইমারি স্কুল থেকে আমাদের হাই স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলাম।
আমি যখন প্রথম দিন হাই স্কুলের জন্য রওনা দিই আমার বাড়ি থেকে তো আমার সেই ছেলেবেলার ভাবটা তখনও যায়নি কারণ আমি তখন হাফ প্যান্ট পরতাম তো আমি হাফ প্যান্ট পড়ে হাই স্কুলের জন্য রওনা হয়ে গেলাম এবং আমার ক্লাস রুমে ঢুকে দেখি আরে বাবা কত বড় বড় ছেলে মেয়ে আর আমি এত ছোট আমি তো দেখেই ভয় পেয়ে গেলাম কিভাবে এনাদের সাথে আমি পারবো কিনারায় এত বড় বড় আর আমি এত ছোট মানুষ তাও আবার হাফ প্যান্ট পড়ে স্কুলে এসেছি ছেলে-মেয়ে সবাই কানা ঘষি করছে দেখ দেখ ছেলেটা হাফপেন্ট পরে হাইস্কুল এসছে। তো আমি একটু লজ্জা পেয়ে গেলাম কারণ সবাই যখন মুখের সামনে বলবে আপনাকে যে দেখ দেখ হাফপ্যান্ট করছে তখন অবশ্যই আপনার একটু লজ্জা করবে এভাবেই চলতে থাকলো আমাদের সেই স্কুলের দিনগুলি।