This content was deleted by the author. You can see it from Blockchain History logs.

game

পানামার জালে ইংল্যান্ডের ৬ গোল

ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়াতেই পারল না পানামা। তাদের জালে গোল উৎসব করে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা পেল বিশ্বকাপে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয়।

নিজনি নভগোরোদে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে ৬-১ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড। এর আগে বিশ্বকাপে চারবার তিন গোলের ব্যবধানে জিতেছিল দলটি। গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল ৫-০ গোলে।

পেনাল্টি থেকে দুটি গোল পাওয়া হ্যারি কেইন করেন হ্যাটট্রিক। জোড়া গোল করেন জন স্টোনস। অন্য গোলটি জেসি লিনগার্ডের।

পানামার এই হারে এক ম্যাচ হারে রেখেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে গেল বেলজিয়াম ও ইংল্যান্ডের।

নিজনি নভগোরোদ স্টেডিয়ামে রোববার পানামার বিপক্ষে সেট পিসগুলো দারুণ ভাবে কাজে লাগায় ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষের অগোছালো ডিফেন্সের পূর্ণ সুবিধা তুলে নেন কেইন-লিনগার্ডরা।

প্রথম ভালো সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। অষ্টম মিনিটে কিরান ট্রিপিয়ারের কর্নারে চমৎকার হেডে বল জালে পাঠান অরক্ষিত স্টোনস। দেশের হয়ে ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডারের এটাই প্রথম গোল।

২২তম মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। ডি-বক্সে লিনগার্ডকে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি।

২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আরও অগোছালো হয়ে পড়ে পানামা। সেই সুযোগে দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান আরও বাড়ান লিনগার্ড। ৩৬তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার।

৪০তম মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের ক্রস ডি-বক্সে হেড করে নামিয়ে কেইন দেন রাহিম স্টার্লিংকে। ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ডের হেড গোলরক্ষক কোনোমতে ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বলে হেড করে জাল খুঁজে নেন স্টোনস।

যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোলটি করেন কেইন। আনিবাল গোদোয় ইংলিশ অধিনায়ককেই ফাউল করায় স্পট কিকের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি।

বিশ্বকাপে এই প্রথম ইংল্যান্ড প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের জালে পাঁচবার বল পাঠাতে পারল। ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে এ নিয়ে মাত্র পঞ্চমবার পাঁচ বা তার বেশি গোল হল।

দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের রক্ষণ কিছুটা গুছিয়ে নিতে পারে এবারই প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে আসা পানামা। পাল্টা আক্রমণে কিছু সুযোগও তৈরি করে তারা।

৬১তম মিনিটে সৌভাগ্যক্রমে হ্যাটট্রিক পেয়ে যান কেইন। রুবেন লফটাস-চিকের শট তার গোড়ালিতে লেগে দিক পাল্টে জালে চলে যায়। দেশের হয়ে সবশেষ ৯ ম্যাচে এনিয়ে ১৩ গোল করলেন কেইন।

এবারের আসরে এ নিয়ে পাঁচ গোল করে গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে উঠে এলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। চারটি করে গোল করা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও রোমেলু লুকাকু আছেন তার পেছনে।

জিওফ হার্স্ট (১৯৬৬) ও গ্যারি লিনেকারের (১৯৮৬) পর ইংল্যান্ডের মাত্র তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করার পরপরই মাঠ ছাড়েন কেইন।

কেইনের তৃতীয় গোলের পর অনেকটাই কমে খেলার গতি। একটু ঢিলেভাব দেখা যায় ইংল্যান্ডের রক্ষণে। তারই সুবিধা নিয়ে ৭৮তম মিনিটে একটি গোল শোধ করে ফেলে পানামা। রিকার্দো আভিলার ফ্রি-কিকে স্লাইড করে বল জালে পাঠান দ্বিতীয়ার্ধের বদলি ফেলিপে বালয়। বিশ্বকাপে পানামার এটি প্রথম গোল।

বাকি সময়ে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ৮ গোল করল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের কোনো আসরে তারা এরচেয়ে বেশি গোল করেছে একবারই- ১৯৬৬ সালে, যেবার তারা শিরোপা জিতেছিল।

আগামী বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের বিপক্ষে খেলবে ইংল্যান্ড। একই সময়ে তিউনিসিয়ার মুখোমুখি হবে পানামা।